[গুরুচরণ স্মৃতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে কয়েকজন পড়ুয়া এবং দুইজন শিক্ষক। শিক্ষকরা আলোচনারত।]
অমায়িক পাড়ুইঃ তাহলে বলছেন আমার ছাত্ররা পুরোপুরি প্রস্তুত। মানে আসন্ন সাক্ষাৎকারের মোকাবিলায় ওরা তৈরী।
ঝিলমিল মুখার্জীঃ বললাম তো যা বলার বলেছি এবং যা করার করেছি।
অমায়িকঃ না মানে যদি একটু জোর দিয়ে বলেন
এই শহরটা দ্রবীভুত হয়ে আমার শরীরে
আমার শরীর দ্রবীভুত হয়ে এই শহরে
হাঁটছি
গিলে খাচ্ছি
আর থু থু ছিটিয়ে পরিষ্কার করছি গলগন্ড
তুমি মেসোস্ফিয়ারে দশজন হয়ে হাসছো
কুয়াশা ভেদ করে তোমার দশ একশত জন হয়েছে
রাস্তা
কবিতা|
৮ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩১২ বার দেখা
| ১০৮ শব্দ ১টি ছবি
আহত ঐতিহ্যের নদী
স্পর্ধার নদী আজ হয়েছে বিলিন
উজাড় হয়েছে সেই কুসুমের বাগ
পেখম মেলেনা আর ময়ূরী ময়ূর
গায়ের কাপড়ে আঁকা মলিনতা দাগ
মসৃণ পথে যায় বিপণী বিলাস
মেকি আলোর নীচে নৃত্যপটীয়সী
অথচ এখানে ছিল মায়াবতী দীঘি
হরণ হয়েছে তার জ্যোতিময় শশী
এই মাঠ মাঠ ছিল দালানের অতীত
বুকের
কবিতা|
৪ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৭৯ বার দেখা
| ৬৩ শব্দ ১টি ছবি
তীরন্দাজ-যাদুকর-বিজ্ঞানী এবং অপ্রমাণিত ত্রিভূজ
প্রিয় কবিতা,
এটাই হয়ত তোমার কাছে আমার শেষ চিঠি
এ চিঠি তুমি পড়বে কি না আমি জানি না।
আমি আর চিঠি লিখব না
তোমাকে
কাউকে
ফেসবুকে
ভেবেছিলাম এ কাঠের হৃদয়ে ঝড় তুলতে পারবে
এমন রমণীর সাথে কোথাও কি আর দেখা হবে?
যে চোখ এ চোখে দৃষ্টি দিলে
বুঝে নেবে কি ব্যথা
তবে কবিতা হ আমার কলমে
কাগজে কলম হিবিজিবি আঁক দিতেই
এক একজন এক এক ভাবে চেয়ে থাকে,
কাগজের দিকে;
গল্প-পোকা নতুন কোন গল্পের খোঁজে
ছবি-বোদ্ধার চোখে দুর্বোধ্য কোন ছবির বিমূর্ত মুগ্ধতা ফুটে ওঠে
কবিতা প্রেমী মেতে ওঠে অবোধ্য আঁকের নতুন এক কাব্যরসে;
কেও কেও আবার ভুরু কুঁচকে চেয়ে থাকে
কেও কেও বক্র
হাডসন নদীর আস্ফালন
তুষার ক্রান্তির পর
অভীপ্সারা জেগে উঠেছিল নিউ জার্সির ভয়ঙ্কর এর রাতে
প্রচণ্ড হিমে জমে যাওয়া রজঃসংক্রান্তির শেষ ক’ফোটা রক্ত-
উপেক্ষা করে ছুঁতে চেয়েছিল হাডসন নদীর স্রোত, অভিবাসী আত্মা!
তীব্র শীতে কম্পমান ঠোঁট
নীল প্রলাপের মতন ধাবমান আগুনের নেশায়, পদে পদে হোঁচট-
যদিও জানতো আগুনের কোন সীমা- পরিসীমা নেই
দুর্বিনীত
নিজকিয়া
সেই বাড়ীর সন্ধান দিতে পারো!
সেই নির্বাক গাছের!
মৃত্যুও যেখানে ভয় পেয়ে থমকে দাঁড়ায়
শুধু প্রেম দুলে যায়
কিনারা থেকে অতলস্পর্শী খাদের ছায়ায়।
সেই মনপ্রীত খুঁজে দিতে পার
যেখানে কুয়াশা জড়ায় নৈশ আদরে!
উদ্বাস্তু মেঘগুলো যখন
উত্তর দক্ষিণ ছুটে চলে,
সেদিন আর বৃষ্টি হয় না।
এমনই এক গুমোট গরম লাগা বিকেলে,
উড়ন্ত মেঘের অদৃশ্য পথ দেখতে ছিলাম।
পাশে বয়ে যাওয়া নদীর
ঢেউয়ের শব্দ ছাপিয়ে
চিরচেনা সেই কণ্ঠস্বর।
-এই দিকটায় অনেক দিন
আসা হয় না, তাই না অরুণ?
-ঈষৎ চমকে, শুধু বললাম,
জীবন কি সবসময় এক পথে ছুটে?
– কি