ঋতুমতী বর্ষা ঋতুমতী বর্ষা সব ঋতুতেই ভিজে সপসপে
যেন আষাঢ় শরীরে লেগে
ডুবে যায় ভেসে যায় তার অনিন্দ্য দুখানি পা
কখনো নদীতে কখনো পুকুরে যেন ফোটা লাজুক পদ্ম
কৃষ্ণ ঠাকুরেরা শিউরে শিউরে উঠে
কেউ ডুকরে উঠে বলে, মাগো তুমি কি তবে সেই
বিরহী রাধা যে অঙ্গনে অঙ্গনে দাঁড়ায় একাকী
শ্যামেদের তরে মেলে

বিরহ তো অন্ধকার
আমার চোখেতে তাপ
ভালোবাসায় তোর চোখে কেন?
বাষ্প বাষ্প ভাপ চাঁদ জানে না চাঁদনি কেমন
আলো বিলিয়ে যায়
তুই ছাড়া আমি অমাবস্যা
মন অন্ধকারে ছায় জল জানে না জলের মর্ম
বয়ে চলা সারাক্ষণ
‘তুই’ নদীতে আমার ভেসে চলা
তোতেই আমার মন শূন্য চোখ তাকিয়ে থাকে
শূন্যতার দিকে চেয়ে
তোকে ছাড়া

(১)
দুই অক্ষরে দুনিয়া!
ব্যস্ত হলাম যেন,
একথা শুনিয়া।
একটু আমার মাথা ব্যাথা,
আমার কাছে এ আজব কথা!
মনে হইতেছে কেন?
ডানে দুই অক্ষর!
বামে দুই অক্ষর!
সামনে দুই অক্ষর!
পেছনে দুই অক্ষর!
আর মধ্যি খানে মোর,
শ্বাস রুদ্ধ কবর! (২)
এক হিন্দি বাবু,
নামে

রাত অনেক হয়েছে ঘুমাও তুমি
নারীর বুকে রাত্রিত্ব; কী বুঝবে তুমি?
তুমি পুরুষ; হয়ত পরিণত
তবুও তুমি রাত্রি’র মত নও;
অন্ধকারে তোমার জেগে থাকা স্বভাববিরুদ্ধ স্বেচ্ছাচারিতা। আমি জানি পুরুষ, তোমার বুকে রাত্রির মাদকতা থাকে
লোমশ বুকের উদ্যম মাতাল গন্ধ
উন্মাদিনীর

তুমি চাইলেই সাত সমুদ্র ওপার হতে তোমায় একটা সমুদ্র এনে দিতাম;
কি দরকার ছিল শরীরে এক ফোটা লোনা জল লুকিয়ে রাখার। তুমি চাইলেই আকাশ হতে সমস্ত নীলিমা তোমায় এনে দিতাম;
কি দরকার ছিল চোখের কোনায় এক ফোঁটা নীলিমা লুকিয়ে রাখার! তুমি চাইলে চেরাপূঞ্জির সমস্ত মেঘ তোমার গাঁয়ে জড়িয়ে

সবাই যদি পারে তবে, তুমি কেন পারবে না?
এমনি করে আর কখনো, গোমড়া মুখে থাকবে না।
তাকিয়ে দেখো সবাই কেমন, ছুটছে ভীষণ গতিতে,
অলস ঘরে বসে থেকে, পড়ছ কেন ক্ষতিতে? এই জগতের কোন কিছু, মানুষের অসাধ্য নয়,
সফলতা পেতে হলে, সফল

নির্ঘুম শহরনামা নির্ঘুম শহরনামা, ওপাশে শালবনের অরণ্য
জ্যোৎস্নার আলো খসে পড়ে পাতার পলেস্তরায়-
নির্জন উপত্যকা-মৃদু স্রোতে বিউগল বাজে
ব্যাঙ ও মাছ শোনে গান; কালকীট শেয়াল দাঁড়ানো
ঝরাপাতার বুক চেপে কুয়াশা রাত পোহায়-
বুঁদ হয় অন্তঃপুরের বিবর্ণ ব্যস্ত দেয়াল। ধূলোর প্রাসাদে অধর পথ, বন্দরে নাভিমূল বাড়ি
তাঁর পাশে ষষ্ঠ ঋতুর অঙ্গন, আংটি বাঁকা

“আমাগো ঘরে চান্দ আহে না রে মা। জোছনা এইখানে লজ্জা পায়। চাঁদের রূপ ধইরা দুঃখ আহে শুধু। দুঃখের নাম আমরা চান সুরুজ রাখি। ” মায়ের এসব তত্ত্ব কথা চৌদ্দ বছরের জলপরীর মাথায় ঢুকে না। সে ভাঙা চৌকির এককোণে তেলচিটচিটে কাঁথা

আমি যে চরম নেশায় মাতি
তোমার ও মধুর সূরে,
আজীবন আমায় শুনিয়ে যেও
যেওনা কখনো দূরে। এমনি বুকের মাঝেতে রেখে
শুনিও প্রেমের গান,
তোমার আমার এ পথ চলা
যেন না হয় অবসান। প্রজাপতিরা পাখনা মেলে
বাগানেতে ফোটে ফুল,
ঠিক তেমনি কূল

বহু প্রাচীনকাল থেকেই আয়ুর্বেদিক ঔষধে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে নিমের তেল। বিভিন্ন ধরণের সংক্রমণ এবং ত্বকের সমস্যা নিরাময়ে প্রাকৃতিক নিরাময় হিসেবে কাজ করে নিমের তেল। অনেকেই নিমের তেলের ঘ্রাণ পছন্দ করেন না, কিন্তু নিমের তেলের চমৎকার গুণের কথা জানলে

ওল খেয়ো না ধরবে গলা –
এই সাবধানবাণী-
প্রথম পাঠেই যোগীন্দ্রনাথ
করেছিলেন জানি। ওল খেয়েছি না শুনে তাঁর
ছোট্ট নিষেধখানি-
হাজার ওষুধ খেয়েও এখন
যায় না সে চুলকানি। – শংকর দেবনাথ

তুমি অন্য কারুর কবিতা একদিন মাঘের ভোরে তোমাকে ছুঁতে গিয়ে
উদোম শরীরে হিমেল হাওয়ার প্রচ্ছদ
এঁকে দিয়েছিলাম!
জানালার কার্নিশ ছুঁয়ে যখন ভোর আসে আমার ঘরে,
শালিকের ঠোঁটে রংচটা আমাদের স্বপ্নটা পাট কড়ি
অনলে শীতের উম দেয় পৌরাণিক মঠে! একদিন খুউব ভোরে তোমাকে নিয়ে কবিতা লিখতে বসেছিলাম,
শ খানেক পৃষ্ঠা নষ্ট করেও

খুব যত্ন করে পুষেছিলাম ছোট্ট পাখিটাকে এত্ত ভালবাসতাম পাখিটাকে কখনও খাঁচায় রাখিনি, কষ্ট পাবে বলে। আমার পড়ার টেবিলটার পাশে ছোট্ট একটা ঘর বানিয়ে দিয়েছিলাম ওকে। যেন নিজের মত নির্ভয়ে থাকে। আম্মুর অনেক বকাও খেয়েছিলাম সেবার, পাখিটাকে ঘর