ঈশ্বর আকণ্ঠসূরার ভারে
টলতে টলতে কোথায় যাচ্ছে এ মাতাল শহর! আমাদের ঘরে কোন ঈশ্বর আসেন না।
মেঘ ছিঁড়ে ঝুম বৃষ্টি নামলেই,
আধোঅন্ধকার ঘরে
থোবড়ানো বিয়ারের ক্যান হাতে কেবলই ঝিমান।
আমরা দিনরাত্রি তার তপস্যায় থাকি
প্রার্থনারত হাতগুলো থেকে মাঝেমধ্যে ‘আহা’ ধ্বনি বাজে। মাত্র আধহাত দূরে পানপাত্র রেখে
যে লোকটা অসীমধৈর্যে বসে আছে
ঠোঁটে ছোঁয়ালেই শেষ হয়ে

তোমাদের মনে পড়ছে; তোমরা এখানে ছিলে
তোমরা ভালবাসতে রূপোর নূপুর, সবসময় পরতে
তোমরা প্রজাপতির মতো উড়তে, নাচতে
কিন্তু তোমাদের নূপুরগুলোতে শব্দ হ’তো না
আর আজও অজ্ঞাত ও রহস্যাবৃতই তা;
তোমরা ভালবাসতে শিশিরভেজা সবুজ পাতা
চাইতে, বারোমাসই এরকম শীত থাক শহরে
আসন্ন বসন্তের জন্য আমরা উদগ্রীব

জনক দিবসের কবিতা র প্রারম্ভিক আলোচনা
বিংশ শতাব্দীর প্রথমদিকে থেকে পিতৃ দিবস পালন শুরু হয়। আসলে মায়েদের পাশাপাশি বাবারাও যে তাদের সন্তানের প্রতি দায়িত্বশীল – এটা বোঝানোর জন্যই এই দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে। পৃথিবীর সব বাবাদের প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা প্রকাশের ইচ্ছা থেকে যার

বৃষ্টি কাব্য – ৩
-লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী বৃষ্টি-মুখর বাদল দিনে বৃষ্টি যখন ঝরে,
মেঘবালিকা কন্যা আমার তোমায় মনে পড়ে।
ফুটেছে কত কদম্ব ফুল,
কেতকী যুঁথী টগর বকুল,
সুবাসে তার প্রাণ

সচরাচর ভীষণ স্মৃতি ভ্রষ্ট হই
স্মৃতির আনাচে কানাচে কুঠুরি কোটরে
কোণাকাঞ্ছিতে ঝুল জমে
কালো বিকট
ভয়াল কিম্বা বাগেশ্রী রাগ পাশাপাশি
চুমোচুমি করে ঝুলবারান্দায়
চু কিতকিত খেলে
আর আমি আষাঢ়ের না আসা মেঘের তল্লাশে
শূন্য শূন্য দিকশূন্য আকাশের
সাত সন্তানের মায়ের সমতল বুকের মত আকাশ
ছানবিন করতে করতে
করতে করতে ক্রমাগত

মৃত্যু তোমাকে
মূল কবিতা : আনা আখমাতোভা
অনুবাদ : রিয়া চক্রবর্তী একসময় না একসময় তুমি
গ্রহণ করবে আমায় –
এখনি নয় কেন? তোমারই প্রতিক্ষায় আছি –
সহ্যের সব বাঁধ ভেঙেছে,
অন্ধকারে, দরজা খুলে রেখেছি।
সাথে এনো যন্ত্রণা উপশমের
আশ্চর্য কোনো যাদুকরী মলম।
যদি কোন মন ভোলানো ছদ্মবেশ ধরতে হয়,
তবে ছদ্মবেশেই

==========================
এখনো কিছু আটে কলার পুষ্টি সদ্য নাই
সময়েরও গণ্ডি অতিক্রম শুধু বোধহীন-
কেনো না তাদের মৃত্যুর কোন ভয় নেই;
শুকনো ঝরা পাতার মতো আয়োজ করে
বিশ্বাসটুকু নাই পুঁজাকৃত ফুলের ! তবুও তারা ভাল আছে এ ভুবন জুড়ে
কেনো না তারাই কলার গাছ বপন করে-
আর লাল মান্জুলের মতো বাঁচতে আনন্দ পায়
অতঃপর

বৃষ্টি কাব্য – ২
-লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী বৃষ্টি মানে মিষ্টি মেয়ে বৃষ্টি মানে জল
বৃষ্টি মানে মেঘ সৃষ্টি, গগন মণ্ডল।
বৃষ্টি মানে বারিধারা ঝরে অবিরল,
বৃষ্টি মানে রৌদ্রতপ্ত সিক্ত

আমাদের দেশে সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছে, এমন মানুষের সংখ্যা হাতে গোনা। এই ছোটগল্পটি সোনার চামচ মুখে দেয়া যুবকদের সম্পূর্ণ বিপরীত শ্রেণির এক যুবকের। যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ শেষে চাকুরি না পেয়ে অক্ষম যন্ত্রণায় সময় কাটায়।

একটা নদী ছিলো
উচ্ছল পাহাড়ি
কলকল ছলছল বয়ে যেত; একটা নদী ছিলো
মন অভিমানী
যখন তখন অভিমান
অভিমানে ভাটা আর অভিমানে জোয়ার; একটা নদী ছিলো
খুব, খুব রাগী
যখন তখন রাগে দুকুল ছাপিয়ে বন্যা
পাড়ের মানুষগুলোর কি হবে, কখনো ভাবে

কুইনেলা সম্ভাবনা যদি কোনো উৎকৃষ্ট ব্র্যান্ডের নাম হয় তবে আমি মোক্ষম উপায়ে বাঁচিয়ে দিতে পারি সাদা জাতের একটা ঘোড়া পরিবার। প্রাচীর ডিঙ্গাতে পারে এমন সব তেজী ঘোড়া রেসের জন্যে রেখে দেব। খোঁড়া মেয়ে হেঁটে যাবে, দৌড়ে যাবে মাইলের পর মাইল। ঘোড়দৌড় থামানো যাবেনা। ওদের সোনালী

কোথাও স্থবিরতা নেই দেখো এই দিব্যি কেটে যাওয়া
দিন অনন্তের সুর,
আর দিগন্তের গোধূলি রাঙা
বেলা, পশ্চিমে ঢলে পড়া সূর্য।
একইরকম ভাবে ছুটছে আমার সাথে এই সন্ধ্যাকর আকাশ
ভরাট রশ্মির চাঁদ, মেঘ ফেড়ে
ছেয়ে যাবে বুদ্বুদ তারায়। দেখো দিব্যি এই কেটে
যাবে রাত, তরতর করে এগিয়ে
যাওয়া সেকেন্ড থেকে মিনিট তারপর ঘন্টা,তারপর

রাত ভাষা বোঝে আমার প্রিয় তুমি। সব সময়
– শ্যামলা নারী, হিমোগ্লোবিন গাঁথা
রক্তজবার মতো লাল চোখ
আগুন ঢালো, জল ঢালো
তবু ভীষণ যন্ত্রণায় ভালবাসা। একলা যুবক, আমি একলা পুরুষ
চোখে গহিন সুখসার আকাঙ্ক্ষা,
কোজাগরী স্বপ্ন বুকডান মৌসুম তলে
স্নায়ুচাপা তরঙ্গ নিঃশ্বাস ওড়ায়-
পাগল পাগল অনুরণন বাহানা
পাখির মতো চুপচাপ গাছডালে
রাত ভাষা বোঝে, তুমি

গল্পের সীমানায় জীবনের গল্পে প্রত্যাবর্তন করবো
এই ভেবে বস্তাবন্দীকরণ প্রক্রিয়া শুরু
এতোদিনের অগোছালো গল্পের কিনারা
লাগাতে হবে, গল্পহীন প্রান্তর অনেক দেখেছি
অনেক হাঁটা হলো শূন্য গল্পের সীমানায়
অযোগ্য আস্ফালনের পরিমাণ যাচাই হলো
অগল্পের ময়দানে অনেক ত্যাগিত হলো শরীরের ঘাম জীবনের নিষ্ফলতায় কাটিয়ে দিলাম দীর্ঘদিন
এবার কিছু ফলের সন্ধান হউক
বন্ধ্যা ভূমির অপর পাশে উর্বরা