তুমি কেমন করে গান করো হে গুণী
কে হতাম আমি, যদি আমি
আমি না হতাম!
মগজের খেলায় বরাবর পরাজিত
হৃদয়ে জিতে গেছি শুধু
সরলবর্গীয় চিরহরিৎ বৃক্ষবিশেষ—
কি হতে তুমি, যদি তুমি তুমিই না হতে!
অনেক ক্ষুধা নিয়ে জন্মেছিলাম
তুমি বললে, লোভী
হয়তো এটাই তোমার প্রথম ট্রিপ
এই নাকের উপর ওই তিরতির ঝোঁক
আমি লোভী বলি
কাল সারাটি রাত ধরে
তুমি ছিলে স্বপন মাঝে
ঘুমেরই ঘোরে।।
কোথা দিয়ে কেটেছিল রাত
এসেছিল বসন্ত বাতাস
বুঝিনিতো আমি, বুঝিনি
কে এসেছিল আমারই দ্বারে।।
একটু খানি পরশ এখনও আছে লেগে
বুঝেছি তাই ঘুম থেকে জেগে
এসেছিলে যদি ডাকনি কেন নামটি ধরে
দিয়ে কেন গেলে না
কবিতা|
১২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১১৮৯ বার দেখা
| ৪৮ শব্দ ১টি ছবি
যৌতুকের অভিশাপ থেকে মুক্তি চাই
মেয়ে তুমি আর জন্ম নিও না দরিদ্রদের ঘরে,
জন্মিলে তোমার জীবন পড়বে ঝরে ঝরে।
তোমায় পারবে না দিতে বিয়ে গরিব পিতামাতা,
তাদের করেছে দরিদ্র; অর্থকড়ি দেয়নি বিধাতা।
মেয়ে তোমায় বিয়ে দিতে যৌতুক লাগবে হায়!
কোথায় পাবে অর্থকড়ি তোমার পিতা-মাতায়?
যদি না
কবিতা|
১০ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৭২০ বার দেখা
| ১৭৮ শব্দ ১টি ছবি
শুধু রঙিন কালির সবিতা
পদ্য আর গদ্য পাঠে লাল সবুজের
হলো কি ছন্দ থাকে মনের মাঝে !
গন্ধ কোথায় বা খুঁজি- যদি না পাই
রাঙা মনের গন্ধ পাওয়ার অনুভূতি-
তাতেই হলো এ ছন্দ রূপে রূপসী;
চক চক করলেই বুঝি হয় রে সোনা
আসল স্বর্ণ চিনে কয়জনা! শুধু
কবিতা|
১২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩৩০ বার দেখা
| ৫৫ শব্দ ১টি ছবি
একেক সময় একেকটা সকাল,
সামনে দাঁড়ায়,
কখনো আকাশ ফুটো হওয়া অবিরাম বৃষ্টি, কখনো রৌদ্রজ্জ্বল পরিস্কার,
কখনোবা কুয়াসায় মোড়ানো এক রহস্য নারীর মতো আধো ফোটা,
আধো ঢাকা লাজে রাংগা নতুন বউ।
আমাদের এই আটপৌরে জীবনের ঘাটে ঘাটে, নানা রংগের সকাল দুপুর রাত,
তাকে মেনে নিয়েই প্রকৃতির এই
আমি তো নই
কোন লোকাল বাসের
ভাঙা কাঁচের জানালা,
আমি তো নই
কোন পরিত্যক্ত ট্রেনের
মরচে ধরা কামরা।
আমি তো নই শীতের
কোন রাত জাগা পাখি,
আমি তো ভুল তোমার
মিথ্যা স্বপ্নের ভাতি।
১১-০৯-২০১৫
শিপ্রা, তুমি কাছে এসো না,
দূরে চলে যাও, দুঃখ দিয়ো না –
তুমি কাছে এলেই আমার শরীর
অপার বিস্ময়ে আর্তনাদ করে উঠে,
সমস্ত বোধ চেতনার সারাৎসারে
খুঁজে ফিরে বেঁচে থাকার মানে।
শিপ্রা, তুমি কাছে এসো না
দূরে চলে যাও, দুঃখ দিয়ো না।
এই যে এত দেখি জীবিকা হরদম –
কোথায় বলো জীবন থাকে? কোন অববাহিকায়?
হাতের তালুতে যেখানে রয়েছে প্রাণ;
জানো কি থাকে সেখানে?- আয়ুরেখা।
এসো জীবন,
আমাকে করো প্রত্যাখ্যান-
ধারণ করো রুদ্রমূর্তি,
বিচ্যুত মেঘ উড়ে যাক অবকাশে-
হৃদয়ে বাজাও বিদায়ের
কবিতা|
১৪ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১১১১ বার দেখা
| ৬৫ শব্দ ১টি ছবি
কানের ঠিক কিছুটা উপরে একটা পিস্তল তাক করা ,
সামনে সাজানো রয়েছে বিশাল এক পেটোয়া বাহিনী ,
পিছনেও পড়ে আছে রাজ্যের তামাম রক্ষি বাহিনী ;
কারনতো একটাই জনতাকে ওদের মতো
করতে না পারা ৷
গণতন্ত্র নামক এক দিল্লিকা লাড্ডু ঝুলিয়ে রাখা সামনে ,
একনায়কতন্ত্রকেও বৈধতা দিয়ে;নাম
কবিতা|
১১ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩০৫ বার দেখা
| ৯০ শব্দ ১টি ছবি
– মা, আমরা এখানে- মা —
ঝোঁপের আড়াল থেকে ফিসফিস শব্দে ডাক শুনতে পেয়ে মা এগিয়ে গেল। এতক্ষণে যেন তার প্রাণে জল এল। সেই কখন থেকে বিড়ালটা ছানাদের খুঁজে বেড়াচ্ছে। কাছে গিয়েই ছানাদের সারা শরীর চেটেচেটে আদরে ভরিয়ে দিল মা।
-বাছারা আমার – তোরা এখানে কেন?
দুয়ারের খিলের ভেতর
কিছু দাগ চাপা পড়ে থাকে
কিছু জোছনা বয়ে যায় উজান।
কিছু পাখি একাকী আড়ালে
অরণ্যে একা—
গেয়ে যায় প্রিয় গান।
সেই গান-কলি
হয়তো বা কেউ শোনে,
হয়তো বা কেউ
দুয়ারে খিল দিয়ে,
সাজায় আগুন কিংবা পৌষ বুনে।
অনেক দাগের মাঝেও কিছু দাগ
হস্তরেখায় ছড়িয়ে যায় বিবাগ।