বৃষ্টি রাতের কথারা বর্ষা আমার প্রিয় ঋতু। আজও আমি বৃষ্টি ভিজি আজও আমি বৃষ্টি দিনে হারিয়ে যাই আমার রূপকথার দিনগুলোতে। টিপটিপ বৃষ্টি সারাদিন। বৃষ্টি হয়ে যাবার পর, মন চলে যায় ছোটবেলার বৃষ্টি রাতের সময়ে। সে সব রাত, যখন টিমটিমে হ্যারিকেনের

তোমার ভেতরে চোখ পড়তেই এক পুরোনো ভৌতিক কবরস্থান ভেসে উঠলো
চার পাশে ঘন জঙ্গল
মধ্যদুপুরেও গভীর অন্ধকার। তোমার ভেতরে কোনদিনই আলো পৌঁছেনি
নিঃসীম অন্ধকারে ঢাকা বিষন্ন কিছু কবর,
সেখানে স্তূপ স্তূপ যন্ত্রণাগুলো ঢিবির মতো উঁচু হয়ে আছে,
কোথাও আবার গভীর খাদ
জরায়ু ছিঁড়ে আসা

বিটি পলাশডাঙার আদিবাসী পাড়ার একটা ঘরে
আজ কুন আলো জ্বলেকনি,
তুলসীতলায় কুন পিদিম জ্বলেকনি,
জ্বইলবেক বা কেনে-
এক বছর ধরে তিল তিল করে গড়া স্বইপ্নো
ভেঙে ধূলায় গড়ায় গেছে।
অইন্ধোকার দাওয়াতে এইক কোণে বুইসে
গালে হাইত দিয়ে শিবু সোরেন ভাবে-
বউটা মোরে ঠকাইছে বটে! ব্যাটা দিব বুলে শ্যাষে
বিটিটা দিলো! বংশের বাতিটা এখুন জ্বালাইবেক

কেন এমন হয়?
বারে বারে অসহায়ের
স্বপ্ন ভেঙে যায়? বাঁচে যারা আশা নিয়ে
শান্তি জলাঞ্জলি দিয়ে,
অত্যাচারের শিকার শুধু
তাঁরা কেন হয়? যে কোনদিন দ্যাখেনি সুখ
শুধু আশায় বেঁধেছে বুক,
সারা জীবন কেন শুধু
তাঁরাই দুঃখ পায়? জোটেনি যার ভালোবাসা
কষ্ট নিয়ে ভবে আসা,
একটু মুচকি হাসি কেন
তাদের জন্য নয়? হোঁচট খাওয়া

আজ তিন মাস ধরে ক্লাব ঘরে নিয়মিত চলছে নতুন যাত্রাপালার মহড়া। যাত্রাপালার নাম ‘সিঁদুর দিয়ে কেনা ভালবাসা’।
প্রথম অঙ্ক প্রথম দৃশ্য। দৃশ্যের শুরুতে হ্যারিকেন হাতে একটা ছায়ামূর্তি কোনও রকমে টাল সামলে ধীরে ধীরে মঞ্চে প্রবেশ করে।
বাড়িতে ঢোকা মাত্রই কেউ চিৎকার করে বলল, ‘‘এই সিঁদুরের

হাজারো আলোর ঝলকানিতেও পৃথিবীটা আঁধারে ঢাকা ;
যেমন করে বাতির নিচেই ভরে থাকে ঘোর কালো আঁধারে। লাখো কোটি মসজিদ মন্দির গীর্জায় আজ পৃথিবী
ঢাকা ;
যেমন সারিসারি পাইন গাছ দাড়িয়ে থাকে মাথাটা উঁচু করে। কখনো কবর কখনো চিতা থেকে উঠে আসে জ্বলন্ত দীর্ঘশ্বাস ;
যেমন করে কেঁচো উঠে আসে

আমার কবিতা সমগ্র
প্রথম খণ্ড গাঁয়ের কবিতা-৩
-লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী গাঁয়ে আছে রাঙাপথ শাল বন পাশে,
বাজিছে মাদল বাঁশি সুর ভেসে আসে।
লাল ধূলোর রাস্তায় পথ গেছে বেঁকে,
পূব দিকে উঠে রবি লাল রঙ মেখে। সকালের সোনা রোদ ছড়ায় কিরণ,
কমল কাননে ধেয়ে

চিরকুট: ০৯ তারিখ: ০৯ বৈশাখ ১৪২৬ বাংলা। প্রিয় চিঠিওয়ালী অবেলা,
পত্তরের শুরুতে দ্বিপ্রহরে প্রাক্কালে শহরের রাস্তার পাশে মাথা নুইয়ে ঝুলে থাকা লাল টকটকে আনকোরা ডালিম ফুলের সৌন্দর্যবর্ধন মুগ্ধ শুভেচ্ছা। কর্মব্যস্ততার ক্লান্তির ছাপ মুছে মেঘনা নদীর কুল কুল প্রতিধ্বনি শুনতে শুনতে তোমায় লিখছি। কেমন

সোনালি স্বপ্নীল রঙিন ফানুসে এই সোনার বাংলায়
হবে কি আমাদের জীবন রঙিন সাজে ?
কলুষিত এই সমাজে বারেবারেই আমাদের স্বপ্ন ভাঙে,
এ কেমন সোনার বাংলাদেশ ?
এমনটাই কি চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু ?
দাঁড়িয়ে আছি মৃত্যুর মুখোমুখি,
বলা যেতে পারে জীবন ও মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। নষ্ট সমাজের নগ্নতার কদার্য্যে,
আজ জর্জরিত

©কাজী ফাতেমা ছবি শব্দ নিয়ে লুফালুফি হয় বুকের পাঁজরে,
ভেতরে বয়ে যায় তুমুল ঝড়!
অগনিত শব্দের সমাহারে
দু’চার বাক্য লিখলেই হয়ে যায় না কবিতা;
সে বুঝি, তবুও রোজ হই অবুঝ। অপেক্ষায় থাকে হাজারো দু:খী শব্দ
শব্দগুলো আঙ্গুলের ডগা হয়ে কী বোর্ডে ছিটকে পড়তেই
হাহাকারে ছেয়ে যায় মাইক্রোসফট

টিপটিপ বৃষ্টি। লোকাল বাস। স্টপেজে থামতেই দু’দল মানুষের উঠানামা। ক্ষনিকের বিরতিতে এলোমেলো সময়। মানুষগুলোও পলকের দ্বিধায় ভোগে। কেউ অপেক্ষমান রিক্সার খোঁজে তাকায়। দু’একজন চায়ের দোকানের দিকে চেয়ে ভাবে- তেষ্টা মেটানো জরুরী, না বাসায় ফেরা? সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে অনেকেই। তবে

হৃদয়ের জমিন ক্ষয়ে গেছে তোমার ক্যাকটাস ভালোবাসায়
শেষ রক্ত কণিকা বিলিয়ে দিয়েছি তোমার সতেজতায়
আমি সিঃস্ব থেকে নিঃস্বতর হয়ে পড়েছি অদম্য মোহে
রিক্ততার মাঝে স্বপ্নের পালক উড়িয়েছি মুক্ত আকাশে। সনাতনধারার ভালোবাসা মোহ ভঙ্গের যবনিকাপাতে
আমি খেই হারিয়ে ফেলেছি গিরিসম অগ্যূৎপাতে
নীলিমার মাঝে আত্মবিসর্জনে উন্মাতাল দিনগুলো আজো মনে পড়ে
ভাবি,

যাত্রাপালা আজকাল লোক শোনে না। প্রান্তিক গ্রামগুলোর কথা না হয় বাদ দিলাম কারণ তাদের সেখানে শহুরে ছোঁয়া লাগতে এখনও বোধকরি বেশ কিছুটা বাকি আছে। একটা সময় ছিল যখন যাত্রাপালার বিশ নাম ছিল। ইদানীং কালে সে যুগ এখন অতীত, সবটাই কালের গ্রাসে আজ ম্রিয়মাণ। যাত্রাপালার