ঐ যে বিল্ডিংটা দেখছেন, ওখানে একটি ছেলে থাকে। আমি প্রতিদিন বিকালে ছাদে যাই ওকে দেখার জন্য। ওর সাথে আমার প্রেম নয়, আমার ভাল লাগা। এ ভাল লাগার কথা ছেলেটি জানেও না, হয়তো কোনদিন জানবেও না। ও যখন জানালার পাশে

আকাশটা ছুঁড়ে মারো রাত্রির দিকে আকাশটা ছুঁড়ে মারো একবার রাত্রির দিকে!
শুঁকে দ্যাখো একবার
কত পোড়া পোড়া গন্ধ মিশে আছে
আকাশের গায়ে!
চেয়ে দ্যাখো একবার
কত ছোট ছোট ধূলিকণা মিশে আছে বাতাসের নিঃশ্বাসে! কত মেঘ!
কত আবেগ!
কত জমা রাখে দুঃখবতী কষ্টের জল! কত গল্প!
কত আকল্প বারুদের হাট!
কত না

বুড়ো মানুষ এত মতলববাজ! শ্যামলের জানা ছিল না। তার বয়স আঠাশ। দুনিয়াদারির অনেককিছু দেখার-জানার বাকি। সে দু-চোখের পাতা ছোট করে সামনে পিটপিট দৃষ্টি রাখে। রোদের তাপ বাড়ছে। তীব্র আলোয় সবকিছু কেমন বিদগ্ধঝাঁ-ঝাঁ। এসবের মধ্যে জব্বার মিয়ার অনেক ধৈর্য। মানুষটি একটুও ঘামে না। শীতল মেজাজে

আমার কবিতা সমগ্র
প্রথম খণ্ড গাঁয়ের কবিতা-৪
-লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী আমাদের ছোট গ্রাম প্রিয় সবাকার,
এই গ্রাম, এই মাটি, জননী আমার।
গাঁয়ে আছে্ ছোটনদী বহে কল কল,
গাঁয়ের মাটিতে ফলে সোনার ফসল। প্রভাতে অরুণ রবি লাল হয়ে উঠে,
কাননে কুসুম কলি ফুল হয়ে ফুটে।
তরুর শাখায় পাখি

বড়বাবু-মেজোবাবু-ছোটবাবু একে একে
সকলেই এলেন, খবরের গন্ধে হাজির
একদল রিপোর্টারও। কি হয়েছে? ধর্ষণ?
একজন না অনেক? ও, অনেক?
তাহলে বল্ গণধর্ষণ? থাকিস কোথায়?
– ফুটপাতে? চল্-ডাক্তারের কাছে,
রিপোর্ট চাই-রিপোর্ট!
ডাক্তারবাবুর কাছে ভীড় করে রিপোর্টাররা।
জানতে চায় সমস্ত ঘটনা।
খবরের কাগজের প্রথম পাতায় ছাপা হবে-
“ফুটপাতে গণধর্ষণ”।
আর্কষণ আনতে বক্স করে দেওয়া হবে।
পাবলিক ট্যারা চোখে ঠিক

যাত্রার আসর যাত্রামঞ্চ যাত্রাপালা-৪ পঞ্চাশের শতকেও পশ্চিম বাংলার তথ্য এ দেশের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের মুখে উচ্চারিত হতো নট্ট কোম্পানীর যাত্রা গানের কথা। এ নট্ট কোম্পানী ঝালকাঠি সদর উপজেলার কীর্তিপাশার পাঁজিপুঁথিপাড়া গ্রামের বাবু শশীভূষণ নট্ট এবং তার ভাই হারান চন্দ্র নট্ট প্রতিষ্ঠা করেন। তৎকালীন অবিভক্ত

মন হয়ে যায় প্রজাপতি-উড়ি ফুলোবনে
স্নিগ্ধ আলোর লুকোচুরি-সুখের হাওয়া মনে।
ফুল হয়ে যাও, নয়’তো পাতা-দেখা হবে দু’জন
বসবো উড়ে মনের শাখে-প্রেমের কুহু কুজন।
সুজন হবে তুমি আমার-আমি তোমার সখি
ফাগুন দিনে প্রেমের হাওয়া-মন মাঝে দেয় উঁকি। ২। প্রকৃতিতে_মন_রাখো
ধানের পাতায় পাতায় শিশিরের ফোঁটা
সবুজের সজীবতায় মুগ্ধতা ঝরে

চিরকুট: ১০। তারিখ: ১৪ বৈশাখ ১৪২৬ বাংলা। প্রিয় নির্ঝরিনী
পত্রের শুরুতে জানাই কুয়াশাচ্ছন্ন রোদ্দুরে অষ্ট পাপড়ি মেলে ফোটা উর্ধ্বমুখী রক্তবর্ণী কসমস ফুলের মাতাল করা সদ্য ঘ্রাণ বিলানো শুভেচ্ছা। ব্যস্তময় দিবার দিন ও রাত্রির সন্ধিক্ষণে সমুদ্রের তলদেশে ডুবে

হ্যালো, আপনাকে বলছি, শুনতে পাচ্ছেন তো ? ভেবেছিলাম কানেও শোনেন না, চোখেও দেখেন না। “I simply dont care” আপনি এই মুহূর্তে কি ভাবছেন। আপনার ৭ বছর বয়সী পুত্র সন্তানকে ঠিকঠাক বৈষম্যতা দূরীকরণের মন্ত্র দিচ্ছেন তো ? এখনও না !! তবে কবে?

রাতের বয়স বাড়ার সাথে সাথে শাদা হতে থাকে চাঁদ, আজও হবে। সিগারেটের ধোয়া গন্ধ ছড়িয়ে মিশে যাবে হাওয়ায়। গাছের পাতায় পাতায় জোছনা, গাছের নিচে নিবিড় অন্ধকার। পাতা ফুড়ে জোছনা নামেনি সেখানে। জোছনার বিদ্ধ করার ক্ষমতা নেই, তবু কি এক আশ্চর্য কৌশলে এফোঁড় ওফোঁড় করে

দূরে আছি
দূরেই ভালো,
দূর থেকে অভিমান
দূর থেকে ঝগড়া
কাঁদা হাসা
আর দূর থেকে ভালোবাসা,
দূরত্বে থেকেই বড্ড ভালো; কাছে আসলেই তো মুখোশ
কাছে আসলেই লুকোনোর অনুভব,
কত কিছুই না আমরা লুকাতে চাই প্রিয়জনের কাছ থেকে!
দুঃখ, কষ্টগুলো লুকিয়ে রাখি আয়নার আড়ালে
আর কান্নাগুলো রাতের আঁধারে,
এই যে হাসি মুখটা দেখিস!

হে মানুষ, মানুষ হয়ে বাঁচো
প্রতিদিনকার ছিনিয়ে নেয়া সূর্যের রস নিয়ে বাঁচো। বর্তমানে বাঁচো,
ভবিষ্যতের চিন্তা করে নিজের নিশান
ভঙ্গ করে একটুও না আসো।
সময়ের স্রোত দ্রুত প্রবাহিত হয়ে চলেছে। হে মানুষ, মুগ্ধ হয়ে বাঁচো,
আপন পথের দিশা নিয়ে বাঁচো
ভালোবাসায় বাঁচো, কাছে এসে বাঁচো। অহংকারের দম্ভ নিয়ে একটুও