গ্রীষ্মের খর তাপে
পাঠালাম তৃষ্ণা অন্তহারা,
তুমি তারে দিয়ো
বুকের ঝরনা ধারা। বরষার শ্যামল মেঘে
পাঠালাম বুকের কান্না,
তুমি তারে দিয়ো
চোখের প্রিয় আঙিনা। শরতের শান্ত জ্যোৎস্নায়
পাঠালাম হৃদয়ের উষ্ণতা,
তুমি তারে দিয়ো
ঠোঁটের মধুর মৌনতা। হেমন্তের মৃদুমন্দ বায়
পাঠালাম নবযৌবনের আহবান,
তুমি তারে দিয়ো
কণ্ঠের সকল প্রিয়তান। শীতের ঘন কুয়াশায়
পাঠালাম বিষন্ন অভিমান,
তুমি তারে দিয়ো
অনুরাগের কিছু গান। বসন্তের সোনালি

কানাবিলে মাঝদুপুরে
হঠাৎ -হঠাৎই
ঝুপ করে নৈঃশব্দ্য ঝাঁপায়,
আমার দশদিকে সত্যি দেখি কেউ নেই আর মাধবডিহির পথে
তুমুল বিরানে
একাপথ একা পেয়ে
দুদ্দাড় আমাকে তাড়ায় কাঠফাটা ধূ-ধূ করা নিঝুম প্রান্তর
গিলে গেছে নির্বিকার জনচিহ্নটুকু,
এমনকি রাত্রি জাগা
ঠায় খাড়া কালপুরুষকেও,
তার চেন্ – এ বাঁধা কুক্কুরী সমেত।

আজি শরতপ্রাতে উথলিয়ে উঠেছে মোর দেহ মন
দিগন্ত রেখা ভেদি বাজিছে মধুর কঙ্কন,
নব কিশোরী এলিয়ে দিয়েছে কালো কেশ
ছুটে চলেছে গ্রামের ছোট্ট নদীটির ধারে, হারিয়ে দিশ। প্রভাত হতেই চলেছে আকাশে মেঘ ও রোদের খেলা বেশ
কাশ ফুলের শুভ্র ছোঁয়ায় তুমি সেজেছ, মুগ্ধ আমি অশেষ,
ওহে প্রেয়সি আমার বঙ্গ ললনা-

এখানের (অস্ট্রেলিয়া) বাড়িগুলো দেখলে কেমন একটা শান্তি শান্তি ভাব হয়। অধিকাংশ বাড়িগুলো একতলা বা দুতলা এবং টালির ছাদ। ছোট ছোট গেট। আমার কাছে অনেকটা নির্জন গ্রামের মত লাগে। রাস্তাঘাট ক্লিন – গাড়িগুলো প্রতিটা বাড়ির সামনে দাঁড় করানো। গ্যারেজ থাকলেও

ভালোবেসে দ্যাখো-
মস্ত বড় আকাশ দেবো
উড়বে হাজার পাখি,

বুক পকেটে র গল্প মাটির বুক পকেটের গল্প যেনো ইলিশে মাছ!
গল্প শুনে শুনে মুখরিত এই মাঠ ঘাট জনসমুদ্র-
অথচ এ বুক পকেটের গল্প মেঘ শূন্য অমাবস্যা,
সব কিছুতেই ধু ধু বালুচর, বালিঝড়,
মরচে পরা গল্পের উঠন! ঐ স্বর্ণমোহলে মাটির নিত্য নতুন গল্প

আমার চেনা আছে তোমাদের কাম
কামদৌড় তো ঐ বেশ্যাপাড়া পর্যন্ত
সলিল অন্ধকারে বিরামহীন উল্লাস
অমীমাংসিত রমণীর দেহ নিয়ে
গুহামুখে অভিশাপের রাত্রি যাপন অতঃপর হাসফাস! নিঃশ্বাস আটকে আসে
দীর্ঘ নিঃসঙ্গতা – ধূসর অতীত ডাক এসেছে বাতিল জীবনের
সদর দরজায় দাঁড়িয়ে আছে কামদেবী
নিরেট মধুমাস বলে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে
লবণ জলে ডুবিয়ে রেখেছ নগর
জৌলুস ভরা চোখে

“আমি ধনী আমি জ্ঞানী মানী রাজ্যপতি।
শ্মশানে সকলের দেখ একরূপ গতি।”
– কাঙাল হরিনাথ। তাঁর আসল নাম হরিনাথ মজুমদার। কিন্তু প্রায় সবাই তাঁকে চেনেন কাঙাল হরিনাথ নামে। বাউল গানে নিজেকে কাঙাল বলে উপস্থাপন করতেন বলেই তাঁর এই পরিচিতি গড়ে ওঠে। বিখ্যাত বাউল

১৮৭২ সালে ঢাকা কলেজ

বর্তমান ঢাকা কলেজ এই যে আজকে আপনারা বসবাস করছেন আমার বুকে এই আমি ঢাকা মহানগরী। এক সময় কিন্তু আমি এত বড় ছিলাম না। নবাবদের আমলে মাত্র

পকেটে মাত্র একশ’ পঁয়ত্রিশ টাকা। নিটোলকে বিয়ে করতে কাজী অফিসের সামনে এসে রিকশা থেকে নামলো অর্ণব। সাথে বন্ধু সুদীপ। প্রায় বিশ, পঁচিশ মিনিট আগে নিটোল এসেছে। একাই এসেছে সে। অফিস বারান্দার এককোণে ওড়না দিয়ে মাথায় আধখানা ঘোমটা টেনে দাঁড়িয়ে আছে। শুকনো মুখ, টেনশন, দুশ্চিন্তায় হয়তো

চাঁদ উঠেছে
এই চাঁদটিই হাজার বছর ধরে উঠে যাচ্ছে
সম্রাট বাবর এই চাঁদটিকে দেখেই মনের কোণে যুদ্ধের মানচিত্র আঁকতেন
শাহজাহান গড়েছেন এই চাঁদের আদলেই তাজমহল
বিশ্বাস করা যায়
মাইকেল মধুসূদন দত্ত, নজরুল আর বঙ্কিমের বাংলাদেশে এই চাঁদই সাহিত্যের সবটুকু রস দিয়েছে
অবাককর তথ্য হল এই চাঁদে ভ্রমণ করেই প্রথম মানুষ

আজকের আলোচনা হবে অনুপ্রাস নিয়ে – ছড়াদাদু বলেন।
ওরা পাঁচজন মাথা নেড়ে সম্মতি জানায়।
তবে তার আগে তিনপ্রকার ছন্দের মধ্যে পার্থক্যটা সংক্ষেপে একটু করা যাক।
-ঠিক। – ওরা সম্মতি জানায়।
-স্বরবৃত্তে রুদ্ধদল একমাত্রা আর মুক্তদলও একমাত্রা।
মাত্রাবৃত্তে রুদ্ধদল দুইমাত্রা আর মুক্তদল একমাত্রা।
অক্ষরবৃত্তে শব্দের শুরুর রুদ্ধদল একমাত্রা আর শব্দের

সে রাতে কুজ্ঝটিকার আড়ালে হারাল প্রকৃতি
তমাসাচ্ছন্ন চারিধারে; হঠাৎ ডাক দিয়ে গেল কোন এক সুদর্শন
শ্যেন দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল অশ্বথের ডালে নিরীহ সে পেঁচাটি
প্রকৃতির তার বিধি ভেঙ্গে শোনাল সামুদ্রিক গর্জন;
ভাসিয়ে নেবে, নেবে অচিরে; এঁকেছিলেম যত তব মুখচ্ছবি।
প্রকৃতি জাগেনি তখনো, যখন জেগেছি আমি তথায়
হন হন রবে ছুটে

সাধারণত মন খারাপ হলে কবিতা লিখি-
কবিতায় একটা সম্যক্‌ ধারনা লিখে রাখি,
দশ বছর পরেও যেন পড়লে বুঝতে পারি-
ঠিক কেন এবং কি কি কারণে মন খারাপ হয়েছিল।
আর কেউ বুঝবে না, অনেকটা শর্ট হ্যান্ড নোটের মত। আজও আমার মন খারাপ- ভীষণ খারাপ।
অথচ