নিস্তব্ধ নিরব মাঝ রাতের এই শহর
শীতের এই সময়ে ঝেকে বসেছে
চারপাশে ঘন কুয়াশার চাদর,
নিভু নিভু আলোতে একলা বারান্দায়
একরাশ কষ্ট আর নিকোটিন এর ধোঁয়ায়
কাটছে নির্ঘুম রাতের প্রহর। মাঝরাতের এই শহর বড় অচেনা লাগে
কোথাও নেই কোনো কোলাহল,
নেই কোনো ব্যস্ততার শোরগোল !
তবে মাঝে মাঝে গলির কুকুরগুলো

চলছে এ এক আজব খেলা চারদিকে শুধুই মুখোশের মেলা, মানুষ খুঁজতে খুঁজতেই চলে যায় বেলা ৷ ব্যানার, ফেস্টুন, মানববন্ধনে দেখি কতশত স্লোগান ঝরে পড়ে, আপন গৃহে তারাই দেখি নির্যাতনও করে ৷ মানবতা সে শধু কথার কথা রুগ্নতায় জরা জীর্ণ আজ মানবতা, তবুও আশাবাদী ধ্বংস হবেই এ নগ্ন

অনেক গুলো বছর নিষুপ্তি আঁখি ক্রান্দনে পাথর,
পাহাড়ি ঝর্না নেমে এসেছে যেন গাল বেয়ে;
কার শোকে ঝরে অবিরাম?
শোকাবহ অশ্রু গড়িয়ে পড়ে প্রিয়তমার ফুলশয্যার বালিশে!
আমার বক্ষের কাছে কষ্টের সূচনা
প্রাণজুড়ে অভিমান,
অলংকারে সজ্জিত দেহ তোমার-
লুটিছে আজ কোন জন?
তিমির কালো নয়নে এঁকেছ মেঘপুঞ্জ কাজল!
আমি ভাঁসি দুঃখে স্বরিৎ জলে ধরিতে

সন্ধ্যাতারা রাতের কার্নিশ বেয়ে প্রবল বেগে অভিমানে ছিটকে পড়েছে সন্ধ্যাতারা,
নির্লিপ্ত আঁধার বেয়ে নেমে আসে নক্ষত্রের আর্তনাদ,
যেন সুনশান নীরবতায় চারদিক
উড়ে যায় প্রেমের স্নিগ্ধ গাঙচিল
সুনীল আকাশে জেগে ওঠে ভালোবাসার পঙতিমালা,
নির্লিপ্ত মেঘের ভাঁজে লুকিয়ে থাকে গোপন
অভিমান,
না বলা কথার সাতকাহন,
সন্ধ্যাতারার কাছে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছিলাম

বৃষ্টিরা এলোমেলো সাঁতরায় ঝিনুকিগতিতে
ঠান্ডাও ঝুপ্পুস সোজা এসে গেঁথে যায়
কথাসব ডুবে থাকে মদির ভোদকার গ্লাসে
রাস্তা ও ফুটপাত হেঁটে যায় মিউট প্রোফাইলে ছয় পায়ে একমনে জাল বোনে সিদ্ধ মাকড়
ছিঁড়ে যায়, রিফু করে, ফের ছিঁড়ে গেলে
ক্যানভাসে হাসি ফোটে স্লোমোশান রক্তপাতে

মানুষ নাকি মাটির পুতুল,
স্বার্থ ছাড়া তো বোঝে না!
মাটির পুতুল নাচতেও জানে,
টাকা ছাড়া তো নাচে না! নাচের পুতুল অভিনয় করে,
টাকার জোরে গানও গায়!
মাটির পুতুল কয় না কথা,
স্বার্থ ফুরালে সে ভুলে যায়! মানুষ নাকি জীবের সেরা,
মান আছে তাঁর হুঁশও আছে!
মহান স্রষ্টার সৃষ্টির সেরা,
কেউ কি

পাখির ডানায় সন্ধ্যা নামে নিষিদ্ধ রাত্রির ইশারায়, জামের ডালে হুতোম প্যাঁচা ঝিমায় ধ্যানমগ্ন চোখে। উড়ুক্কু মাছের পাখনায় চাঁদের আলো চিকচিক ঝলকায়। রূপালী চাঁদের বুকে গ্রহন লেগেছে মহাকালের। আমি আর মহাকাল হাত ধরে হাটি পাশাপাশি। ফিসফিস ঘুমপাড়ানী সুরে সে আমার কানে কানে কয় “যখন যাবার হবে

বদলে গেছোপ্রেয়সী বড় বদলে গেছো তুমি!
অন্য রকম ভাবে অসময়ে,
যে হৃদয়ে ছিলো আমার বসবাস!
আজ সেথায় দেখি অন্য মানুষের আনাগোনা,
এতোটা বদলে যাবে তুমি!
আমার মোটেই জানা ছিলো না! তুমি ছিলে আমার

শ্মশানে পোড়া ছাই, প্রথিত প্রেমিকার, তার আত্মহত্যা-
কালো মেঘ হয়ে শৈত্য বাতাসে ওড়ে, ডিম কুসুমের মতো
হলুদ ঘাসগুলো পাতাশূন্য ভ্রুক দিয়ে দোলে-আলপথও- একা, শুনি-অদৃশ্য পাতার বাঁশি-কুয়োভরাটে খুনো-নৈপুণ্যে
বারান্দা হতে পা-জুতা নড়ে-অথচ বাইরে নুহিতা অন্ধকার-
আহ! এক ঘড়ি পূর্ণিমাচাঁদ কে যেন ছিঁড়ে নিয়ে গেছে
এই ম্লানাভ হাটে, আঙ্গুল গুনে দিন যায়,

একটি সার্থক কবিতা কীভাবে লিখবো?
যখন নগদ দাম দিয়ে বেদনা কিনি
বেদনা কিনতে হয়! এরচেয়ে বরং
কাঠ-খড়ি কুঁড়িয়ে নেওয়া ঢের ভালো
কুঁকড়ে যাওয়া জীবন যদি কিছুটা উষ্ণতা পায়!
শিঁকের চূড়ায় উঠা পারদ নেমে আসতে পারে
আদুরী বিড়ালের তুলতুলে গায়! প্রচ্ছদ প্রজাপতি মূর্ত হোক কিংবা বিমূর্ত
যে গর্তে পড়েছে, সেই বুঝে কোনটা গর্ত
আর কোনটা