কাঁপছে বর্ণমালা বর্ণমালা কাঁপছে, শীতের দেবতার তরে
উষ্ণতা খুঁজছে, শৈত্যপ্রবাহ কুয়াশা জুড়ে;
দুটি ব্যাগে বর্ণমালার দূরগম পথ ছুটে চলার প্রত্যয়
নতুন প্রজন্ম স্কুল কলেজ প্রঙ্গনে কত উদ্যোগ-
তাদের সোনালী ভাবনায় এক অভয়চিত্র খেলা রয়; যত শীত শৈত্যপ্রবাহ রাস্তার মোড়ে করছে জয়!
বাস্তবতার বিবেক প্রসন্নচিত্ত এখন বাংলা মা;
অতঃপর আগামীদিনে হবে না বর্ণমালার

পিঁপড়াদের হায়াৎ দারাজ হোক সবাই বোঝে না এমন ভাষা। আমরা যাকে স্বরণ করি তার নাম যদি মৃত্যু হয়
তবে আমাদের যাত্রা শুরু হোক আলোর দিকে।
বস্তুতঃ
আমরা
সহজে
কিছুই
ভুলি না। আকাশের দৈর্ঘ্য আর প্রস্থ মাপতে চাওয়াটা নেহাত বোকামী ছাড়া আর কিছুই নয়
নটরাজের অভিনয় দেখতে দেখতে আমরা ক্লান্ত। দৃশ্যপট
পাল্টে
গেলে
চোখের সামনে যা দেখি তার

প্রেমিক শব্দের সৃজনে, ছন্দে, অভিমানে,
অভিশাপের অলঙ্কারে ক্ষত বিক্ষত
পূর্বরাগের খড়-কুটো দিয়ে
সাজিয়ে নিচ্ছি আমার চিতা। হাজারো শব্দেশরের শয্যায়
দগদগে হয়ে ওঠে গোপন ক্ষত।
আগুনের আলিঙ্গনে পুড়ে যাক
স্বপ্ন, অভিশাপ, অপবাদ।
প্রেমিকের নাম হলো আগুন।
সেই আগুন মুছে দিক যত দাগ।
আর তার লেলিহান শিখায়
লিখে দিক আকাশে, বাতাসে
স্বহা

দূরত্ব দূরত্ব আসলে দৈর্ঘে প্রস্থে মাপবার মতন নয়
এ হলো এক ধরনের ক্ষরণ, এক ধরনের সম্পর্ক
রেললাইনের মতো লম্বা অথচ বক্র
প্রবল শীতেও গ্রীষ্মের দাবদাহে কণ্ঠনালী চেপে ধরা। দূরত্ব হলো বুকের ভেতর চাপা অভিমান
সময় সুযোগমতো তরল লাভার উদগীরন
সেই লাভা গড়িয়ে জমাট হয় আরেক পাহাড়
ক্ষীণ আশায় অন্ধকার ঘনিয়ে আসা। আসলে দূরত্ব

শীত শুধু শীত আসলেই এমন নিদ্রাহীন বসে থাকা
থমথমে কৃষ্ণপক্ষের রাত
অশরীরী আত্মারা ডাক দিয়ে যায় সময় গণনার
অথচ ঋতু বদলের এই সময়ে সবচেয়ে ভালো থাকার কথা ছিল তার
কথা ছিল এইবার শীতে একটা উষ্ণ কাঁথা পেলে
জড়িয়ে ধরবে সব দুঃখ গাঁথা।
একটা ঘুম!
এক মরণঘুমে পাড় হয়ে যাবে শীতশহর
জান্নাত – জাহান্নাম
তারপর

আমার ভণ্ড উপন্যাসের কিয়দংশ আমার কোনো ইগো নেই তেমনটি আমি মনে করি না। কিন্তু আমার ইগো মানুষ এবং মানবতাবাদের উপরে নয়। কয়েক হাজার ফুট নিচে। ঝালমুড়িওয়ালাকে ভাই, বাদামওয়ালাকে দাদা, চানাচুরওয়ালাকে চাচা বললে যদি আমার ইগো পাংচার হয়ে যায়, তেমনি ইগোর আমি নিকুচি করি। দুই গাল

আমার দীর্ঘশ্বাস তোমার প্রেমের দেয়াল ছুঁয়ে
নিদ্রাহীন রাত্রি প্রবাহিত হয় জানালার পাশে।
সিগারেটের উষ্ণতা, ঝিঝির ডাকের সাথে বেমানান
বদ্ধ এই ঘরে জেগে আছে ঘড়ি ঘন্টা
প্রার্থনা মিশে যাই রাতের অন্ধকারে, (আমিন ) ফিরে এসো রুক্ষ বাঁধন ছিঁড়ে।
ধুলো মাখা জানালার পাশের দুঃখ গুলো,
পায়রার ঠোঁটে তুলে দেখাতে চাই তোমাকে।

ইনবক্সে
————-
– আছ?
– আছি।
– কত অপেক্ষায় রাখবে আমাকে?
– অপেক্ষার সেকেন্ড দীর্ঘই হয়।
– এত? এই অবেলায় আর তো পারিনা।
– যতদিন অপেক্ষা, ততদিন প্রত্যাশা। অপেক্ষা শেষ হয় গভীর বিষাদে। তারপর, প্রাণান্তকর বিশ্রাম।
– কেন? প্রাণান্তকর কেন? সুখের বাচালতাও তো হতে পারে!
– ভার্চুয়াল প্রেম প্রেম খেলা শুধুই যে ডেকে

ভালবাসা আমি চিরকাল গান পাগল মানুষ। teenage বয়সে কোনও কোনও সুর চোখ ভেজাতো। তারপর নদী দিয়ে অনেক জল বয়ে গেছে, পলি পড়েছে। নাব্যতা কমেছে। অনেক ওঠা পড়ার পর এপিঠ ওপিঠ বদল হয়ে কোন এক ভোরে সেই এক সুর যখন একই রকম ভিজিয়ে দেয় চোখ

দ্য_ফার্স্ট_কিস_অণুগল্প_গল্পগ্রন্থ_ছায়াসঙ্গী এক মেয়ে আর এক ছেলের সাথে কঠিন সম্পর্ক ছিলো। ১৪ বছর আগে তাদের কিভাবে যেন বিচ্ছেদ হয়ে যায়। একটা যুক্তিযুক্ত কারণ ছিলো। পারিবারিক, সামাজিক আজ তার স্মরণের কিছু প্রয়োজন নাই। ১৪ বছর পরে মেয়েটার ক্লাসমেটদের মধ্যে একজনের সাথে এই ছেলেটা ওই মেয়েটার

আমার বাবা ৮/১০টা বাবা থেকে আলাদা। একেবারেই আলাদা। বাবার মতো জনদরদী এমন মানুষ খুজে পাওয়া কষ্ট হবে। জন্মের পর থেকেই যাকে আপন বলে জানতাম তা হলো মায়ের পরে বাবা। বাবার আদর ভালোবাসায় আজ আমি আজকের অবস্থানে

শীতের ওজনগুচ্ছ ১
অবশেষে তুমিই আমাকে
শিখিয়ে দিলে-
শীত ও ঠাণ্ডার পার্থক্য! ২
তোমার কাছে এলেই
আমি ক্রমশ
মাইনাস আঠারো হয়ে যাই! ৩
মাপার যোগ্যতা না থাকার পরও
তুমি,
আমাকে বললে, নব্য ওজনদার! ৪
জানুয়ারির এই ভোরে
দেখলে সূর্যের নিক্তি,
মনে হয় শীতের সাথেই
হয়েছে শেষ চুক্তি! ৫
ভালোবাসি বলে
হাত বাড়িয়ে দিলেই
আমার দিকে এগিয়ে আসে
গুচ্ছ গুচ্ছ সুবর্ণ শীত। ৬
শীতসংগ্রহের রাতে,
আমিও ছিলাম তোমার পাশে
রাগ ভরা