প্রেয়সী! জীবন নদীর অ থৈ স্রোতের কাছে
আমি বার বার তলিয়ে গেছি,
কুলের সন্ধানে কত সাঁতার কেটেছি!
কাছে গিয়েও ধরতে পারিনি কিনারা
তাই আমি বড় ক্লান্ত আজ,
বড় অসহায় এই জীবন তরী নিয়ে। জানিনা কতকাল বায়তে হবে!
কবে জানিনা এই তীব্র

নান্দনিক হাওয়ায় তখন উড়ে বেড়াচ্ছিল চূর্ণ জল
অগুনতি সুন্দরী তিতলি আর অ্যাড্রিনালিন গন্ধে বিবশ পুরুষ,
খোলা গেট দিয়ে মাঝেমধ্যে হুশ করে ঢুকে আসছিল
ফরেন লিকারের মায়াস্বপ্ন চলকানো হালকা ঝিমাই রোদ্দুর।
কারুশিল্প ভবনের লিফটের ভেতরে, মোহরকুঞ্জে, ছায়া ছায়া আড়ালে আবডালে
ঝাঁপিয়ে পড়ছিল নিখুঁত গোলাপী চুমুর ঝড়;
উতল অবতলের সমভূমি মালভূমি পেরিয়ে

আমার দৃষ্টি ফেলেছি, পৃথিবীর সব পথে পথে
কোথায় মানুষগুলো যেন সাঁতরিয়ে যায়
শ্বাসের গন্ধে গলা চড়িয়ে দিচ্ছে চিৎকার-
সব পথ থেমে থেমে ডাকে-বনভূমি, আপনার গাছগুলো নিরীহ প্রাণীর মতো দাঁড়িয়ে
আদিম পাতারা শঙ্খচিলের ডানায়-ওড়ে
নিথর শরীরে রোদের গন্ধ শুঁকে পোড়ে
চারপাশে কোলাহল, রোগী; নার্স-ট্রলি হাতে ঊষর চোখ মেলে তাকায়-দিগন্ত, হাসপাতাল-
সহজ নগরে-মৃত্যুর আগে-এসো-দূরস্থ
এমন সংবেদন

আমার সুখ প্রহরের পাখি ডেকে ওঠে কুহুস্বরে নিদ্রাহীন নিশীথরাতে। স্ব্প্নভঙ্গের হতাশা কুরে কুরে খায় হৃদয়নীল বেদনা তাহার। ঝরে পড়ে ঘন তমসা রাত্রির ভরাট স্তন থেকে। কার যেন ঘুম ভেঙ্গে যায় তিনপহরের ধবল জ্যোৎস্নার ডাকে। হাতছানি দেয় কুয়াশায় মোড়া সুপারীর বন। ডেকে

আজকাল নিজেকে ছাড়াকোনোকিছুতেই
না বলি না, বলা চলে বলতে পারি না
কেনো জানি না, বলতে সাহস পাই না!! হিমালয়ে উঠতে যেমন সাহস লাগে
তেমনি না বলতেও বুকে হিম্মত লাগে
সাহস কিংবা দুঃসাহস কোনোটাই আমার নেই;
তাই নিজেকেই নিজে বলি
হে কাপুরুষ পিক!! তোকে ধিক ধিক ধিক !! আজ জন্মেছি বলেই হয়তো বা

স্বপ্নে ভাগ্য বদলে যায়
প্রতিরাত স্বপ্নের প্রতিক্ষা করি
সুবহে সাদেকের পূর্বে
মঞ্জিল পেয়ে যাবো ঘুম ভেঙ্গে গেলে
অধরা আলোয় স্বপ্ন
মিলিয়ে যায়, জীবন যুদ্ধ
বাস্তবের মুখোমুখি করালে
বিছানা বিলাস অবান্তর মনে হয়
নিজ কর্মে ব্যাপৃত মানুষ
অলীক স্বপ্নের মোহগ্রস্ততা
ঝেড়ে ফেলে
দিনের শুরু
শেষ স্বপ্নে বাধাপ্রাপ্ত হয় না স্বপ্নের মলম, তাবিজ
মনে কাঙ্ক্ষা জাগায়
ঘুম