আজ ১১ই জৈষ্ঠ্য, আমাদের আর এক প্রাণের কবি, প্রেমের কবি, বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলামের জন্মদিন। তাই আজ একটু অন্যরকম ভাবনা শেয়ার করার চেষ্টা সম্পর্কে নক্ষত্রেরা বাংলা সাহিত্যের দুই দিকপাল, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আর নজরুল ইসলাম। কেমন ছিলো দুজনের মধ্যে সম্পর্ক? বাংলা সাহিত্যের

আজ অনেকদিন পর চারুবাবুর মোড় পেরিয়ে পুবে যেতে যেতে উত্তরে দৃষ্টি গেল। হায় সেই পুরোনো দালানগুলো নেই। দূরে কালি মন্দির একাকী দাঁড়িয়ে আছে শুধু। রতন দাশ’এর কথা মনে পড়ে গেল। তখন স্কুলের শেষের দিক, মাথায় বেঞ্জু বাজানোর ঝোঁক চেপে বসেছে। রেলবাজার-বড়বন্দর থেকে ভারতের ম্যামোলা

নিরঞ্জন বলেছিল,
“ভালোবাসতে যাবি না কখনো”;
শুনে আমি শুধু নীরবে হাসতাম।
আমি তো জানতাম —
নিরঞ্জন ছিল অভিশপ্ত দেবতার মতো,
যে পাওয়ার খুব কাছে গিয়ে
হারাতো সবই। স্কুলে ফুটবল খেলার সময়,
ফুটবলরূপী জাম্বুরাটা
একে একে সবার পায়ে যেত;
খুব কাছ দিয়ে গেলেও
পা আর ছোঁয়া হতো না,
নিরঞ্জনের। লেখাপড়ায় সবচেয়ে ভাল ছেলেটা
পরীক্ষায় ফার্স্ট হতো না কেন,
তা ছিল

কাটাকুটি খেলা তুই অন্য কারো জীবনের গল্প
আমি জীবন লিখি,
তুই অন্য কারো ঘরের হাঁসি
আমি কান্না আঁকি
তুই বহু, বহু দূরে সরে গিয়েছিস
আমি প্রেম লিখি; অর্থের মোহ জীবনে অনেক বড়
স্বার্থপর ভালোবাসা বোঝে নি একবারও
তুই তুই খেলায় হেরে গিয়ে
‘তুমি’ হয়ে গিয়েছিস তুই অন্য কারো; এখন রাতকে বড্ড ভালোবাসি আমি
আর অন্ধকার ভালোবাসে

সুখে থেকো চাইনা আমায় হৃদয় ধোয়া জল
যাও ফিরে যাও অষ্ট প্রহর সুখে
আমার আছে অজানা পথ
নিকষকালো ধ্রুপদী সম্বল। বাহুর ডোরে না থাক ফুলো লতা
কুঞ্জ কালো মেঘের সাথে বাঁধবো হাড়ি পাতিল
দেখবো চেয়ে ছন্নছাড়া পাখি
কেমন ডাকে বলে সে কোন কথা।
নাইবা পেলাম তপ্ত ভাতের

কাজী নজরুল ইসলাম।
বাংলাদেশের জাতীয় কবি। কালপুরুষ এই মহান প্রাণ একাধারে সঙ্গীতজ্ঞ দার্শনিক সাহিত্যিক নির্ভীক দেশপ্রেমী সাংবাদিক রাজনীতিবিদ কবি এবং সৈনিক। যিনি আজীবন গণমানুষের অত্যাচার এবং দাসত্বের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন প্রতিবাদ করেছেন। ইংরেজী ১৯২১ সাল। তখন দেশজুড়ে চলা

আমি মায়ের মুখে প্রথম শুনি ‘ভোর হোল দোর খোলো খুকুমণি ওঠ রে’। ঘুম থেকে উঠে পড়তে বসতে হত।
তারপর স্কুলে ‘বাবুদের তালপুকুরে হাবুদের ডাল কুকুরে’ এবং ‘কাঠবিড়ালী কাঠবিড়ালী পিয়ারা তুমি খাও’ শুনে মনটা একেবারে ফ্রেস হয়ে যেত।
এরপর উঁচু ক্লাসে একদিন স্যার বললেন – তোমাকে

আর কত নোনা জল সূর্য রোদের নিঠুর যৌবন খেলায়
নরম দেহে অসহ্য কষ্ট !
নদ নদীর মতো নোনা স্রোত বয়ে যায়
সময় ক্ষণ হচ্ছে কত নষ্ট; আর কত খেলবে তাপদাহ রাঙা রঙিন
ভিতর বাহির করে খানখান –
দিয় না ঈশ্বর, জীবন ঘেষে জল শূন্য মরণ!
শুধু এই ফেরেস্তার মতো
শিশু রা হয়ে যাচ্ছে

সুইট সিক্সটিন কিছু কিছু সত্যি গল্প বহু বছরের জন্যে মনে গেঁথে বসে থাকে। যেমন ক্ষিধে কোনো দিনও শেষ হয়না। আকাশ কোনও দিন মেঘশূন্য হয়না। পাখিরা খড়কুটো ঠোঁটে গাছে বাসা বাঁধবেই। একটা গ্রাম গ্রাম শহরের পাশে স্বচ্ছতোয়া ছোট নদীটি। এই নদীর নীল জলের তলায় বাস রূপোর ঝিনুকদের।

মাত্র তিনটি লাইনেও একটা গল্প লেখা যায়! এদেশে আমিই প্রথম এই ধারার অণুগল্প লেখার প্রচলন করেছি। আমার নিজেরও প্রায় শ’খানিক এমন লেখা অণুগল্প রয়েছে। এটা এমন কিছু নয়, তবে এরকম তিন লাইনের একটা অণুগল্পকে আমি মাত্র তিন দিনে ৬ ফর্মার

বিবর্তনবাদ চুমুর ইকুয়েশান ছেড়ে দাও
কালাশনিকভ রাইফেল দেবো উপহার
মস্তিষ্ক বরাবর আঘাত করো
এক্স ওয়াই জেড বিবর্তিত স্পার্ম দেখ, পাল্টে গেছে নিয়মের ব্যাকরণ
ম্যাথম্যাটিকসের জটিল হিসাব
মেকানিক্যাল এবং ইঞ্জিনিয়ারিং এর সূত্র
ফ্লেমিং ম্যাক্সওয়েল জুল ও রেসিস্ট্যান্টের সুত্র সমূহও এবার ড্রয়িং খাতার মাঝ বরাবর ছিঁড়ে ফেল
এক অংশ নারীর অন্য অংশ পুরুষের
রাইফেল ফেলে একটা চুমু

একটি কাম্যবৃষ্টির জন্য যে রূপালী নিনাদ
অজস্র ফিতার ঝিলিকে চিরে ফালিফালি করছে আকাশ;
তার কিছুটা
নির্দ্বিধায় ঢুকে পড়ে দেয়ালে ঝুলন্ত ‘পিয়েরে অগাস্তে কতে’র তৈলচিত্রে। আবহাওয়াবার্তায় ঠিকঠাক বলা হয়না ঝড়ের পূর্বাভাষ।
আমরা শুধু দেয়ালে পেরেক ঠুকে ঠুকে ঝুলিয়ে রাখি ‘দ্য স্টর্ম’ এর নকল
আর প্রতীক্ষায় থাকি একটি কাম্যবৃষ্টির।
নস্টালজিক পাতাগুলো উল্টেপাল্টে মুখস্ত