আলোর মাল্টিপ্লাগ সিজার করার মতো
আষাঢ়ে বৃষ্টি সহজ-সদিচ্ছা মাতৃগর্ভ সুর বিলাচ্ছে
যেভাবে সবুজ ধানখেত নিয়মিত হাঁটছে-
বাঁকা দিগন্তরেখা নদী হয়ে পা চালায়-
বাদলাভ্রম মেঘ, সকালের রৌদ্রহাস,
হাওয়ার করোটি পাখি শিস বাজায়- ইউনিফর্মিটি রং সেলাই বাধানো গহিন পৃথিবী
একেকটা ঠিকানা ওড়ায়-
ঋতুর গ্যালারী হতে আলোর মাল্টিপ্লাগ!

বন্ধু তোর নিঃশ্বাস যদি ভারী কিছু টানে
বুকের পাঁজরে ক্ষয় এর আবরণে
সরে গিয়ে দায় থেকে মুক্তি কি মেলে
চলে আয় চলে আয় ভাগ করি
কষ্টের কথন, চলে আয় চলে আয়
এক সাথে চেয়ে দেখি নক্ষত্র পতন বন্ধু তোর চোখের পাতা যদি ভিজে

বৃষ্টি কাব্য দ্বিতীয় খণ্ড বৃষ্টি কবিতা-৭
-লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী আষাঢ়ে নেমেছে বৃষ্টি অঝোর ধারায়,
অজয়ে এসেছে বান গ্রাম ভেসে যায়।
পথ ঘাট দিঘি খেত ডুবে আছে জলে,
রাঙাপথে লোকজন ভিজে ভিজে চলে। ওপারে বাদল

চাঁদনগর টেনে যাচ্ছি আর ক্রমশ’ই দীর্ঘ হচ্ছে সুতোসন্ধ্যা
পিয়ানোটাতে বসেছে যে পতঙ্গ, সে’ও বার বার
গেয়ে যাচ্ছে বেদনার গান
সুরঘোরে আমিও ডুবে যাচ্ছি মদের মধ্যমায়। বারিবৈষম্য জেনে এই দিগন্তে বৃষ্টিপাত থেমে
যাবার পর, আকাশও থামিয়ে দিয়েছে ছায়ার
পরিমাণ। তাই যে সব প্রেমিক-প্রেমিকা
ভেজার আগুন নিয়ে খেলতে চেয়েছিল,
তারাও সংক্ষিপ্ত করেছে তাদের ভ্রমণ

বৃষ্টি কাব্য দ্বিতীয় খণ্ড
বৃষ্টি কবিতা-৮
-লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী আষাঢ়ের মাসে
কালোমেঘ ভাসে
আকাশের আঙিনায়। মেঘের গর্জন,
প্রবল বর্ষণ,
চারিদিকে বসুধায়। বরষা নেমেছে
পুকুর ভেঙেছে
জল ঢুকে মোর গাঁয়। ছিঁড়ে গেছে পাল
মাঝি ধরে হাল
আনে তরী কিনারায়। ঘাটে কেউ

উভয়ে অবিচ্ছেদ্য জেনেছি সময়ের বিবর্তনে কতো কিছু বদলে যায়; তুমি আমি বদলাবো এমনটা ভাবি না কখনো। আমরা বরং অধিকতর সুন্দরের কাছে সমর্পিত হবো। যৌথ হৃদয়ের আবাদে পৃথিবীর জন্য রেখে যাবো উৎকৃষ্ট শস্যদানা; শ্রেষ্ঠতর সম্পদ! আমরা বরং মাটি হতে তুলে নেবো কাদাময় ঘ্রাণ! বুকের নরমে জন্ম

ভালবেসে কেঁদেছিলো যারা নিঃসঙ্গ রাত, তুমি নিছিদ্র
অন্ধকারের বুকে কুঁড়ে কুঁড়ে মরো,
আমি জ‍্যোৎস্না শতদল তোমার বিমূর্ত প্রেমে মুগ্ধ …
আমাকে যদি ভালবাসার প্রতিশ্রুতি দাও –
আমার অপরূপ সৌন্দর্যে তুমি জেগে ওঠবে,
সকল অন্ধকারের জট খুলে –
যেমন জেগেছে পৃথিবী ! তোমার প্রেমের চোরা কাঁটা বিঁধেছে
আমার এই বুকে,

দ্য আর্থল্যান্ড ঐ যে!
আমি শুনতে পাচ্ছি সেই শব্দ! কান পেতে রেখো,
যে রাতে চাঁদ নেই চারিদিকে শুধু নিস্তব্ধ
শুনতে পাবে তুমিও সেই শিহরণ জাগা শব্দ। এটা বিগ-ব্যাং এর মতো তীব্র কোনও শব্দ নয়,
কিংবা এটা কোনও এয়ার প্লেন দ্বারা
ওয়ার্ল্ড ট্রেড-সেন্টার ধ্বংসের শব্দও নয়। এটা কোনও ধনীর দুলালের

জলধর্ম নিজস্ব ধারাপাত জুড়ে জলের খেলা
প্লাবনে ভেসে যাচ্ছে অক্ষর
চোখের কাজল
দহন – দূর্বাঘাস কারা যেন বলেছিল
যে সাঁতার কাটতে জানে না
তার নেই চুমুর অধিকার মাদুলি দুলছে – নাভি বরাবর
যেন সুযোগ সন্ধানী বৃষ্টি
রাষ্ট্রীয় শোক শেষে নেমে আসে দৃষ্টি কে সইতে পারে- ছাতার তলার নিম্নচাপ
হঠাৎ মেঘ
মফস্বলে ধর্ম খুইয়ে হচ্ছে সব শহুরে।