আমি পাথর অথবা ভিসুভিয়াস আমি পাথর হতে চাইলে তুমি এসে বল্লে হতেই পারো,
অতঃপর আমি পাথর হয়ে গেলাম
নিরেট, নিখাদ দগদগে নীলচে পাথর এখন আমি গভীর ষড়যন্ত্রেও নিখুঁতভাবে দাঁড়াতে পারি অসহ্যময় পাহাড়ে হেলান দিয়ে কারন,আমি যে পাথর
অথবা পাথরের

খোঁপাটা খুলে গেছে দেখো;
তোমার নাকফুল ছুঁয়ে দেই?
চুল সব মেঘ নিয়ে গেলো;
নাকের ডগার জলটুকু নেই? মেঘের বাড়িতে জলের নিমন্ত্রণ
মেঘবাড়ি কী এক আকাশ-দূর?
জানালার পাশে দেখো দলছুট মেঘ;
বৃষ্টিরা আজ পায়ে পরেছে নূপুর! তোমার চোখে আকাশ নেমেছে;
চোখের কোণ দুটো ছুঁয়ে দেই?
ওখানেও এতো জল? টলমল!
“তিনভাগে” বুঝি কোন জল নেই!

স্কুলের শেষ ক্লাসটায় মনোযোগ ধরে রাখা,
সাইকেল চালানো শেখার সময় চাকার দিকে
না তাকানোর চেয়েও সব সময় কঠিন। কোঁকড়া চুলের ঢেউয়ের মতোই
অনেকটা ছিল, আমাদের গ্রামের
আঁকাবাঁকা মেঠো পথ গুলো।
পণ্যের জীবন চক্রের ধাপের মতো
উত্থান-পূর্ণতা-পতনে সীমাবদ্ধ ছিল না
আমাদের কৈশরের দিন গুলি।
উচ্ছ্বাস উচ্ছলতায় কাটতো সময়,
চলতো বিপাশা নিরঞ্জনের চোখাচোখি। বিজয়ায় প্রতীমা বিসর্জনের রেশ
তখনো

নঙ্গর নিগূঢ় মিহি কর্পূরসে ঝুলন্ত রাত
কর্তকোরাসের মতন
হাড়গোড় গাঁথা মাংসের উৎসুক প্রাণী-
বাতাস ও বাবলাফুলের কেশর-পাপড়ি,
কুচি পাতার নিষ্টি গন্ধের ঘ্রাণতর্পণে ছুটছুট এগোয়
ভেঁপু বাজানো তর্কশাস্ত্রের কর্কশে
এ স্টেশন থেকে ও স্টেশন;আনফিট বাহন।
আকাশে হেলানো চাঁদ
ভ্রমর উল্লাসে নেমে আসে
হিড়িক ফেলানো জানালার কাচের ওপর;
গাছেরা অন্ধকার হতে স্বাগত জানায়।
দূরের ছাইজ্বলার মতন আনকোরা জোনাকি
রাতের

বইমেলা ও তরুন কবি বড় বড় প্যান্ডেলের ভিতর আপাদমস্তক রঙবেরঙের ঝলকানি
চোখ উপচে পড়ছে নতুন আশায়
কতশত স্বপ্ন আশা কবিতা কিলবিল করছে তরুন হৃদয়ে
বাস্তবের রোদের থাপ্পড় তেলের বাটি চোখের সামনে রাখা
ইলিশ ভেজে তেল অনেক বেরোলো
বঁটি নামাতেই ভুলে যায় কাঁচকলার ব্যাপারীরা তবু
কবিতা নীল আকাশ উদার দখিনা হাওয়া জয় গোস্বামী

জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছাসহ।

ভালোবাসা,
তোমার বয়স কত হলো?
কতকাল পেরিয়ে তুমি
ঘুলঘুলির অন্ধকারে
স্তব্ধ হয়ে আছো!
ভালোবাসা,
এখন তুমি কেবলি
সন্ধ্যার শুনশান নীরবতা!
ভালোবাসা,
তোমার বয়স কত হলো?

বাহরাইন সিতরা ট্যাংকার বার্থ থেকে ব্রিটিশ পতাকাবাহী ট্যাংকার জাহাজ “কুইন অফ গালফ” এ ফুল লোড অর্থাৎ প্রায় ষোল হাজার টন হাই স্পিড ডিজেল নিয়ে ১৯৮২ সালের শেষ দিকে শীতের কোন এক সন্ধ্যা বেলায় আমরা ওমানের মাস্কাট

ক্ষমতাই ধর্ম বিষণ্ন সঙ্কীর্ণ জোয়ার তুলা মনে-
একি দেখছি, মানবতার কোন ধর্ম নাই।
ক্ষমতাই হলো সবচাইতে বড় ধর্ম- বুঝতে পাই;
আকাশ বাতাস জল স্থল বহে তার স্বাক্ষী-
তাই তারা নাফ নদীতে ডুবলো রক্তভাসী;
আইএস নামের সন্ত্রাসী কাণ্ড-
এ এক ক্ষমতাধারী যে ধর্ম। আর্ন্তজাতিক সংস্থার স্বার্থ নাই বলে-
ওরা খেলে -ওরা ভাসায় রক্তজল –
রক্তহোলি

পর্ণকুটীর পর্ণকুটীরে আসিয়া দাঁড়ায়েছ
কে বা তুমি পথিক ?
বারেক ফিরায়ে চাও
আজি এ কোজাগরী জ্যোৎস্নাপ্লাবিত রাতে
তোমার পায়ের মৃদুপরশটুকু দিয়ে
আমায় পূর্ণ করো
তোমার সুমনে আমার এই কিঞ্চিৎ হৃদয়ের
ছায়াটুকু এঁকে যাও
দেখো সুনীল আকাশ, আঁধারে প্লাবিত,
পল্লবিত আম্রকানন, হাসিভরা মম
তন্ময় মুখশ্রী, কাজল পেতে রেখেছি দু চোখে
একবার এই সুহাসিনী বদন
তুলিয়া নাও ও মোর

দেবী ও কবি নির্বাক অনিমিখ ছুঁইয়ে গড়ে পড়ে স্বপ্নবান পঙক্তির ধারা
কম্পমান ঠোঁট, গ্রীবা, বুকের গভীরে তেতে উঠে বিবাগী শোক।
বিদ্যুৎ চমকানো আলোর কটাক্ষে এক টুকরো হাসি
চির চেনা সেই উত্তাপ সেই সুবাস নীল জ্যোৎস্নায় যাচ্ছে ভাসি – দেবী
(কবির ওষ্ঠে আঙ্গুল চেপে চুপ করে দেয়) – না

চেনা চেনা, অচেনা অনুভূতি তুই প্রায়ই জিজ্ঞেস করিস,
ভালোবাসো আমায়? আমি চুপ করে থাকি
উত্তর জানা নেই আমার; আমি জানি না ভালোবাসা কি?
যে ভালোবাসা বোঝেই না সে উত্তর দেবে কি? ভালোবাসা কি?
তুইই বলে দে না রে; এই যে কুয়াশা ভোর
আর মন কেমন করা লালচে রোদ, এই যে বিষণ্ণ দুপুর
আর হরিৎ বিকেল, এই যে

পাখির ভাষা, মানুষের চলার পথ পাখিভাষ্য শিখতে পারে না মানুষ। কিন্তু মানুষ পোষে পাখি,
উড়ে যেতে চায় পাখির ডানায়- চলে ও চালায়
জীবন, জীবনের ছায়া- জলের একান্ত প্রতিবিম্ব। মানুষ যে অক্ষর ধারণ করে বুকের পাঁজরে- তার মাঝে
কি থাকে পাখির জন্য সামান্য ভালোবাসা!
অথবা যারা বৃক্ষ হত্যা করে, নগর পোড়ায়,
দখল

শিব কণ্ঠের নীল খুঁজছি যুগ যুগান্তর
যে অনল দগ্ধ হতে হতে হয়েছে নীল
পথিকের পথ হারানো ভয়ার্ত নীল–
বহুমুখি গুহায় আঁধারে পথ হারিয়ে;
যার মর্ম জগতে আপনা আপনি বাজছে বেদনার বীণ। যোগ্যতার সকল রসদ বুকে নিয়ে
যে উদ্ভ্রান্ত পথিক বসে আছে মাঝ পথে–
গন্তব্য যার সুদূর সীমাহীন ।
যে সুন্দরের পূজারি যুবক—
আমাজানের

বুক সেল্ফে বন্দী পড়ে থাকা গণতন্ত্র আমার চাইনা
যে গণতন্ত্রর মুখোশে স্বৈরাতন্ত্রর বাস তাকে চাইনা
বুক ফুলিয়ে যে গণতন্ত্রে কথা বলা যায় তাকে চাই। পর্দার আড়ালে বিদ্রোহী কবিতা আবৃতি করবোনা,
জনমঞ্চে দাঁড়িয়ে পাঠ করতে চাই বিদ্রোহী কবিতা
আজকে আমি আমার বাকস্বাধীনতার মুক্তি চাই। রাজনীতির পকেটে বন্দী