শুধু আসা যাওয়া এসো বললেই সকাল হয়, সূর্য ওঠে অকৃত্রিম
এসো বললেই মিথ্যে হয় কোটির গুনিতক। প্রত্যেক ফিরে আসার পরমূহুর্তেই
শুরু হয় ফের ফিরে যাওয়ার কাউন্টডাউন,
এক্সপ্রেসওয়ের ডিভাইডারের প্রত্যেক খাঁজ
উঁকি মেরে চলে চাতকী আশায়। এসো বললেই লু এর রক্তচোখ নিস্তেজ,
ক্যাকটাসে আগুন দাউদাউ –
সান্ধ্যরত্নে টিপটিপ জোনাকিরা শঙ্খ

আখ্যান মধুর সে ভ্রমণকালে তুমি কোথায় ছিলে?
এ ভাষা তবে অন্তর্গত কিছু তথ্য,
কিছু অনৈতিক আদান-প্রদান;
মঞ্জুর করো প্রেম। শালীন বসবার ভঙ্গী কামনায় পাল্টে দেয়া যায়
ইজি গোয়িং বলে চীৎকার না হয় করলে
বদলানো যাবে না নেশার কোকেন;
মঞ্জুর করো বাসনা। তোমার চোখ থেকে লাফিয়ে নামা
হলদে বাঘের শীৎকার শুনে
লোভের কথাই লেখা হয়ে গেল

বিষণ্ণতার মিউজিয়াম খোলা জানালা গলে ব্যথার বিম্বিত ধ্বনি ছুটে আসছে।
কানের কাছে, গহিন ক্রোধনে জমা শব্দের তলপেট-
পায়ের কাছে মাটি, নিজের কোলে শোয়ানো কবর
নীল বর্ণ গেদরভেদর রোদ-আপেল রঙ পোড়ায়
পালিয়ে যাচ্ছে-নিবিড় সম্পর্ক, ঘাসের ওপর-আতঙ্ক অধ্যায়
নারী ও ভোরপাখি আটকানো বিষণ্ণতার মিউজিয়াম; দু হাতে ছাউনি বানানো, গোলপাতা ছায়া ছানার মতো-
মঙ্গলম প্রার্থনা।

সঙ্গীকে কি পাসওয়ার্ড দেবেন? কদিন আগেও আবিরের ফোনে পাসওয়ার্ড দিয়ে লক করা ছিল না। কিন্তও হঠাৎই কী এমন হলো যে তার ফোনে পাসওয়ার্ড দিয়ে লক করতে হচ্ছে! এই নিয়ে তার স্ত্রী মুনার সঙ্গে রাতদিন খিটিমিটি, কথা কাটাকাটি। মুনার বক্তব্য, আবির আমার

আমি অহংকার খাই দাঁতে কামড়িয়ে,
ইগো?
সেটাই তো আমার অলংকার
ভুল করি, আমি?
হতে পারে কখনো?
এক্ষুনি সরি বল ব্যটা মাথামোটা,
ইগোর দাঁতে কেটে কেটে কামড়ে যাচ্ছি সব সম্পর্ক
একা হচ্ছি কি?
ধ্যাত! ব্যাংকে দেখেছিস আমার অর্থ? আরে ব্যাটা আয়নায় তাকিয়ে কথা বলে কে রে?
আমার চোখ তো ঐ আকাশে ছড়ানো
কবে দেখেছিস মাটিতে হেঁটেছি

প্রিয় সুধীমণ্ডলী : আমি সমালোচিত আমি বিতর্কিত এই সময়ে যদি কেউ
এই সময়ের প্রতিষ্ঠিত কবিদের মতো
কবিতা লিখে ফেলেন
কিংবা তিনি যদি পেয়ে যান
কবিতার প্রচলিত কোনও এক ছঁক
তবে তিনি পেয়ে যেতে পারেন
বাহবা কিংবা মারহাবা
অথচ অনেকেরই এই কথা মনে থাকে না
ওই ছঁকে রচিত হয়েছে কবিতা কতখানা! আমরা কেউ কেন মনে

হিংসের শহর থেকে এ শহর আমার নয়। আমার জন্ম নিবন্ধন সনদ
সংরক্ষিত নয় এখানের আর্কাইভে, তবু কিছু হংস
হিংসের ডানা দেখিয়ে ডুব দিতে চাইলো আমার পুকুরে,
কিছু ঈগল- তাদের ভাষাচক্ষু দেখিয়ে ছিঁড়তে চাইলো
আমার শব্দকেতন। এসব নষ্টমহড়া দেখেছি আগেও। দূর দিয়ে উড়ে যাওয়া মেঘ
আমাকে বলেছে- আমরাও আছি কবি,
তুমিও থাকো।
ক্রমশ পৃথক

গল্পছড়া
দ্যাখো সে বাঙালি দুর্গ শুরুতে সবারই মতো এক টুকরো মাটি কিনেছিল
বাউন্ডারি দিতে এসে চা-বিস্কুট পড়শির বাড়ি
তারপর একতলা, সন্দেহ করিনি একতিলও
শিউলি-করঞ্জাগাছে টিয়া এসে বসতো অভিসারী পাখি বাড়ি নোংরা করে, সেই দোষে গাছ শাস্তি পাবে?
যত সূর্য বন্ধ ছিল, ঝাঁপ দিয়ে নেমেছে পাড়ায়
ঘাসে পোকা — উঠোন বাঁধানো হল ঘোড়ার

ভালবাসা শুধু ভালবাসা
দ্বিতীয় খণ্ড সপ্তম পর্ব সানাই বাজে ভালবাসা কাঁদে
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী -এটাই তোমার শেষ কথা?
-হ্যাঁ বাবা, অভিনব ছাড়া আমি কাউকে বিয়ে করতে পারবো না। আমি তাকে ভালবাসি বাবা।
-অভিনবকে তোমাকে

প্রেমিকার চুম্বন ফেলে আমাদের ষোল কোটি পা আজ স্নানাগারে আজ আর নেই আলিঙ্গনের চিহ্ন প্রেমিকের
পাতার নিজস্ব ঘ্রাণ আর বিপর্যস্ত বাতাসেও নেই স্পষ্টতর সংবাদ
ইথারে ভাসছে কেবল শব্দের ঘ্রাণ, উদ্ভ্রান্ত প্রেমিকার মতো! আমি ছুটে যাচ্ছি ক্রমশ, শব্দের অধিক দ্রুত গতিতে
পৃথিবীর সবচাইতে দ্রুতগামী যান পেছনে রেখে! পথে ধাবমান অস্থির পা’দুটো

বিনি সুঁতোর মালার মতো গেঁথে ছিলো আমাদের বন্ধন,
প্রতিদিন একে অপরের দুঃখ ভাগাভাগি করে নেয়া,
হাজারো ব্যস্ততার মাঝেও একে অপরের
সুখ দুঃখ শেয়ার করা।
কথা হতো প্রতিদিন,
এভাবে দিন যায়, বছরের পর বছর যায়,
কোথায় যেন এক অদৃশ্য মায়ায় জড়িয়ে যাই দুজন।
খুব অদ্ভূতভাবে দু’জনার পছন্দ অপছন্দ,
মনোভাব