বুকে আর মুখে
মিছিমিছি হাসি মেখে
যায় না ভুলা জীবনের দুখ; বেদনার সাগরে
যত বেড়াই সাঁতরে
তবু কি শুকায় সজল চোখ ? সুখ বড়ো চতুর
হাসিখানি যার সুমধুর
হাতছানিতে পড়ি খপ্পরে; করায় স্বপ্ন স্নান
হেন তার ভণিতা ভান
উধাও সহসা সবই ছেড়ে। কষ্ট হাসে আড়ালে
ফাঁসতেই বেড়াজালে
কেউ তখন রয় না পাশে; জীবনে এই খেলা
প্রাণীর তথাপি পথ চলা
কাড়ে খোলসটি

অজয়ের গান
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী গাহি অজয়ের গান।
অজয়ের বাঁকে আম্র-তরুশাখে কোকিলের কুহুতান। অজয়ের ঘাটে প্রভাতের রবি প্রতিদিন দেখি উঠে,
মাথায় পসরা লয়ে যাত্রীরা খেয়া-ঘাটে আসে ছুটে।
কত গরুগাড়ি আসে সারিসারি

মনের ভেতর মাটির ঘর অনেক বছর ধরে ইটপাটকেলের শহরে বাস করছি। সুখে থাকি আর দুখেই থাকি, সবসময় প্রিয় মাতৃভূমির জন্মস্থানের কথাই মনে পড়ে। মনে পড়ে গ্রামের বাড়িতে নিজেদের মাটির ঘরটির কথা। আমার বাপদাদার ভিটেমাটি ছিল নোয়াখালী জেলার চৌমুহনী থানাধীন মাহাতাবপুর গ্রামে। এই মাহাতাবপুর গ্রামের ‘মাইটগা

================
ও শখের মন- মন
মন চিনলি না-
মন তো পাগলা ঘোড়া
মাটির সাথে দেহ জুড়া
ও শখের মন- মন
মন চিনলি না। হাতের কাঠবান্ধা শখের
সুখ হলো- শুন্য হাওয়াই
মন শঙ্খ ‍উড়লো;
তবুও তুই মন চিনলি না
চলছে ভবের অত ঘোড়া
মিলে না ব্যস্ত জুড়া; পথের বাঁকে ধূলির মেলা
তাও মাটি সখে অন্তর্মালা
সুখে

টু হুম ইট মে কনসার্ন দূরত্বের কিছু আলাদা সৌন্দর্য আছে
যেন চাঁদ জ্বলজ্বলে ওই দূরে
ঠিকানা খুঁজছো
আশ্রয় খুঁজছো
অনন্তর কোনো সুগন্ধি রাত
যা কি না জিহবা ভেজাবে
আলতো আশা জাগাবে
কিছুটা ক্ষোভ
অনেকটা তরুণাস্থির মতন
ভেঙে না গেলে ব্যথা লাগবে না এ এমন এক চাঁদ
মহাকাশ ভ্রমণের গল্প যেন, খুবই

মরুতে বেড়াতে এসে মরুতে বেড়াতে এসে হই হতবাক
কোথায় তবে ঐ সিডনী আর লন্ডন
মনে হলো যেন, এখানে সকল ধন
চোখে পড়েনি বালি তাক, উটের ঝাঁক। শূন্য সকল রাস্তা ঘাট, কই মানুষ
চলে গাড়ি ঘোড়া অবিরত ফিস্ ফিস্;
আইন কানুনেও নেই উনিশ বিশ
এতো সুন্দর এই মরু,

ইল্যুসন হ্যাঁ তোমাকেইতো!
যুগ যুগ ধরে খুঁজেছি তোমাকেই।
শুধু যুগ? অনন্ত মহাকাল নয় কেন?
চেনাঅচেনা সমস্ত মুখের ভীড়ে তোমার আদল
ব্যস্ত সড়ক পার হতে হতে
প্রতিটি পথিকের দিকে খরচোখে তাকিয়েছি।
তুমি কোথাও ছিলেনা। হয়তো থাকোইনা।
তুমি যে থাকোনা — তুমি যে অলীক
কেউ বললোনা সে কথা। অনেকেই জানে।
হয়তো

ঋণ কখনও কখনও এমন রাত আসে, যেসব রাতে, একলা চাঁদের চুপচাপ বসে থাকতে ইচ্ছে করে। এখনও সেসব রাত আসে, গতকালও এসেছিল। মান, অপমানের তুলাদণ্ডে অপমানের পাল্লাই ভারি থেকেছে সবসময়। সময়ের নদী তিরতির করে পায়ের পাতার নীচে আকুল হয়ে দাঁড়ায়। স্রোতের মতো

একটা সময় ছিলো কানের
একটা সময় ছিলো আমার শোনার,
একটা সময় ছিলো ঠোঁটের
একটা সময় ছিলো তোর কথার
একটা সময় ছিলো ফোনের
আমাদের দুজনার; তোর ঠোঁট আমার কান
গরম হতো ফোন
মাঝে মাঝে রেগে গিয়ে হ্যাং হয়ে যেত
কখনো মোবাইলের ব্যালেন্স ফুঁড়িয়ে যেত
তোর কথা কি ফুরোতো? মনে আছে সে দিনগুলোর

শেষ প্রহরে সমুদ্রের পায়ের কাছে দাড়িয়ে
হাত বাড়িয়ে তাকে ছুঁতে পারিনি
জানালার ওপাশে দাড়িয়ে দেখেছি
ঝমঝম বৃষ্টি;
সেই পাড় ভাঙ্গা উথাল পাথাল বৃষ্টিতে
ভিজতে পারিনি কোন দিন। আকাশে মেঘের ডাক শুনেছি হর হামেশাই
দেখেছি ভর দুপুরে অলোর পরিবর্তন;
চৌকাঠ থেকে বাইরে পা দিয়ে তাকাতে
সাহস হয়নি, দেখতে পারিনি

এবার যাই সেই জন্মইস্তক অনেকদিনই তো হলো
রোদ্দুর জমা করে ভাঙা হাটে
কিম্বা গ্রামজ মেলার শেয সন্ধেয়
থুপি থুপি বৃষ্টি কুড়ানো,
এলেমেলো ছড়ানো
যতসব ছায়া সুর ছায়া গান
ছায়া ছায়া অভিমান,
চাঁদ ভেজা সূচারু বুননে
নকশিকাঁথার হাক্লান্ত মাঠ,
সবকিছু বিবর্ণ হয়ে
পড়ে থাকে বিরক্তির ভস্ম অবশেষ। স্মৃতিচিহ্ন রেখোনা জমিয়ে
স্মৃতি বড় ভয়ংকরী

ফুলের দোকানের সামনে এসে একজন ভদ্রলোক তার গাড়ি থামালেন।
উদ্দেশ্য তার মা’য়ের জন্য কিছু ফুল কিনবেন। যিনি এখান থেকে প্রায় দু’শ মাইল দূরে বাস করেন। গাড়ি থেকে বের হওয়ার সময়, তিনি লক্ষ্য করলেন, দোকানের পাশে, পায়ে হাঁটার পাকা রাস্তার কিনারে