অবাক অনুরাগ
একমুঠো মেঘ
এক গুচ্ছ নক্ষত্র ফুল,
এক শ্রাবণ বিকেল ——
তোমার পাঠানো প্রজাপতি চুমু:
সব আমি খেয়ে বসে আছি ——-
রূপসার পাড়ে,
চোখের তারায় নীল আকাশ ভাসে —
রাত্রিটা এখন গোলাপ বাগানে
আমি একটি গোলাপ ও স্পর্শ করতে পারিনা,
হয়তো অভিমান
তোমার জন্য ;
কথা ছিল একদিন
কবিতা|
১০ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৪৬৩ বার দেখা
| ১৫০ শব্দ ১টি ছবি
**
এরপর ঝরা পাতা
এরপর বৃষ্টি শেষে খোলা আকাশ
এরপর রোদ্দুরে ঘেমে নেয়ে আমাদের সন্ধ্যেবেলা-
এক ঝরা বিকেলে তোমার আকাশ ঘুমোয়
আমার চালায় এসে
আমি জলের বিছানায় শুয়ে আকাশ দেখি
রাত হলে দেখি ঝিম ধরা জোনাকির জ্বলে ওঠা
নিভে যাওয়া –
অতঃপর জানি সব ভুলে যেতে হয়-
**
আজিব
গায়ে ঢেলে কেরোসিন এসেছে জ্বালানো দিন
শুনি নারী শিশুদের চিৎকার,
অন্যের গুণ গাই চরিত্র ঠিক নাই
সমাজকে দিয়ে যাই ধিক্কার!
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেয়েদের সম্মানে
গুরুজনে কলঙ্ক লেপে দেয়,
মাদকের যাতনায় এমনও তো দেখা যায়
বাবার কাছেও নিরাপদ নয়!
প্রতিবন্ধী যদি হয় গর্ভবতী
কেউ নেয় না তাঁর দায় ভার,
সমাজের উচু
কবিতা|
৮ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৮৪ বার দেখা
| ৮৬ শব্দ ১টি ছবি
ভালবাসা শুধু ভালবাসা (দশম পর্ব)
(প্রথম খণ্ডের শেষ পর্ব প্রকাশ দিলাম। ভালবাসা শুধু ভালবাসা প্রথমখণ্ড পর্বে পর্বে প্রকাশিত হওয়ায় সকলের কাছ থেকে পেয়েছি অনেক অনেক মন্তব্য। পেয়েছি সকলের অকুণ্ঠ সহযোগিতা। তাই শব্দনীড়ের শ্রদ্ধেয় ও শ্রদ্ধেয়া কবিগণ ও সহৃদয় পাঠকগণের মন্তব্যের অনুপ্রেরণায় প্রাণিত হয়ে
গল্প|
৮ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৬২০ বার দেখা
| ৭১৫ শব্দ ৫টি ছবি
আমার চারপাশে এখন গলিত মাংসের দোকান-
ঝরে পড়ছে লাল মাংস থেকে রক্তের ফোটা
কাঁপছে মাংস, ঢেউ তোলে ভ্রমণ করছে আমার দক্ষিণ
উত্তরে, বাড়ন্ত আলু ক্ষেতের ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে,
নতুন মাংসমূল।
থেতলে যাওয়া বাহু থেকে নীল মাংসের
ক্ষত, চিহ্নায়নে এগিয়ে আসছে না কেউ-
কেউ উপুড় হয়ে পড়ে থাকা পাঁজরের মাংসের
পাশে দাঁড়িয়ে তুলে
মেঘডাকে আরশি নায়
এতো দেহ মন এতো জীবন-
ভেবে দেখো কি শিশুকাল?
না ভাবিলে জীবন অম্লান!
সময় তোমার এক রবে না-
যতো হও ক্ষমতাবান।
সত্য নিষ্ঠা ভাবি যে ভাবে
তুমি ভাবো না সে ভাবে-
কত না চিনা জানার পরিচয়
ভুলেই থাকে অবক্ষয়;
তেলে জলে- জলে তেলে
মিশ খায় না কোন
কবিতা|
১০ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৮১ বার দেখা
| ৬৮ শব্দ ১টি ছবি
মায়াপোলাও
আড়াই মাস ধরে মিজানের খুব পোলাও খেতে ইচ্ছে করছে। অর্থাভাবে খাওয়া হচ্ছেনা। ইচ্ছে করলে হোটেলে খেয়ে নিতে পারে। কিন্তু হোটেলে বসলে ছেলেমেয়ে দুটোর কথা মনে পরে, বৃদ্ধ মা আর শরীফার কথা মনে পরে।
টানাটানির সংসার। পাঁচজনের জন্য দুইবেলা পোলাও রান্না করতে হাজার টাকা খরচ। একবেলা
কথা না কথা
– এবার দেখা হলে কথা আছে, বিশেষ কথারা শোকের অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে সযত্ন প্যাকে ঘুমায়।
– বেশ তো তাহলে কথার পিঠে কথা সাজিয়ে সমুদ্রতলের উচ্চতা বাড়িয়ে নেওয়া যাক, এখন বিসদৃশ বিকেল।
– কথা দিলে কথারা শেষ হয়ে যায় উন্মুক্ত প্রান্তরেখায়, নিরুদ্দেশ পেছনের মায়ামুকুরে কোনো চিহ্ন
সভ্যতা নামক খোলসে বন্দী করে নিজেকে
প্রতিক্ষণেই সামনে আসি মুখোশটাকে খুলে,
কখনো আশার বাণী শোনাই দরদীয়া কণ্ঠে
কখনো আবার ক্রোধটা দেখাই বিশ্রি ভাবে ৷
সভ্যতা এ যেনো আজ আজব রকম খেলা
মনুষ্যত্ব দিয়ে বিসর্জন ভাসাই মেকির ভেলা,
মানুষ নামের মুখোশ পড়ে সভ্য সারাবেলা
আসল রুপে ফিরি আবার
কবিতা|
৬ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৪৯ বার দেখা
| ১০৯ শব্দ ১টি ছবি