আমি নাহয় বেঁধেছি
পথের ঠিকানা
বহুদূর দিগন্ত পেরিয়ে
সে কোন নিরুদ্দেশে।
তুমিও চাওনি কখনো
বাঁধতে নিবিড় আলিঙ্গন
ভীরু বাহুপাশে। একা হেঁটে গেছি,
একা ক্ষয়ে ক্ষয়ে
একা ঝরে গেছি,
ভোরের মৃদু হাওয়ায়
ঝরা বকুলের মতো।
প্রখর রৌদ্রতাপে পুড়ে
গেছে বুকের কুসুমিত
শতদল। তবু কিছু সৌরভ
রেখেছি লুকিয়ে শুকনো
কুঁড়ির ভাঁজে। চৈত্রের ঘূর্ণি বাতাস
হাহাকারে কেঁদে গেছে
ঝরা ফুলেদের হাওয়ায়
উড়িয়ে।

স্বগ থেকে খসে পড়া হিম বুড়ী
হিমেল পরশ বুলিয়ে দেয় সবুজ গালিচায়।
পাহাড় গীরি কন্দর স্নাত হয়
সিক্ত হয় তরু লতা বাগ বাগিচায়। শান্ত হয় উত্তাল সাগর নদী
হিমের আবেশে।
তারা ভরা জোছনা ঝরা
ভরা প্রকৃতি অফুরন্ত আমেজে। অতিথি পাখিদের গুঞ্জরনে

গাঁয়ে আছে স্নেহছায়া ……আছে মায়া
আমার গাঁয়ের কবিতা-১ (প্রথম পর্ব)
কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী ছোট গাঁয়ে ছোট ঘর, ছোট ছোট গাছে,
প্রভাতে তপন হাসে ছোট পাখি নাচে।
কুসুম কাননে সব ফুলকলি ফোটে,
রাখাল গরুর পাল নিয়ে যায় গোঠে। সোনা রোদ পড়ে ঝরে মাটির

দেবদারু তলায় প্রায় দেখা হতো এক বৈষ্ণবীর সনে
ব্রত ছিল তার মজিবে না আর কোন পুরুষ প্রেমে;
ছিল এক বামন ঠাকুর; কেঁড়ে নিল তার সব জীবন-যৌবন
সে হতে বৈষ্ণবী; ঘুরে দেশে দেশে, নিয়ে সন্ন্যাসি মন । ভাঙতে বৈষ্ণবীর ভ্রম, সেজেছিলাম সাধুজন
ব্রত নিয়েছিলাম কভু হানিবো না আঘাত, হবো বিশ্বাসী

বাংলাদেশে এমন অনেকেই রয়েছে—যারা দেশের ভিতরে যে কোনো সমস্যা দেখলে খুব বেশি খুশি হয়। মানুষের আপদ বিপদ দেখে এদের মনে ভয়ানক আনন্দের উদ্রেক হয়। এরা মনের আনন্দে মানুষের দুঃখ, কষ্ট ও দুর্দশা দেখে পরম তৃপ্তিতে ঢেকুর তুলতে পারে। এখানে, কারও ঘর পুড়ে যেতে দেখলে

গ্রামের পরিবেশ সব সময়ই ভালো লাগে আমার। কারণ গ্রামেই বড় হয়েছি। চাকুরীর সুবাদে ২০০১ সালে ঢাকা আসছি। আর তেমনভাবে থাকা হয়নি গ্রামে গিয়ে। বছরে একবার শ্বশুরবাড়ী আর একবার বাপের বাড়ী। কোনোদিনও এক সপ্তাহের বেশী না। আর বেশীরভাগই যাওয়া পড়ে শীত সিজনে।

youtubecom/watch?v=PnZ1xQMo8fM

অজয় নদীর জলধারা…… বয়ে চলে বারো মাস (দশম পর্ব)
তথ্যসংগ্রহ, সম্পাদনা ও কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী অজয় নদী সারা বছর বালির বোঝা নিয়ে শুয়ে থাকে। তিরতির করে একটা বা দুটো জলের ধারা বুকের উপর দিয়ে বয়ে যায়। এ কেমন

তুমি ফিরে এসো
জঘন্যতার অবসান ঘটিয়ে
কোমলতার পরশ বুলাতে।
অন্ধকারাচ্ছন্ন আঁধার পৃথিবীতে
আলোর উজ্জ্বল প্রদীপ জ্বালাতে।
আজ শুধু তোমাকেই খোঁজে
অতৃপ্ত প্রতিটা হৃদয়।
প্রতারনার বেড়াজালে আবদ্ধ
মৃতপ্রায় বৃহৎ জনগোষ্ঠীর
স্বার্থ উদ্ধারের প্রয়োজনে
উদাত্ত আহবান শুধুমাত্র তোমাকেই।
তুমি ফিরে এসো সূর্যোদয়ের সাথে
অথবা অশান্ত ঢেউয়ের তালে
কিংবা পূর্ণিমার

আমি জেগে আছি প্রাচীন কাল থেকে; আমি জেগে আছি এ পৃথিবীর কোল জুড়ে,
ইসরাফিলের বাসির অপেক্ষাতেই যেন আমি নির্ঘুম জেগে আছি অনাদিকাল ধরে।
আমার চোখে এখন রাজ্যের ঘুম; বিষণ্নতার ছোঁয়া যেন আমার সারা শরীর জুড়ে,
নরম চোখ নিয়েই এখনো জেগে আছি আমি কালো আঁধারের শরীরে

হে সন্ন্যাসী আমাকে নদীর মোহনা পেরিয়ে সমুদ্রে স্নানে নিয়ে যাবে ?
আমি তোমাকে প্রেমের কবিতা শোনাতে চাই,
সাগরের গর্জন গভীর জলের সুরেলা সংগীত তোমাকে শোনাতে চাই,
সমুদ্র ও আকাশ আমাদের ভালোবাসার গল্প বলে,
ঝাউবনে উদাসী বাতাস বয়ে যায় আনমনে,
জ্যোৎস্নাভেজা রাত স্বপ্নের জাল বোনে,
আজ তোমাকে

যদি জানতে চাওয়া হয়, পৃথিবীর সবচেয়ে নির্মল সম্পর্কের নাম কি? জানি, চোখ বন্ধ করে সবাই বলবে বন্ধুত্ব! আচ্ছা বন্ধুত্ব মানে কি? বন্ধু মানে আত্মার আত্মীয়, যে আত্মীয়তা কখনো কখনো রক্তের বন্ধনকেও ছাড়িয়ে যায়। “বন্ধুত্ব” হচ্ছে দুই অথবা তার অধিক