এক ফোঁটা জল দাও এ চোখে তুলেছি দুটি হাত,
কবুল করো মূর্খ অধম বান্দার মোনাজাত।
নির্বোধ আমি করে ফেলেছি পাহাড় সমান পাপ,
মহীয়ান তুমি শ্রেষ্ঠ প্রভু করে দাও মোরে মাফ। আমার সীমার প্রাণে জাগাও পরকালের ভয়,
জানি আমার অশেষ গুনাহ ক্ষমার যোগ্য নয়।
খেয়ানত করেছি কতো

বুড়োচড়ুই ১
সবুজ মাঠ। যতদূর চোখ যায় সবুজ ঘাস। কোনো গাছ নেই। লোকালয় নেই। জনপ্রাণী নেই। অপার নীরবতা। মধ্যবিন্দুতে স্থির একা- গন্তব্য মনে নেই। অথচ খুব দ্রুত যেতে হবে। ঝুপ করে রাত নামে। তীব্র আতংক গ্রাস করে।অন্ধকারের অদেখা দানব তাড়া করছে। টুকরো টুকরো করে গিলে খাবে। জানিনা

আদর মানেই কাম নয়
গালে হাত বুলালে
মাথায় হাত রাখলে
বুকে জড়িয়ে রাখলে
কিংবা শুধু ছুঁয়ে থাকলেই আদর হয়
অনুভবে মন ছুঁয়ে থাকাই আদর,
কেও পারে, কারো শরীর লাগে;
আচ্ছা!
আমরা কতদিন শরীরে শরীরে আদর করেছি রে?
তুই’ই বল না!
তোকে কি কম আদর করি? ভালোবাসা মানেই শরীর নয়
দূরে থেকেও কাছে

এক পাতা ঝরার দিনে, ধরা হাত শিথিল হয়ে দু’জনের পথ দুটি দিকে বেঁকে যেতেই, প্রশান্ত মহাসাগরীয় হাবুডুবু খাওয়া আর থেকে থেকে অনুভবে তীব্র সাইনাস পেইনে জর্জরিত হওয়ার শুরুটা সেদিন থেকেই। কাছের সম্পর্কগুলোর মুখোশের আড়ালের চেহারা বড্ড তীব্র ভাবে উৎকট দুর্গন্ধ ছড়িয়ে

পাথর ঝরে পড়ে অস্তিত্বের ভেতর অনস্তিত্বের ভ্রুন
কি দারুন কাঁপছে
জলে শুইয়ে দেই
আকাশে উড়িয়ে দেই
প্রগলভ সে কথা বলেই যায়। শূন্যতা ডানা মেলে
অচিনপুরী আরো প্রিয় হয়
তারপরও সংশয়বাদ টিকে যায়
দরজার ছায়া অস্তিত্বের জানান দিলেও
পালাই পালাই জপে মন।

আজ থেকে ৯৭১ বছর আগে সুদূর ইরানে জন্ম নিয়েছিলেন বিখ্যাত গণিতবিদ ও কবি ওমর খৈয়াম। আজ গুগল নিজস্ব ডুডল দিয়ে বিখ্যাত ফার্সি গণিতবিদ, জ্যোতির্বিজ্ঞানী এবং কবি ওমর খৈয়ামের ৯৭১ তম জন্মদিন উদযাপন করছে। গণিতবিদ হিসাবে, খৈয়াম ঘনকের সমীকরণ শ্রেণিবদ্ধকরণ ও

কেউ কি বলেছে তোমায়!
তোমাকে গড়ার নথি’গুলোর প্রথম পাতায়
বেশ কিছু শিল্পের অস্তিত্ব আছে!
তোমার চোখ, তোমার চিবুক, তোমার ঠোঁট,
আর; নগরীর বুক চিরে তোমার সরু নাক
হয়ে উঠেছে নগরীর প্রধান সড়ক! ওদিকে কিছু নিগ্রো জনপদ
চুলের ছদ্মবেশে বাস করে নগরীতে।
কেউ কি বলেছে তোমায়!
তোমার চোখের চেয়ে প্যারিস

পথের সন্ধানে বের হয়ে আমরা কতিপয় যুবক বস্তুত আমরা একটি হারান পথের খোঁজে বেরিয়ে পড়েছিলাম! পথের সন্ধানে হাঁটতে শুরু করে অতঃপর কেউ কেউ ফিরে গেছি ঘরে, কেউ কেউ আবার অগাধ বাণিজ্যের লোভে পড়েছিলাম কিছুকাল! কেউ কেউ কুড়িয়ে নুড়ি বাড়ি ফিরবার উদ্দেশ্যে পা বাড়িয়ে রাতের শেষ

আয়নায় আসল সৌমিত্র একলা হুতুম বুদ্ধভুতুম
আমি সৌমিচক্র
লেখার ছলে তালেবেতালে
ভাষণ মারি বক্র। থাকি জঙ্গলে যেন মঙ্গলে
অকর্পোরেটি মানুষ
মুখে হাতি মারি মুখে বাঘ মারি
ফেসবুকে ওড়ে ফানুস। মেট্রোপলিস ফাইন পালিশ
এক্টুও নয় চামড়া,
হাটে মাঠে গ্রামে ল্যাজ উঁচিয়ে
ঘুরি আমি এক দামড়া। অপাচ্য যত গতবিগত
করছি হলুদ বমি
ব্যাকরণ থেকে মেরুদূরে থাকে
সেই কবিতার

কুকুরের পশমের চেয়ে মানুষের দাড়িতে বেশি জীবাণু সুইজারল্যান্ডে একটি ক্লিনিকে পরিচালিত এক গবেষণায় পুরুষের দাড়ি সম্পর্কে ভয়াবহ এক ফলাফল বেরিয়ে এসেছে যে, মানুষের দাড়িতে কুকুরের পশমের থেকে বেশি জীবাণু থাকে। হার্সল্যান্ডেন নামক একটি নামকরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গবেষণাটি করা হয়। সূত্র : বিবিসি

স্বাধীনতা তীব্র রোদ খেতে খেতে যে মানুষ হেঁটে যাচ্ছে
তার বুকে স্বাধীনতা আছে
রোদের উত্তাপে হাপিয়ে যে খুঁজছে সুশীতল জল
তার বুকে স্বাধীনতা আছে মাথায় ইটের পাহাড় নিয়ে যে ভাঙ্গছে সিঁড়ি
পৌঁছে দিচ্ছে তেতালার উপর, সেই মজুর
তার বুকে স্বাধীনতা আছে যে ভিক্ষুক গেরস্থের দরজায় দাঁড়িয়ে প্রার্থনা করছে
দরাজ দিলের গেরস্থের হাত থেকে

খয়রাতি ভাবনার কবিতা অনেকদিন পর কিছু খয়রাতি ভাবনা আজ
পোয়াতি হতে হতে পোয়াবারো হয়েছে;
আমিও নাদান, আকাশমুখ হতে মাথা নোয়াইনি! যেখানে সত্যেরা একপায়ে দাঁড়িয়ে থাকে
সেখানে আমার আঁতুড় ঘরে জন্মানো ল্যাংড়া
কবিতার কথা কে শোনবে?
তেল দিতে দিতে আমাদের অভ্যাস ইদানিং
এমন বদভ্যাস হয়েছে, পাত্র-অপাত্র বুঝেনা;
হাঁড়িতে ঘি আছে নাকি গোবর আছে তাও
দেখে

রহিত বিষয়ক পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত স্থগিত থাকবে
কবিতার সংবিধান। পরবর্তী কুচকাওয়াজ শেষ
না হওয়া পর্যন্ত, সবগুলো ফুল, মাতৃখোঁজে-
প্রদক্ষিণ করবে জীবনের ব্যারাক। ঘাস ও মাটির
আড়ালে লুকিয়েছে যে শূন্যস্থান – তা পূরণে
আকাশের দিকে উড়ে যাবে একটি লালপাখি। আমি ওই পাখিটিকে ছুঁবো বলে উড়বো,
যে কোনো মুহুর্তে –
চব্বিশ হাজার মাইল,

জীবনের অর্থ আজমল সাহেবের ছেলের নাম রাখা হলো ঝলমল।
তার স্ত্রী রেগে গিয়ে বললো, এটা কোনও নাম হলো? আজমল সাহেব বললেন, আমি প্রফেশনে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হলেও মূলত একজন কবি। কবিরা যখন কবিতা লেখেন তখন ওনারা অন্ত্যামিল রাখেন। আমি কবিতা লিখলেও জীবনের সব কিছুতেই অন্ত্যামিল রাখবো ভাবছি। উনার স্ত্রী