পৃথিবীটা অনেক সুন্দর
কিন্ত হলে কী হবে
আমিতো সুন্দরের রং ছড়াতে পারিনি
কী করে ছড়াবো,
আমি কষ্ট বিলাসী
কষ্ট ছাড়া আর কিছু ভাবতে পারিনা,
কষ্টরা আমার চারপাশ শীত সকালের এক ফালি মিষ্টি রৌদ্দুরের মতোই ছুঁয়ে থাকে-।
পৃথিবীর কত কিছুই তো সুন্দর
আমার সুখগুলো কুড়িয়ে নিয়ে গেছে,
কোন এক সুখী স্বপ্ন বিলাসী মানুষ:
আমি তাকে

একসময় যুদ্ধ হতো ঢাল, তলোয়ার, বল্লম, আর আগুনের গোল্লা নিক্ষেপ করে। এরপর মানুষ বারুদ তৈরি করা শিখলো। তারপর শিখলো বিশালাকৃতির কামান তৈরি করা। সম্মুখ যুদ্ধে চলতো ঢাল- তলোয়ারের ঝনঝনানি, আর বল্লমের খোঁচা। দূর থেকে নিক্ষেপ করা হতো কামানের গোলা। কামানগুলো

তোমার পয়মন্ত জমিন; ফসিলের কারখানা
ডুবে যায় দৃষ্টি, উপমা, আঙিনার নৃত্য ঘাস
ক্রমশ ডাকে অন্তরীণ ছায়াময়; বাঁশপাতা কাগুজে
শব্দ নৈঃশব্দ্যের চুমু বসিয়ে পেরিয়ে যাও
কেবল রঙ করা এক বৃত্তাংশ দেওয়ালের ভেতর;
বিদীর্ণ দীর্ঘ ছায়া পেরুতেই কার্পাস শরীর
হেলে পড়ে হৃদপিণ্ড শিহরণ উৎসবে, তুমি তো সে!

=================
আজ রবিবার কবিতা বড় ভয়ঙ্কর
ভাষা হারিয়েছে বর্ণমালা ছিন্ন ভিন্ন
তবুও বকুলের মালা গাঁথতে চায়
এই মন বাসনায় খুঁজি মাঠেপ্রান্তর! অথচ কবিতা রঙিন মেঘে ঘুড়ি হয়ে
সবসময় উড়ছে আর উড়ছে- এদিকে
আমার যত আতঙ্ক ঘরে বেদনার সুর;
কবিতা বোঝল না গোলাপের ঘ্রাণ! বিলিন

কেও কেও শুনেছি ডায়রি লিখে; আদতে কি ডায়রি লিখে?
নাকি যত্রতত্র অগোছালো মনের কথাগুলোর কাটাকুটি খেলা
খেলে ডায়রির পাতা ভরে;
আর মনের রংবেরঙের অনুভূতিগুলো ধরে রাখে ডায়রি পাতা জুড়ে; কেও কেও আছে, মানুষের সাথে কথা বলতে বড্ড লাজুক
অথচ প্রতিনিয়ত কথা বলে
ঝগড়া করে
হাসে
কাঁদে,
নিজের সাথে
একা একা,
আর মাঝে

বিস্তৃত ললাট চার বাই চার লেনের অ্যাসফল্টের এক্সপ্রেসওয়ে
হঠাৎই বুকের ভেতরের লুকানো ফাটল বমি করে বাইরে
ভয়ঙ্কর দ্রুত গতির দুই চার ছয় আট কিম্বা আরও বেশী চাকারা
হোঁচট খেয়ে এ ওর ঘাড়ে হুমড়ি খেয়ে থেমে যায়;
ফাটলের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে প্রথম প্রস্তর যুগের বিশাল এক আয়না,
তার ফ্রেম

খাঁ খাঁ বিরান মরুভূমি
একবুক তৃষ্ণা জাগে
হৃদয়ে আমার।
নির্মল কোনো ভোরে
শিউলি ফোটা শিশির ধোয়া
প্রাঙ্গণে যদি আবার হাঁটি
কোনো সকালে, তবে কি
ফিরে পাবো আমার সোনালি
কৈশোর? হয়তো সে বসে আছে
আমারই অপেক্ষায়
ব্রক্ষ্মপুত্র নদের তীরে
বটের ছায়ায় পা ডুবিয়ে
শান্ত শীতল জলে। কিংবা
খোলা নীল আকাশের তলে
ডিঙি নাওয়ে বসে শাপলার ঝিলে।
অথবা

কেউ জানে না
জাগ দেওয়া রাত কোনদিন ভোর হবে
বাজারে এখনও ঠাসাঠাসি জীবন্ত আর মৃত! আজকাল দৈনিক কাগজ আর পড়ি না
শুনেছি ওদেরও নাকি পড়িমরি হাল
আর কিছু হোক কিংবা না হোক কেউ কেউ
প্রচ্ছদ বন্দি করে রাখছে এই করোনার কাল! ভাবসাব মোটেই সুবিধাজনক নয়
গতি কিংবা অধোঃগতি
সন্ধি অথবা দুরভিসন্ধি
চালিয়ে যাও অথবা

শামার সাথে আমি একই কলেজে পড়তাম। এইচএসসি পাশের পর শামা ঢাকা শহরের একটা ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়ে ভাইয়ের বাসায় থাকতে লাগলো, আর আমি ডিগ্রিতে ভর্তি হয়ে গ্রামের কলেজেই রয়ে গেলাম।
শামার গায়ের রঙ জারুল কিংবা মহিমার মতো ফরসা না হলেও ওর চেহারা মিষ্টি ও আকর্ষণীয় ছিল।

১
বলা হয়ে থাকে, করোনা ভাইরাস সাম্যবাদী। ধনী-গরীব, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলকে সমান চোখে দেখে। চরিত্রের বিবেচনায় করোনা ভাইরাসকে তাই সমাজতান্ত্রিক বলেও চিহ্নিত করা যায় বৈকি! একথা সত্যি বটে ভাইরাস আক্রান্তের বেলায় ধনী গরীব মানছেন। এক্ষেত্রে শ্রেণি নিরপেক্ষ বলা যেতেই পারে।

কতদিন অপেক্ষা করছি, আজ একটা বিশেষ কবিতা লিখবো
কৃষ্ণচূড়ার তলায় দাঁড়িয়ে কথা দিয়েছিলাম।
অসাধারণ ১৪ টা বিকেল সাক্ষী ছিল
লিখবো লিখবো করে আর লেখা হয়নি,
কি করে লিখবো?
প্রতিটা বিকেলেই ভাবি আজ ঠিক লিখবো
কিন্তু সে আজ কি করে যেন গতকাল হয়ে যায়,
কবিতা আর লেখা হয়না:
১৪

অতীতের চোখে রাত ভেঁসে যায়,
সুখের মুহূর্তগুলো তখন ঢাল হিসেবে সামনে
এসে দাঁড়ায়;
ঢেউএর সাথে লেগে থাকে সমুদ্র উপত্যকার
সূর্যোদয়;
আকাঙ্ক্ষারা প্রবাহিত হয়; বায়ুও সময়ের
ডানায় উড়ে যায়। স্মৃতির বারান্দা জুড়ে শুধু তুমি,
চোখের জলের আর্তনাদ সবার মতোই হয়তো
দেখেছো তুমি;
হৃদয়ের আর্তনাদ না লোকজন দেখেছে, না
দেখেছো তুমি;
তোমার স্মৃতিরা সরীসৃপের মতো প্রতিনিয়তই
আমাকে

পাঁজর নিচে, বৃক্ষপাতার জঙ্ঘাস্থি নগরে
একটা ক্ষতস্থান ভরে মেলতে দেখা যায়
বর্ষার ভেতরে হরফ গাথার শব্দ
খুরধ্বণি পা’য় ছুটে বেড়ায়
ভাড়াটে হাওয়া, ঘন নিঃশ্বাস ও নেবুলাইজার।