আমার উন্মুক্ত ভালোবাসা চাই,
বেহায়া, নির্লজ্জ ভালোবাসা।
হাজারো মানুষের ভীরে চাই,
কেউ আমার কান কামড়ে দিক।
লাল করে দিক ঠোঁটের লিপস্টিকে,
আমার চিবুক, গাল, কপাল।। কেউ আমার হাত ধরে জ্যাম ঠেলে,
পার হোক শহরের ব্যস্ত সড়ক।
আমার চোখে চোখ রেখে ডুবাক আমায়,
সুর তুলুক নতুন গানের, কবিতার।
কলার চেপে ধরে

দেখেছ নিশ্চয়ই, সুনীল আসমান
তাঁর মাঝে আর-ও দেখেছ ভাসমান মেঘেদের মেলা।
যাঁরা ছুটে চলে নিরলস, ভেসে বেড়ায় দেশ হতে দেশান্তর।
কত-শত নগর,শহর পেরিয়ে চলে ক্ষণেক্ষণে সময়ের আবডালে । যেখানেই ঝরবার নির্দেশ পায় তাঁরা,
বৃষ্টি হয়ে আছড়ে পরে, দেশ হতে দেশান্তরে, শত-শত নগর শহরে। তথাপি,

তুমি চলে যেতেই বিকেলগুলো কত যে বিষণ্ণ হলো,
ধূসর সন্ধ্যার মতো হলো হৃদয়ের স্বপ্ন ক্যানভাস।
ক্রন্দনে ভারী হলো ভোরের আকাশ, সাদা কুয়াশা,
দলে দলে উড়ে যাওয়া পাখিরা হলো পরাধীন, খাঁচার পুতুল।
তুমি চলে যেতেই নক্ষত্রহীন হলো প্রতিটি রাত, তীব্র অন্ধকারের মূর্তি,
জলের স্রোতেরা হলো আবদ্ধ

কোনো এক নিশ্চুপ রাতে, নির্মল বাতাসে।
ধান ক্ষেতের মাঝেই দাঁড়িয়ে ছিলাম।
মাস টা ছিলো বৈশাখ।
সময় টা বৈশাখের দিন পনেরোর এক রবিবার রাতের কথা। মনে ছিলো বেশ প্রেমের ঝটকা।
হুটহাট মনে হয়ে যেতো প্রিয় তোমার কথা।
সেই রাতে ও, তুমি এসে আটকে গেলে মনে। তবে,তুমি

যুবক তোমাকেই বলছি, শুনো।
জগতের সকল পাপ করতে তোমার মন চাইবে, যৌবনের উষ্ণতায় তুমি শক্ত পাথর হয়ে রবে। যুবতী মেয়েদের বুকে তুমি চোখ রাখবে,
হাতে হাত ধরতে মন ছুটবে।
কিন্তু না, এ-তো ধর্মে নিষিদ্ধ!
চোখ নামাও, হাত ছাড়ো। মন তোমার উড়ুক্কু হবে, নষ্ট প্রায় হয়ে

বর্ষার বৃষ্টি, অনন্য এ সৃষ্টি।
মাঠেঘাটে ফসলাদি, চিরসবুজের দৃষ্টি।
মধু মাসে মধু ফল, সবই তাহার সৃষ্টি, যিনি দিয়েছেন আমাদের দেখবার দৃষ্টি। অসম্ভব গরমে, পূবালী হাওয়া, দক্ষিণের দেওয়ানা বাতাস ছুটিয়ে, কে দেয় আমাদের প্রশান্তির ছুঁয়া? কনকনে ঠাণ্ডার সকালে, পূবের আকাশে রক্তিম সূর্য উদয় হয়ে কেনো

আদর্শচ্যুত রাজনীতির পার্থিব মোহ আমাকে কখনো বাঁধতে পারেনি।
বাঁধতে পারেনি ক্ষমতায়ন কিংবা বাহবার আবহ, সমীহ সংস্কৃতির
অন্ধত্ব আমাকে আটকাতে পারেনি বলেই আমি দেখতে পাই-
দেখতে পাই তা, যা তোমরা দেখতে অক্ষম
শুনতে পাই তা। যা তোমারা শুনতে অক্ষম
বলতে পারি তা, যা তোমারা বলতে গেলে রুদ্ধ হয়ে আসবে কণ্ঠ!
আমি

আজকে বিকেলের কথা, মন টা কেমন অস্থির লাগছে, কতদিন কলেজ যায় না, যায়না কোথাও ঘুরতে। সবুজের উপর দু-চোখ ডেবডেব করে ফেলিনি তা-ও তো অনেক দিন হলো। এইসব ভাবছি, তখনই আসরে আজান হলো, সৃষ্টিকর্তা ডাকছে, কল্যানের দিকে। ডাকছে,নামাজের দিকে।
উনার সৃষ্ট এই মায়াবী পৃথিবীতে আছি অথচ

স্তব্ধ অন্ধকারে ছায়া ফেলে চাঁদ কুয়াশার পরে,
উড়ে যায় বরফের মেঘ পাখির মতো সীমান্ত শেষে।
কত ঘুমহীন চোখ জেগে থাকে মধ্যরাত্রির বেলকনি ধরে,
কত দূর পথ বেয়ে উড়ে আসে হীম বাতাস।
তারপর কিছু পাতা ঝরা শিশিরের মৌন পতন,
চুপচাপ পায়ে চলে নদীর বুকে শামুকের দল।। আঙিনায়