রক্ত এবং দিনপ্রতিদিন নদীর শুকনো চর বিদ্ধ করে
ছলাত্
একদলা রক্তকণা ছিটিয়ে লাল
রাজপথ। রক্ত দেখলেই একদল উৎসুক
খুঁটে খুঁটে হিমোগ্লোবিন
ভাঁড়ারের সাম্বৎসরিক জোগাড়,
রক্ত দেখলেই কারো খিদে পেয়ে যায়। আরও একদল ভুরভুর সুগন্ধি রুমাল
নাকে চেপে দ্রুত সরে আসে,
রক্ত দেখলেই তাদের ওয়াক অথচ সময় অসময়ে টিভির চৌকো
বাক্স তাদের ডাকে – তইতইতইতই
সব্জিবাথানে সামান্য অন্যমনস্কতার
একফোঁটা

যদি মুর্খ হতাম সেই ভালো হতো
লিখতে হতোনা আর তোমাদের কুকর্মগাথা
বিসর্জিত হতোনা জীবন লিখে সত্য কথা ৷ যদি বোবা হতাম সেই ভালো হতো
রাজপথে মিছিলে আর ধরতে হতোনা স্লোগান
ঝরাতে হতোনা বুকের রক্ত আর এই প্রাণ ৷ যদি অন্ধ হতাম সেই ভালো হতো
দেখতে হতোনা এই

কথামালা শরতের আকাশ “বুনোহাঁস”-
কখনো চ্যাটে খেলছে— হেলেদুলে চলছে-
ডিম পাড়ছে-
শুয়ে আছে মিটমিট করে কিছুটা দূরে আনমনভাবে তাকিয়ে-
মনখারাপের অাড়ষ্টতা-
প্রকৃতির পুরো থালাটাই বাঁধাধরাহীন ফেসবুক- “নোটিফিকেশন” মৃদুমন্দ ভাবে দুলছে-
বৃষ্টির নিম্নচাপ-
হঠাৎ কালো মেঘ-
ঝড়—
আবার “সেলফির” বিচরন-
রোদের হুঙ্কার ——
লাইক কমেন্টের স্নান খাওয়া।

রং করা চুলের স্বাস্থ্য ঝুঁকি কে না চায় নিজেকে নিজেকে সুন্দর করে তুলতে! বর্তমানে আমরা ঝুঁকছি কৃত্রিমতার দিকে। কিন্তু চোখের সৌন্দর্যই বড় কথা নয়। সুন্দর হতে গিয়ে যদি থাকে স্বাস্থ্যঝুঁকি তাহলে ? গবেষনা বলছে হেয়ার কালার স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায়। তবে দেখে নেয়া

সে অনেক অনেক দিন আগের কথা। যখন নানান জাতের ভূতের বসত বাড়ি ছিল গ্রাম গঞ্জের বিভিন্ন তাল গাছে এবং বট গাছে, বিলের মাঝে ভূতদের খেলার মাঠ ছিল। মাছের পুকুরে ভূতদের রান্নাঘর ছিল, যখন হাট থেকে ইলিশ

“কোন অমরার বিরহিনীরে চাহনি ফিরে
কার বিষাদের শিশিরনীরে এলে নাহিয়া” নিঃসঙ্গ শীতে কুয়াশায় খোলা ছাদে শিহাব একা। শুনছে এক প্রেমিক পুরুষের হৃদয় নিঙ্গড়ানো প্রেম-নির্যাস! সেই সাথে নিজের স্ট্যাটাস আপডেট করছে “আমি গত ঊনিশটি বছর এক নিভৃত জীবনযাপন করে চলেছি। প্রথমে এক নামানুষে পরিণত

(উৎসর্গঃ নুসরাত ইমরোজ তিশা) এক।
জোনাকির আলো জ্বেলে চোখে
দিবে কী স্বপ্ন কিছু বিপন্ন বিস্ময়ে,
আমার সকল স্বপ্ন বংশীর বুকে
নীরব নক্ষত্রের মত গেলে ক্ষয়ে। দুই।
পৃথিবীর সব কলরব ফুরলে
মৃত নগরীর কোন অন্ধকার পলে,
তোমার চোখে পাবে কী ভাষা
আমার হৃদয়ের সকল অপূর্ণ আশা। /ড মোঃ সফি উদ্দীন

যে যাকে ভালবাসে, সে- ই তার ভয়।
আছে, তবু নেই হয়ে কৃচ্ছতায় ভাসা,
পেতে রাখা ফাঁদে দেবে ইচ্ছাব্রতী – পা,
সন্ধ্যারতি খেয়ে যাবে আখড়া – আশ্রয়। মৃত্যু নিশ্চিত্ জেনেও যুদ্ধ নেবে মাথা,
কারো কারো এমনই জন্মরোগ থাকে।
যত কেন ভেতর- বার ছতিচ্ছন্ন হোক
স্বকীয় স্বভাব তবু হাঁটে না অন্যথা। ভুল পাহাড়ের কোলে

একটি বাউল গান [] তোমার কোনো পরিচয় নাই তোমার কোনো পরিচয় নাই,
আমি যদি ডাক না দেই
আমি তোমার ছবির বাহক
সাথেই আছি- কোথায় নেই! ১। সব কর্তৃত্ব আমায় ঘিরে
পাপ আর পূণ্যের সব বিচার,
তোমার হুকুম পালন করি-
আমার তো নাই অধিকার,
আমি ছাড়া তুমি বেকার,
লুকিয়ে আছ আলোতেই ।। ২। যুগে যুগে তোমায়

আকাল তারাদের থেকে কিছু মিটিমিটি আলো ধার
নেওয়ার স্বপ্ন দেখি
আজ-টা আমার কাছে রেখে আগামীকালটা
দুঃস্বপ্নে মুড়িয়ে রাখি! তফাত শুধু এই যে, ভালোবাসা আর ভালো বাসা!
একজন স্বেচ্ছায় শ্রম দেয়
আর একজন টাকার বিনিময়ে শরীর নেয়! যে হাত পাথরে কিল, ঘুষি দেয়
ঘামের দামে ভালোবাসা কিনে নেয়
আজকাল হেমন্তের বড় বেশি আকাল!

খোলা বাতায়ন বায়ু সারাক্ষণ,
শ্রাবণ কদম ভ্রমর মিলন।
ছোটে মেঘ দল প্রাণ চঞ্চল,
বৃষ্টি ধারায় হৃদয় কোমল। আঁধার রাতের নীরবতা,
ক্লান্ত দেহের প্রাঞ্জলতা।
হুঙ্কার দেয় ঝড়ো হাওয়া,
বিঘ্নিত হয় পরম পাওয়া। অধীর মোহের এ আগ্রহ,
শ্রাবণ মেঘের প্রীতি স্নেহ।
বৃষ্টি জলে ভরল উঠোন,
টাপুর টুপুর সেকি

আমার বলতে কিছুই নেই আমার পৃথিবীতে আমি হলাম বড় একা
যেদিকে তাকাই দেখি নীরব নিস্তব্ধতা,
শব্দ নেই, নেই পাখির কোনও কলরব
চারদিক দেখি শুধু হাহাকার অস্থিরতা। আমি বড় একা কেউ নেই পাশে আমার
এসেছি একা একসময় চলে যাবো একা,
একসময় থাকে সবাই থাকে ধনসম্পদ অজস্র
সময়তে থাকে

All people are human And not all humans are real people

‘অনেক প্রহর নিঃসঙ্গ
সাঁওতালি গানের সুরে,
কাটিয়ে দিলাম তোমায় ভেবে
ঝাউ মহুয়ার বনে’ – তপনের মায়াবী কন্ঠের সুরলহরী ভেসে চলেছে বদ্ধ কেবিনের যান্ত্রিক শীতল বাতাসে। এখন লাঞ্চ টাইম। খেতে ইচ্ছে করছে না। কি মনে করে গান শুনতে ইচ্ছে হল। এই তুমিটা কে?
যাকে উদ্দেশ্য করে