আমি আজ বিপন্ন জাতির এক নমুনাস্বরুপ,
এইটি আমার কেবলমাত্র ভাবনার খোরাক নয়।
কয়েক বছর আগে তার সাথে আমার পরিচয়,
আমি তার সাজ সাজ চেহারায় আকুল হতে হতে প্রেয়সী ভাবলাম।
কখনো তার বাম হাতের লম্বা নখ দিয়ে আমার নাকে চিহ্ন বসিয়ে দিত,
উপভোগ করার বদলে দেখতাম রোহিঙ্গা নারীর
পৌষমাসে টুসু পূজা…… টুসুর বন্দনা লোকগান
দ্বিতীয় খণ্ড- তৃতীয় পর্ব।
তথ্য সংগ্রহ ও সম্পাদনা আর সম্পাদকীয় কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
নিজস্ব সংবাদদাতা, বাসন্তীঃ- টুসু পূজোর আর এক নাম লক্ষী পূজো, ভূমি বা মাটি পূজা। এই পূজো কে অনেকে
বিবেকহীন জিহ্বা বড় বেশী খোঁজে
সুস্বাদু মাংসের স্বাদ
সাথে সস, তন্দুর, সালাদ ও অন্যান্য।
হাজার মাইল বেয়ে সুদূর সাইবেরিয়া থেকে উড়ে আসা
অসহায় পাখিগুলো আসে এই চরাচরে
একটু আশ্রয়ের খোঁজে।
একটু উষ্ণতার লোভে।
বাঁচার তাগিদে।
আশ্রয়প্রার্থীর রক্ষক হয়ে ভক্ষক আমরা সুযোগসন্ধানী।
পারিনি তোমাদের রক্ষা করতে,
বরং করেছি উদোর পূর্তি
নানা ব্যঞ্জনে।
রকমারী
নলেন গুড়। শব্দটার মধ্যেই আপসে ফুরফুরে সুগন্ধি একঝলক হাওয়া। আমি আবার একে খেজুর গুড়ও বলি। আসলে ছোটবেলায় ভাবতাম নলেন বোধহয় কোনো অপ্রাকৃত মিষ্টি জাতীয় জিনিসের নাম। দুটোকে মেলানো যেত না কিছুতেই। তবে সেই স্বাদ, সেই গন্ধ এখন আর তেমন করে
জীবন|
১৪ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩৮০ বার দেখা
| ১৮৯ শব্দ ১টি ছবি
ভালোবাসা ঠিক কি তা বোঝা হল না আমার। আবার ভালোবাসার অভিনয়ও রপ্ত করতে পারলাম না। বন্ধুরা আমাকে অবশ্য বলতো “তোর যা অহংকার! শেষে কারো ভালবাসা পেলে হয়।” আমি তো হেসেই উড়িয়ে দিতাম তাদের কথা। প্রিয় বান্ধবী শম্পা
জীবন|
১৫ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১০২৬ বার দেখা
| ৪৪৩ শব্দ ১টি ছবি
বাদল। আট বছরের বালক। বাড়ি সিরাজগঞ্জ। বাবা-মার সাথে টংগীতে এসেছে। বাবা ভ্যান চালায়, মা আর বাদল কার্টন বক্স বানানোর কারখানায় চাকুরী পায়। শুরু হয় নতুন জীবন, সুদিনের সংগ্রাম।
হরতাল চলছে। ভ্যান চালানো বন্ধ। কার্টনের কারখানায় কাজের চাপ। রাত ১১টা পর্যন্ত কাজ করতে হয়। একরাতে
কাছে আসার গল্পটা
ছিলো মায়াবী,
দূরে যাবার গল্পটাও
দারুণ। মাঝখানে আটকে গেছে
কিছু অলীক সময়ের ভ্রুণ।
সে এক সুগন্ধি দিন ছিলো,
রাতগুলো তারায় ভরা,
মাঝনদীতে জোয়ার ছিলো,
প্রেম ছিলো বাঁধন হারা।
এখন ফুরালো বেলা,
উজান-ভাটির খেলা,
তুমি যাও যেদিক পানে,
আমি বিপরীতে যাই,
মরণ যমুনা তবু একই দিকে
যেখানে সকলেই নাও ভেড়াই।
কবিতা|
৯ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩৩৮ বার দেখা
| ৩৮ শব্দ ১টি ছবি
তুমি বলেছিলে আজ স্কুল দ্রুত ছুটি হবে
তুমি বলেছিলে বাড়ির গেটের শব্দ শুনতে পেয়েছ?
তুমি বলেছিলে এখন বাদাম বুট চিপ্স খাচ্ছি, খাবে?
তুমি বলেছিলে কালিগঞ্জ শহরে যাব
তুমি বলেছিলে বাবার জ্বর-বাজারসদাই করতে হবে
তুমি বলেছিলে মায়ের অবস্থা বেশী ভালো নয়
তুমি বলেছিলে রাস্তাঘাটে কোনো যানবাহন নেই
তুমি বলেছিলে ছোট ছোট পায়ে
নদী ভাঙ্গনের সাথে
দুঃখের সংযোগ আছে
বসতভিটা হারানোর শোকে
দুঃখের মিছিল প্রত্যক্ষ করেছি
শেষ পর্যন্ত শরিক হইনি
আমাদের বসতভিটা নদী ভাঙ্গনের
পরেও নিজেকে বাঁচিয়ে রেখেছে
দুঃখ তবু ছেড়ে যায়নি
আমার দুঃখ আম, বেদরদি
নদীর জন্য দুঃখে ভাসি
আমের আহামরি স্বাদ ছিল
বলবো না, কিন্তু পেড়ে খাওয়ার
আগ্রহে গায়ের চামড়া
পুরু করেছি
গাছে চড়তে অক্ষম
প্রথমবারে মতো বাবা-মা হওয়ার সময়ও ছেলে সন্তানেরই আশা করে থাকেন বেশিরভাগ দম্পতি। এর সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে সামাজিক মর্যাদা ও নিরাপত্তা। বেশিরভাগ বাবা-মাই মনে করে থাকেন, ‘মেয়েদের তো বিয়ে দিয়ে দেব, তারা পরের ঘরে চলে যাবে। তাই বৃদ্ধ বয়সে ছেলে
জীবন|
৫ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৪১১ বার দেখা
| ২৫১ শব্দ ১টি ছবি
অনেক ভেঙেচুরে দেখেছি
জীবন বলতে বলার মতোন তেমন কিছুই নেই!
জন্মের সময় যেমন উয়া উয়া কেঁদেছিলাম
এখনও তেমনি আহ উহু করেই চলেছি!!
এসবের মাঝখানে কেবল অদল-বদল হয়েছে
চামড়ার ভাঁজ, চুলের রঙ, মুখের গরম;
হাফপ্যান্ট হয়েছে ফুলপ্যান্ট; টিশার্ট, শার্ট এরাও
হয়েছে ছোট থেকে বড়!
জীবন বলতে এর বেশিকিছু আছে কি?
বড়জোর দোলনাটা দুলতে দুলতে