বৃষ্টি এতো অন্ধকার করে মেঘ করল কেনোরে হঠাৎ
পৃথিবীর কোথাও কোন ভালোবাসা দুঃখ পেয়েছে কি?
প্রত্যাখ্যাত হয়েছে কোন প্রেম-পত্র
অপূর্ণ থেকে গেছে কি কোন আগ্রহ-ভরা চুমু
নতুবা প্রকৃতির এমন ছেলে-মানুষি দস্যিপনা কেন?
না, না, সম্ভবত আজ কেউ ভালোই বাসেনি এ গ্রহে
রোমান্টিক মুহূর্তে নিরপেক্ষ আঁধারে,

বাসন্তিক বিষুবন আলোরা কষ্ট পাচ্ছে, কষ্ট পাচ্ছে
পাখা ছাড়া উড়তে উড়তে পুড়ে যাচ্ছে
হাজারো সূর্যাস্ত
দখিনের রাস্তায় ঘুরে যাচ্ছে দীর্ঘ নিঃশ্বাস
ফুলে ধর্ণা দেয়া মৌমাছিগুলো
ফিরে যাচ্ছে, ফিরে যাচ্ছে
দেখেশুনে এসব, কষ্ট হচ্ছে। বিগত জীবন থেকে বেরিয়েছে এই দেখো
একটা পাথর, রঙচঙে কি?
দেখে মনে হয় কারো কিছু হয়েছে কোথাও।
কোথায় কি হয়েছে? ভুল?
ভুল হয়েছে?
জীবনে

নঞর্থক ব্যথিত হবো?
শোকে ম্লান হবো?
মেনে নেবো? মেনে নেবো? মাথা নুয়ে দেবো? শিখে নেবো? শিখে যাবো?
কদর্য পাঠ! চাটুকরী ভাষা! তার চেয়ে ভাল
বেশ্যার কোমর আর
শিশ্ন আঁকড়ে বাঁচা!

ভয়ঙ্কর আর্তনাদ, মানুষের কাতর মুখ
দ্যাখি, সততই খাই ভ্যাবাচেকা;
ধ্বংস বহুরূপী যেন তারা বড়ই উন্মুখ
ধরিত্রী বুকে উড়ায় পতাকা। রঙ বেরঙের মুখে কত ডঙের মুখোশ
চোখে ভালোবাসা, অন্তরে শূল;
ঝাপসা হাতছানিতে পাগল তবু মানুষ
করে নিক্ষিপ্ত হৃদয়ে বিষ হুল। প্রাণ স্পন্দন চাবি আছে যেন পকেটে
সুখের তালা খুলে সাধ্য কার;
ব্যর্থ ব্যথিত ভাবে লিপিবদ্ধ

অজয় নদীর ঘাটে
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী অজয় নদীর ঘাটে।
দিবসের শেষে বেলা পড়ে আসে তপন বসেছে পাটে। ঘাটে নাই মাঝি, তরী বাঁধা আজি, অজয় নদীর চরে।
সাঁঝের আকাশে তারারা ফুটেছে

ঈদে রুচিশীল পোশাক সময়টা গরম হওয়ায় আসন্ন ঈদ পোশাকে টুয়েলভ ক্লদিংয়ে ফেব্রিক ও রঙে দেওয়া হয়েছে বিশেষ গুরুত্ব। পোশাকে কটনের ব্যবহারটাই করা হয়েছে বেশি। পোশাকের ডিজাইনের ক্ষেত্রেও থাকছে রুচিশীলতার ছাপ। ট্রেন্ডি পোশাকগুলোর প্যাটার্নে ওয়েস্টার্ন স্টাইলের সঙ্গে থাকছে দেশি ঘরানার ফিউশন। ঈদ পোশাকে

খুঁজিস কাকে?
অস্থির হয়ে; আমরা অস্থির হই খুঁজে ফিরে
অস্থির হই ভুল সময়ে খুঁজে
অস্থির হই ভুল জায়গায় খুঁজে,
আছে,
কেও না কেও তো আছেই
প্রত্যেকটা মানুষের জন্য কেও না কেও নির্দিষ্ট হয়ে; হয়তো এখনো দেখা মেলেনি
হয়তো এখনো ভালো করে খোঁজাই হয় নি
তাই হয়তো তাকে খুঁজে পাস নি,
তবে

(পুরনো গল্প) বোকা বোকা লম্বা
(শেষ পর্ব) মা
সরকারবাড়ির পুকুরে অর্ধেক জল, বাকি অর্ধেক ঢেকে গেছে কলমি-বেতো শাকে। সেখান থেকে ঢাল বেয়ে ওপরে উঠলে লম্বা ঘাসভরা জমি, মুখ না তুলে হাঁটো যদি, নাকে সুড়সুড়ি খেয়ে হাঁচি আসতে বাধ্য। তারপর বাতাবিলেবু গাছ একটা, যেখানে সোমঋতাদের দুধেল গরু আব্বুলিশ

জলস্তম্ভ ও জীবনেরা আমরা নদীতীরে দাঁড়িয়ে যখন বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করছিলাম,
তখন আমাদের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল একটি শান্ত বাঘ,
তার হলুদ-কালো গায়ের চামড়ায় ডুবেছিল দুপুরের রোদ
কয়েকজন রাখাল, বাঘটিকে চরাতে চেয়েছিল ধূসর মাঠে।
মাঝে মাঝে বন্যপ্রাণীরা তৃষ্ণার্ত হয়ে লোকালয়ে ছুটে আসে,
জীবনের জন্য নির্মিত জলস্তম্ভের ছায়ায় দাঁড়িয়ে ওরা

জীবের সেরা মানুষ আমরা পৃথিবীতে কি নেমে আসছে অন্ধকার?
চারদিকে দেখি হিংসা, নিন্দা, অহংকার!
দেশে দেশে মানবতার করুণ হাহাকার!
চলছে গুলিবর্ষণ, খুন, ধর্ষণ, বলাৎকার! চলছে টিকে থাকার স্বার্থরক্ষার প্রতিযোগিতা!
করছে হিংস্র জালেমদের রক্ষার সহযোগিতা!
করছে সদা মন্দরা ভালোকে অসহযোগিতা!
ধর্মীয় উপাসনালয় হচ্ছে রক্তমাখা, অপবিত্রতা! ধর্মের নামে মৌলবাদী হাকছে হুংকার!
করছে

ঈদ মানে আনন্দ বা খুশী। নানা ভাবে মানুষ আনন্দ পায়। শুধু মানুষ কেন প্রকৃতির যে কোন প্রাণীই আনন্দ, দুঃখ কষ্ট, ব্যথা বেদনা ইত্যাদি অনুভব করে। এর নির্দিষ্ট কোন সংজ্ঞা নেই। কে কিসে আনন্দ পাবে তা সে নিজেও সঠিক জানে না। স্থান, কাল, পাত্র, সমাজ,