পেনড্রাইভ জমা হয়ে আছে সূচালো দু’খের ধার। বরফে বিদ্ধ হচ্ছে
শীতের সূর্যকণা। কোথাও পুড়ছে জীবন- কোথাও
থেমে যাচ্ছে চুল্লীর আগুন, তা দেখে হাসছে চাঁদ, কাঁপছে
নক্ষত্রের সংসার। চারপাশে ঝুলে থাকছে অনেকগুলো মহাকাল।
অনেকগুলো মৃত বসন্ত,
অনেকগুলো শাদা পাপড়ির কফিন
যারা বিদায়ী বর্ষাবরণে জলে নেমেছিল, কেবল
তারাই দেখছে এসব দৃশ্য। বাকী সবাই নজর রাখছে
তাসের

তুমি কি দেখেছ বন্ধু? তুমি কি দেখেছ,
কাউকে না খেয়ে মরতে?
আমি দেখেছি,
ক্ষুধার জ্বালায় ছটফট করতে! তুমি কি দেখেছ,
একসময় কাপড়ের যে ছিল অভাব?
আমি দেখেছি,
লেংটি পরাই ছিল মানুষের স্বভাব! তুমি কি দেখেছ,
একসময় কেউকে কলাপাতায় লিখতে?
আমি দেখেছি,
কলাপাতায় লিখে লেখা-পড়া শিখতে! তুমি কি দেখেছ,
বাঁশের কঞ্চি দিয়ে কলম বানাতে?
আমি দেখেছি,
বাঁশের

জলশূন্যতায় আয় বৃষ্টি আয় বললেই
আমার তেকোনা চত্বর এড়িয়ে
মেঘ অকৃপণ ঝরে অন্য বাগানে,
আমার লাল টুকটুক টালির
সাহেবী অহংকারী ছাদ
টোটাল ডিহাইড্রেশনে খাবি খায়।
চাতকেরা মরে গেছে বহুদিন
বিলুপ্ত প্রজাতির পাখিরা
ছবি হয়ে গেছে, বহুদিন।
জানলার তিনশো ফুট দূরত্বে
কুবো আর কোকিলা জোড়ায়
ভিজে টুপটুপ ইতিউতি
জলফোঁটা দেখে।
আয় বৃষ্টি আয় না আমার

আমার জন্য বাঁচো তুমি তারা খুঁজো না
আমি তোমায় মন দেব
তুমি আমায় খুঁজো না —
আমি তোমায় খুঁজে নেব ,
গহীন অরণ্যে সবুজ পাতায় শিশিরের শব্দ
জল নূপুর টুপটাপ বাজে । আমি দুঃখ পাখি
তোমায় দু’হাত ভরে সুখ দেব ,
তবু কেন,

কুয়াশার ঝাঁপি খোলা রোদ শাদা কাগুজে চিনি দধি মিশ্রিত কালোজাম
টকজল গন্ধ ওড়ে
মাছি ওড়ে, মানুষ ওড়ে
পিঁপড়ার গুটি পা ক্যাশপ্যাট থেকে বাঁকা পথ ঘুরতে ঘুরতে
টিস্যুর মত পরিত্যক্তায় জমাট বাঁধে
দীর্ঘ ধূলির ভেতর গ্রাম ও শহর
সঞ্জীবিত সংযোগ, গল্পজোট, ধ্রুব পুরস্কার; আজকের, ঘষামাজা সামাজিক তরুণের অভিমুখ
এক কাপ লাল চায়ের ফিরফিরে ফুঁ,
উষ্মতার

আজ ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহের দ্বিতীয় দিবস পবিত্রতম প্রস্তাব দিবস।(হ্যাপি প্রপোজ ডে) দেশে দেশে এই উত্সবের দিনটি পালিত হয় সারা ভুবনজুড়ে। কথিত আছে, রোমের চিকিত্সক তরুণ যাজক সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের চিকিত্সায় দৃষ্টি ফিরে পেয়েছিল নগর জেলারের দুহিতা। পরে দুজনের মধ্যে মন দেওয়া-নেওয়া হয়। সেই থেকে জন্ম নিয়েছিল

বন্ধুর চেয়ে একটু খানি বেশি নীরব নিশুতি রাতের চোখে স্বপ্ন নীড় বাঁধা
মেঘের আঁচল শুভ্র জ‍্যোৎস্নায় ঢাকা
আমি তোমার জন্য হলুদ গোলাপ রেখেছি
তুমি বন্ধুর চেয়ে একটু খানি বেশি,
তোমার জন্য কবি হতে চেয়েছি
প্রেমিকা হতে পারিনি :
অথচ সে সত‍্য কথা
আজ ও তুমি মাননি ! আমি গোলাপ হতে চেয়েছি, শিশির

– এইচ এম শরীফ
বকুল তলায় ঝরছে বকুল দেখে যাও,
মণিবন্ধে বাঁধব রাখি হাত বাড়াও। শীত সকালে বকুল তলায় শীতল হাওয়া,
সৌরভে মন কিসের নেশায় মাতাল পাওয়া। আসবে বলে অনন্ত সুখ জাগে মনে,
সোহাগ-ডোরে বাঁধব তোমায় প্রাণের সনে। পুষ্প পেলব নিটোল দেহের ওমের ঝর,
মিষ্টি রোদে আঁকবে চোমু সুখ-বিভোর। তারুন্য ঝর বইছে সদা

বুদ্ধিমান কৃপণ জামাই ও শ্বাশুড়ির গল্প এক বুদ্ধিমান কৃপণ জামাই যাবে তাঁর শ্বশুরবাড়িতে। শ্বশুরবাড়ি যেতে হলে হাতে করে কিছু-না-কিছু নিতেই হয়। না নিলে আর মানসম্মান বলতে কিছুই থাকে না। এই নিয়মটা ধনী গরিব সবার জন্যই প্রযোজ্য। তাই বুদ্ধিমান কৃপণ

কৌতুহলী হোক সোনামনি একটি শিশু যত বেশি কৌতুহলী হবে, সে ততটাই বেশি শিখতে পারবে। কৌতুহলে যে শক্তি আছে তা আপনার শিশুকে অসংখ্য সমস্যা সমাধানের পথে এগিয়ে নিতে সাহায্য করে। এছাড়া এটি চিন্তা এবং মতপ্রকাশের শক্তিকে উন্নত করে। এর ফলে আপনার

অরূপের রূপ তুমিই জানো আমাকে আমার কখনোই ভাল লাগেনি
সেই ছেলেবেলা থেকে আমার কানগুলো খরগোসের মতো
নাকের উপরকার তিলটা ভয়াবহ যন্ত্রনাদায়ক
আর চোখের ভাষা তো আমি নিজেই পড়তে পারিনি জীবনে। গ্রীবায় একটা ভাঁজ যা দেখে মা বলেছিল নানাভাইয়ের ভাগ্য
আমার কেবলই মনে হতো আমি এদের কেউ নই
ভাইয়া বলেছিল, তোকে কুড়িয়ে

অণুগল্পঃ শুধু পটে লিখা ‘কাল রাতের বেলা গান এলো মোর মনে
তখন তুমি ছিলে নাতো ছিলে না
তখন তুমি ছিলে না মোর সনে’* গানটি বেজে উঠতেই, দশ দিক থেকে আবেগ মিতার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে দখল নেয়। বাইরে ঝড় তুমুল বৃষ্টি টিনের চালে ঝমঝম

পাখির ডানায় রোদ
রোদের ডানায় পাখি
আমার ডানায় তুই
তোর মনে আমি
তোকে নিয়ে মনউড়াল
অনেক দূরে তুই তোর কান্না সাগর
আমার নীলাকাশ
তুই কান্নায় ভাসিস
আমার উড়ে চলা
চোখে স্বপ্ন মনে তুই
ভালোবাসার কথা বলা একদিন ভালোবাসতে বাসতেই অনেক দূরে উড়ে যাব আমি
ফিরে না আসলে কান্নায় ডুববি তুই
তারপর আকাশ আর সাগর মিশে যাবে নীলে
ঐ বহু

দৈববাণী #
ওদিকে যুদ্ধের দামামা বাজে, মিত্রপক্ষ
পাহাড় কেটে জানলা বানিয়ে দূরবীনে চোখ রাখে
শত্রু দেখলেই ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি ছোটে #
মহাভারতের প্রাজ্ঞ যোদ্ধা ঘুম থেকে উঠে আসেন
ভোরের আকাশে তার মন্দ্র স্বর গমগম করে বাজে
ম্যায় হুঁ না, তিনি বলে ওঠেন যেন দৈববাণী
এতগুলো বিভিন্ন দেশের মানুষের কি দরকার ?