মামার সামনে মামী ডাকে
একলা পেলে ভাবী,
চারিদিকে কত কিছু
ঘটছে হাবিজাবি। মামী কিন্তু কম যায়না
যখন একা হয়,
কুটুস করে ভাগ্নের ফোনে
মিস কল মেরে দেয়। কি যে হল এই সমাজে
ভাবতে অবাক লাগে,
চামড়া ঝুলে গেছে তবু
আটা ময়দা মাখে। বাহান্ন আটান্ন বয়স
হয়ে গেছে যার,
খালা বলে ডাকলে তাকে
মান থাকেনা

লেজ মন্তাজ মেম্বার জাদরেল লোক। আপদমস্তক জনসেবক। জনসেবার মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছেন রাজনীতি। তার ইউনিয়নের মানুষদের কল্যাণ এবং উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনে যে কোন ব্যক্তিকে নিজের কোলে, কাঁধে বা মাথায় তুলতে পারেন। দুঃখে সুখে পাশে এসে দাঁড়াতে দ্বিধা করেননা। আবার উন্নয়ন আর

লেনিন জুয়াখেলা শেষে বাইরে বেরিয়েই দেখি, দাঁড়িয়ে আছেন
মহামতি লেনিন। ঠিক আমাদের সামনেই পনেরো ফুট
উচ্চতা নিয়ে আলোকিত করছেন রেডস্কোয়ার ক্যাসিনো
আটলান্টিক সিটি জুড়ে বুলিয়ে যাচ্ছেন নতুন পুঁজির পরশ। মনে হলো, সারারাত জুয়া খেলে খুবই ক্লান্ত তিনি। তার
ডান পাশে জ্বলছে গ্লাসনস্ত নামের একটা জলেভেজা সিগ্রেট,
আর বাম পাশে পড়ে

রোদ সারাদিন কতো রকমের রোদ উঠেরোদ
সুবোধ রোদ
কুবোধ রোদ
অবোধ রোদ
প্রবোধ রোদ আরো কতো যে কী! এতোসব আচানক আচানক রোদের মাঝে
কড়া হোক
মিঠে হোক
তিতো হোক
সুগন্ধ হোক
দুর্গন্ধ হোক
বাস্তবতার রোদই উঠে সবচেয়ে বেশি,
হাঙরের মতো মুখ হা করে কেবল সে-ই
নিষ্ঠুর বলে,
আমি তোমাকে বড়ো বেশি ভালোবাসি!!

বিদ্যাসাগর বনাম ভোট কিছুদিন ধরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে মিডিয়া থেকে বাইরে ভোট নিয়ে রণক্ষেত্র ব্যাপার চলছে—কেন চলছে? কি কারনে চলছে? সবাই জানেন? ভোট” কি? কেন? কিভাবে?
আমরা কেন ভোট দিচ্ছি ? প্রার্থীকে জিতিয়ে কি পাচ্ছি? এবিপি আনন্দে “এক ঘন্টা”

বাংলার মাটি বাংলার জল
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী বাংলার মাটি বাংলার জল
আমি বাংলাকে ভালবাসি,
বাংলার মাঠে লাঙল চালায়
আমার এই বাংলার চাষী। মাটিতে ফলে সোনার ধান
গাহে পাখি বাংলার গাছে,
বাংলার জলে মরালী ভাসে
মরালেরা

কবিতার কোন এক শব্দকৃষকের কাছে কবিতার বুক জুড়ে যে শব্দকৃষক অবিরাম কর্ষণের পর শব্দের মোহনীয় উচ্চারণে লিখে প্রার্থনা সঙ্গীত মানুষ আর মৃত্তিকার, আমি তার সতীর্থ কোন এক। শব্দকৃষকের চোখের কোটরে লিখিত শব্দমালা আমি চেয়ে দেখি এবং একটি বিশ্বাসের কাছে; কবিতার শব্দের কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই

|তবু কবিতার ভাষায় বলতে চাই| আমি কবি নই
তবু কবিতার ভাষায় বলতে চাইঃ
তোমার চোখে ডুবে যায় যেন
এটম বোম আর হিরোশিমা-নাগাসাকির ক্ষত।
আমি কবি নই
তবু কবিতার ভাষায় বলতে চাইঃ
তোমার চুলের বিদিশার নিশায় হারায় যেন
এ জগতের কালো অন্ধকার যত।
আমি কবি নই
তবু কবিতার ভাষায় বলতে চাইঃ
তোমার দেহের সবুজ উপত্যকায়
তামসিক সন্ত্রাসীরা

বয়সের সন্ধি ফুল যত ব্যথা পেলাম-ঐ ফুল কে ছুঁয়ে
যত স্বপ্ন হারালাম-গন্ধ নিতে গিয়ে!
জমাট বাঁধা রয়েছে ব্যথার বালুচর
উচ্ছ্বলে উঠে ঝড়-ভেঙ্গে যায় ঘর। আর স্বপ্ন দেখে না- চোখ
ব্যথাও মনে করে না- দুখ-
মেঘে মেঘে বৃষ্টি- তবুও নাই কন্দন
শুধু ভাসমান-বুকতে দাগ রক্তরোদন; কি প্রশ্নের বেড়াজাল থেকেই গেলো!
ফুল

প্রথম পর্ব এখানে রেস্টুরেন্ট থেকে যখন বের হয়েছি, বাইরে তখন বেশ কম গাড়িঘোড়া। কেবল সন্ধ্যা হয়ে এসেছে বলেই হয়ত সবাই যার যার মত ঘরে ছুটে গেছে, আর যার ঘর নেই সে গেছে অপরের কাছে৷
আমার আর অমিত