সামাজিক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
তবুও তুমি লিখছ – নিরন্তর
তোমার চিঠি পেলাম গতকাল
হলুদ খাম – সংসারী হতে চাও
কামনার ভ্রু উল্টে নতুন করে
শিখছ শরীরবিদ্যা – প্রণয় বুলি ঘন নিঃশ্বাস ফেলে শূন্যে ঝুলিয়েছ ফানুস
সতর্ক সাইরেন – নারী কামনার ঘোর উত্তর দিলাম –আমাকে অস্থির করো
মদ্যপানের ন্যায় মিইয়ে আসা রক্তঘুম অন্ধ সৈনিকের মতো অমিত

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পানি কম-বেশি হওয়াতে গাছ অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরীক্ষা করে দেখুন টবের মাটিতে কী পরিমাণে পানি আছে। মাটিতে একটি আঙ্গুল ঢুকিয়ে দিন। এক ইঞ্চি গভীর পর্যন্ত যদি মাটি শুকনো থাকে, তাহলে বুঝতে হবে পানির অভাবে অসুস্থ হয়ে গেছে

১।
সোলায়মান হায়দর। বাড়ি আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল থেকে প্রায় ৪০ মাইল উত্তরে কালাকান নামের ছোট্ট শহর ছেড়ে আরও প্রায় ১৫ মাইল উত্তরে সাওয়ারখিল ছেড়ে এশিয়ান হাইওয়ে দিয়ে খানিকটা এগিয়ে কারাকান বাজারে ডান দিকে মোর নিয়ে যে ইসতালিফ সড়ক পূর্ব দিকে চলে গেছে তার বাম পাশে

উলঙ্গ কালকেশী উলঙ্গ কালকেশির মেঘ ভাসচ্ছে নিশিকান্তি গাঁয়ে
কাছে বা দূরে হাজার ফুলেল সাজ সজ্জিত চোখে!
কৃষ্ণচূড়ার একরাশ রঙ যাচ্ছে ছড়িয়ে- রাস্তার মোড়ে
একচাপলা মাটির ঘ্রাণ বিমুগ্ধতায় ব্যাকুল করে তোলে; ঐ জড়ানো লাউয়ের ডগায় কিংবা ঘাসফড়িংর ডানায়-
আসতে ছুঁটে -পূর্ণিমার ছুঁয়া নিতে, অতল স্রোতের জলে,
উলঙ্গ কালকেশী ঘুমপাড়ানির বাসনায় জুড়ে বসে

স্বস্তির নিঃশ্বাস কে যেন ফুল ছুঁড়ে বলে গেলেন অখ্যাত ছাতা
কখনো মা, কখনো দয়িতা, তীর ছোঁড়া কবিতা।
কি ভাবে যেন বেডরুমে ঢুকে পড়েন
বিভিন্ন চরিত্র দেখে নেন
কেউ জঠরে, কেউ কোটরে।
ভাবতে অবাক লাগে এই মহাপুরুষকে
একদিন ভালোবাসা আর শ্রদ্ধায়
আপন করে নিয়েছিলাম
শুধু তিনি আপন হতে পারেন নি। এখন খালি চত্বর থেকে স্বস্তির

অভিনয় মন তো মন’ই
কখনো ভালো কখনো খারাপ; ক্ষণে ক্ষণে পিঠ, ক্ষণে ক্ষণে ছুঁয়ে দিচ্ছিলি হাত
কাল ছিলো তোর বড্ড বেশী মন খারাপ,
তবুও ঠোঁটে হাসি ধরে রেখেছিলি
যতক্ষণ একসাথে ছিলি,
মুখে আবোল তাবোল কথার ফুলঝুরি
যাতে আমি বুঝতে না পারি
তুই কি জানিস?
আমি মন পড়তে পারি; হাতে যখন হাত বুলাচ্ছিলি
তোর হাত কাঁপছিল
পিঠে যখন

আনসময়ে যাব বললেই যাওয়া যায়?
পা বাড়ালেই কুডাক ডেকে
মুখের ওপর দরজা বলে “চোপ”!
যাব ভাবলেই ভাবলেশহীন
মাছের চোখ থুতু ছেটায়।
যাওয়ার কথা পাড়তে গেলেই
আগাপাস্তলা দুরমুস
বইতে থাকে টাইফুন। পায়ের আঙুল রাস্তা ছুঁলেই
রাস্তা নিজেই গুটিয়ে যায়,
শিরদাঁড়ায় নামতে থাকে
প্রতিদ্বন্দ্বী বরফকুচি।
যাব বললেই মানুষমুখ
অবসাদে নেকড়ে হয়। প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলেই
বন্দুকনল ঘুরেই ফায়ার।
শব-বিষাদ আঁকড়ে ধরে
যাওয়া হয়না যাব বললেও।

জ্বলছে আগুন মনে বনে
টলছে প্রাণীকুল,
কীসের পাপে সৌর তাপে
ফোটায় বিষের হুল! ভোরেই জেগে গিন্নী রেগে
আগুন হয়ে ওঠে,
সেই আগুনেই কিচেনরুমে
চায়ের জলটা ফোটে। হাট বাজারের সাথে সাথেই
আগুন জ্বলে পেটে,
নেতার কথায় আগুন জ্বলে
মিছিল সভা গেটে। তুষের আগুন বুকের মাঝে
সুখের ঘরে খাঁ খাঁ,
পোড়ার জন্যে পিপিলীকার
গজায় তবু পাখা।

রাত্রি এবং আমি রাত হলেই ঘুমেরা লুকোচুরি খেলছে আমার সাথে। আমিও আর তাদের খুঁজতে যাচ্ছি না। তারা তাদের মতো থাকছে, আমি আমার মতো। চারপাশে সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে। গভীর রাত। এমনকি বাড়িগুলোও একে অপরের সাথে কথা বলতে বলতে ক্লান্ত হয়ে ঘুমোচ্ছে।

আমি একদিন যুবক ছিলাম আজ তোমাকে একটি কথা শোনাবো
খুব খেয়াল দিয়ে শোনো
আমি একদিন যুবক ছিলাম
গোলাপ ফুলের মুখোমুখি তোমার মাথার অবাধ্য চুল
যখন পাকা পেয়ারার গন্ধের মতন
আমার শুষ্ক নিঃশ্বাসকে সতেজ করে গেল
আমি তখন বারংবার
হাড়ে-মাংসে বিরাট বৃক্ষ হয়ে উঠলাম।

তুমি আসবে কি? তুমি কে কাঁদো এই নদীর কিনারায়
কেন কাঁদো একবার বলো না আমায়,
তোমায় দেখে ব্যাকুল মনটা আমার
যেন দেখেছি আগে কোথাও তোমায়। তোমার চোখ দুটি অটল চেরা
তোমার চাহনিতেও ময়া ভরা,
তুমি যেন এক আকাশের তারা
তোমায় দেখে এই মন দিশেহারা। বলো তুমি কোন বাগানের

কথা না বলতে বলতে কথা বলা প্রায় ভুলেই যাচ্ছি আমি,
কথা বললে অকারণে খুব বেশি ভুল হয় আমার,
ভুলগুলো কোন শ্লোগানের ভাষা পায় না,
চোখের পাতায় বারুদের মতো জ্বলে ওঠে না বিপ্লব। যে তুমুল ডাকে অযুতকোটি হাতের মুঠোয় অংকুরিত হয়েছিল আগুন,
প্রদীপ্ত হয়েছিল স্বপ্নময় আকাশ,
তা এখন অসুস্থ কথার ভেতরে