জলপাহাড়ে ঘর
কেউ গেয়ে যাচ্ছে ক্লান্তকণ্ঠে, বনজ সঙ্গীত। মন্দ
লাগছে না এই কোলাহল, পাতার পৃথক ভাষা,
সূর্যের বিবৃতি। পাহাড়ের প্রান্ত ছুঁয়ে জেগে উঠছে
যে প্রেমকণা- তাকে গ্রহণানন্দে, ভিজে যাচ্ছে প্রেমিকার চোখ।
এই শহরে যারা সাঁতার জানে না, তারাও ভাসতে এসেছে আজ
যারা কখনও পড়েনি, রাধা-কৃষ্ণের প্রেম কাহিনি, তারাও
বাঁশি হাতে নিয়ে
তুমি ছাড়া আষাঢ়ের এই দিন,
বৃষ্টিস্নাত রাত অথবা ভোরের ভেজা ভেজা
প্রহর, সবকিছুই কেমন ফিকে ম্লান হয়ে,
বার বার তোমাকেই মনে করে দেয়।
আমাদের কখনো দেখাই হয় নি,
সামনা সামনি আসাও হলো না কখনো,
অথচ কি সুন্দরভাবে ছেড়ে যাওয়ার
আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে নিলে নিজে নিজে।
আমাদের মনঃপথচলা
বেশ লম্বা সময় পর আহমেদ হোসেন দেশে ফিরছে। আগে ঘন ঘন ফিরতো। এয়ারপোর্টে তখন কেউ না কেউ তাকে রিসিভ করতে আসতো। এসব অনেক আগের কথা। শেষ ক’বার এয়ারপোর্টে কেউ আসেনি। বয়স বেড়েছে কিন্তু আহমেদ হোসেনের ইচ্ছের বয়স বাড়েনি। মুখে বলেনা; কিন্তু এখনো মন চায়
একজন প্রতারক ও তার প্রতারণা!
১৯৮১ সাল। স্থান নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যের আটলান্টিক সিটি। কুয়াশার ফাঁক ফোকর গলে দিনের আলো মুখ খুলতে শুরু করেছে কেবল। পাপের এ নগরী এক অর্থে কখনো ঘুমায় না। জুয়ারিদের ভিড়ে ২৪ ঘণ্টা জমজমাট থাকে ক্যাসিনোর স্লট
মৃত্যুর পরে লেখা কবিতা
এক
ও-তুমি যতই তক্ষশীলা বিহারে পাথরের ফুলকাটা জন্মদিন হয়ে থাকো
যতই না বায়ুদূত ফড়িংয়ের মতো রোদ ছেড়ে রাখো শরতের পেটের ওপর
তুমি যতবার ভরপেট খিদের মধ্যে মাতৃশোকেও কুকারের সিটি বাজিয়ে দাও
যদিও তোমার জানা — একটা কান্না কেঁদে মেয়েরা ঘরে মুখ লুকোয়
আর দশটা কান্না কাঁদালে
এক টাকার পানি খেয়ে
মুতি পাঁচ টাকায়,
বিবেক বুদ্ধি বিক্রি করে
টিকে আছি ঢাকায়।
মিথ্যা কথা পুঁজি করে
স্বপ্ন বেঁচে থাকার,
অন্যের জ্ঞান চুরি করে
ঢাকি নিজের আঁধার।
দুঃস্থ রোগীর রক্ত চুষে
স্বাস্থ্যটা ঠিক রাখি,
নগদ বেঁচার আশায় আমি
রোজই কিনছি বাকী।
সুরক্ষিত থাকতে নিজে
পরকে করি আঘাত,
খুন
কবিতা|
০ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৬৬ বার দেখা
| ৬৪ শব্দ ১টি ছবি
২
একটা ভালো উদাহরন হলো ট্রয় নগরী, যাকে ঘিরে ঘরে উঠেছে হোমারের ইলিয়াড। অনেক অনেক বছর ধরে এই শহরের অস্তিত্বকে অস্বীকার করা হয়, বলা হয় এটা শুধুই কল্পনা, শুধুই মিথ। ১৮৬৮ সালে আসলেই এই শহর খুঁজে পাওয়া যায়। এঁকে তখন
জিলাপির আড়াই প্যাচ
রাজনীতির মারপ্যাচ,
কাটে ভোতা দা দিয়ে
কেটে যায় ঘ্যাঁচ ঘ্যাঁচ।
আকাশে ছোড়া তির
এসে লাগে নিজ গায়,
এই ধরে গলা চেপে
এই পড়ে রয় পায়।
শিক্ষা কি দরকার?
পয়সার কারবার,
লুটপাট যুদ্ধে
জোর যার ধন তার।
বিচার ব্যাবস্থা
টাকা ভরা বস্তা,
যদি থাকে তবে তুমি
রাখো তাতে আস্থা।
নিয়ম
কবিতা|
১৪ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১২৪৮ বার দেখা
| ৬৪ শব্দ ১টি ছবি
অনেক সত্যি আমায় কাঁদায়
সকাল, বিকাল, সাঝে
নিরম্ভর সব সত্যি গুলো
ছবি হয়ে সাজে
কিছু সত্যি পায়না প্রকাশ
ভয়ের তারনায়
সত্যি কিছু যায় ভেসে যায়
সময় ভাবনায়
পরকিয়ার সত্যি গুলো
পরের ঘরে রয়
সেই সত্যি প্রকাশ করা
কেমনে বলো হয়
সত্যি অর্থ সত্যি পথে
ছড়ায় বলো
তুই কী জানিস তোর দু’চোখে
আলো আঁধার খেলা করে,
খেলা করে মৌনতার বিষণ্ণ রঙ।
মন খারাপের দিনে
আমি আকাশ দেখিনা,
দেখি অস্থির চোখের
অফুরান কৌতুহল।
জানিস অনুসৃতা,
কত দিনে যে আমি
সমুদ্র দেখিনা,
সমুদ্র যে গিয়েছে ডুবে
তোর দু’চোখের অতল
১০
অস্ট্রেলিয়া এখন মিশ্রকালচারের দেশে পরিণত হয়েছে। এত এত মাইগ্রেন্ট বিভিন্ন দেশ থেকে এখানে এসেছে এবং আসছে যে আমার মনে হয় একসময় অরিজিনরা নিজেদের হারিয়ে ফেলবে তাদের মধ্যে। চাইনিজ মনে হয় প্রায় সবচাইতে বেশী মাইগ্রেন্ট হয়ে আসছে। সারাক্ষণ নিজেদের মধ্যে পাখির মতন কিচকিচ করে কথা
মানুষের অসাধারণ কিছু গুণাবলির মধ্যে খাবার খাওয়া একটি গুন। খাবার খাওয়ার সময় মুখের অঙ্গ ভঙ্গিগুলো আমি খুব তীক্ষ্ণ ভাবে অবলোকন করি। কি যতন করে যে তার খাবারগুলো মানুষ চর্বন করে তা সত্যিই বিস্ময়কর। প্রথম যখন প্লেটে কেউ ভাত নেয় তখনই দেখবেন মুখের অবয়বটা সম্পূর্ণ