১২॥ ১২॥ ২০১২
বারোটি ফুলের কাছে জমা রেখে সবগুলো ভুল
বারোটি আকাশ থেকে তুলে আনি আলোর খোয়াব
বারোটি জোনাকী জানে তুমি-আমি করেছি যে ভাব
বারোটি কবিতা আঁকে সেই ছবি, প্রেমের সমূল।
বারোটি দূরের রেখা কাছে এসে বলে- লিখে যাই
বারোটি ঘুমের রাত আমাদের রক্তমাংস ছুঁয়ে
বারোটি বিরহী পাখি উড়ে যায়,
‘এতোদিনে বুঝিলেন মহাশয়
মাসে মাসে বেতন কেন হয়,
চাকুরির মধ্য আছেন বলে
এ ছাড়া অন্য কিছু নয়।’
– অনেক আগে দেখা একটা নাটকের শেষে এই গানটি ছিল। একদিন একজন অফিসের বসের মনে হল, ‘তিনি বেতন কেন পান? কি এমন কাজ করেন তিনি যে তাকে
বার্তা চিঠি
একদিন অনেকগুলো গল্প হয়েছিল
একরাতে অনেক কবিতা
চায়ের কাপে অনেক চুমু
ঠোঁট ঠোঁটে অনেক ভালোবাসা,
তারপর অনেকগুলো দিন কাটলো
অনেকগুলো রাত
কথা ছিল অনেক জ্যোৎস্নায়
হাতে রাখবি হাত;
সে কত দিন আগেকার কথা!
মনে আছে?
আচ্ছা! সময়ের ডানা আছে রে?
কত কত জ্যোৎস্না পার হয়ে গেছে!
চোখের নিমিষে,
এখন আর হিসেব কষি না;
একসময় মাঝে মধ্যে চিঠি
এখন কিছু করতে হবে
এখন কিছু করতে হবে,
যা দিয়ে সম্মান পাবে আর মান রবে,
শ্রেষ্ঠ হবে, আরও হবে শৌখিনতার।
পড়তে হবে, করতে হবে পড়া শোনা,
ভুলতে হবে, ছাড়তে হবে আনা গোনা,
শান্তি পাবে, আর সুখ হবে, জীবনভর।।
খুঁজতে গেলে সার্থকতা,
যতই আসুক বাঁধা বিপদ ভুলে যাও
কবিতা|
৬ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩৮৯ বার দেখা
| ১৩৪ শব্দ ১টি ছবি
থাকতো যদি বোঝার উপায়, কার মনে কি আছে,
চোখের জলে কার কত রাত, নির্ঘুম কেটে গেছে।
কোনটা সত্য কোনটা মিথ্যা, মুখ দেখে বোঝা গেলে,
কে কতটা কষ্ট জীবনে, এসেছে পেছনে ফেলে।
প্রখর রোদে এই মাটি যদি, কখনো না ফেঁটে যেতো,
বৃষ্টি ফোঁটা কত যে মধুর,
কবিতা|
৮ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৯৬৩ বার দেখা
| ১৩৯ শব্দ ১টি ছবি
আগমনীর প্রারম্ভ মূহুর্তে
সেই কালো ছেলেটা দেখছিল।
এই সময়টায় এবং
শুধুমাত্র এই সময়টায় সে সময় পায়
তার রূপকথার পৃথিবীটা কেমন
আস্তে আস্তে মাথা তুলছে।
কালো অ্যাসফল্টের রাস্তার অর্দ্ধেক জুড়ে
ও পাশের একফালি ফাঁকা জায়গায়
কয়েকদিনের সমূহ ব্যস্ততা,
কত রকমারী জিনিসপত্র জোড়াতালি
কত মানুষের আনাগোনায়
কখনো রাজপ্রাসাদ, কখনো প্রেমের দূর্গ।
ছেলেটা এত
কবিতা|
১২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৮৭৭ বার দেখা
| ১৮৪ শব্দ ১টি ছবি
রুমা, আমি কি আরও কিছুক্ষণ বসবো
নাকি চলে যাবো
একটু পরেই বন্ধ হয়ে যাবে তোমাদের ক্যাফেটেরিয়া
দশটা বাজতে আর মিনিট কুড়ির মতো বাকি
রুমা, যদি কিছু বলার থাকে- নিঃসঙ্কোচে বলে দাও
কিম্বা চুপিচুপি একটি নোটও রেখে যেতে পারো…
আর মাত্র দশ মিনিট তোমার হাতে।
রুমা, আমি
সেই কবেই থেমে গেছে
চৌরাস্তার কোলাহল,
এক এক করে গেছে কেটে
ঊনিশটি বছর !
কিন্তু হুল্লোড় থামেনি আজো
শহরতলীর কোনে ;
একাকী পড়ে থাকা
শেষ বাড়িটায়।
মনে পড়ে এখনো –
ভর দুপুরেও নীরবতায় থাকতো ডুবে,
বুনো অর্কিডে ঘিরে থাকা
অদ্ভুত সেই শেষ বাড়িটা।
রাত গভীর হয়, কাটে সময় ;
শেষ বাড়িটা প্রাণ
ফিরে আসে মুহুর্ত’রা
মুহূর্ত’রা এখন তোমার
তৈরি থেকো যে কোনও সময়ে
আসবে ডাক ঝাঁপিয়ে পড়ার।
যুগে যুগে ঘুরে ঘুরে
সভ্যতার সীমানা পারিয়ে
অসভ্যদের হিংস্র থাবাগুলো যখন
মনুষ্যত্বের গলা চেপে ধরে
এ মুহূর্ত’রা তখন আসে ফিরে বারে বারে।
সতেরশো উনো নব্বইয়ের এর ১৭ জুনে
এ মুহূর্ত’রা নেমে এসেছিলো বুর্জোয়াদের
কবিতা|
৫ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৪৮৫ বার দেখা
| ৪০২ শব্দ ১টি ছবি
খুব নীল হতো আকাশ সে শিশু বেলায়
বিকেলের কড়া সে মাঝ নীল আকাশে রকেট উড়ে যেতো
কি যেন সাদা সাদা রকেট থেকে বের হয়ে
আকাশটাকে শুভ্র করে দিয়ে যেতো
পশ্চিম আকাশে হেলে পড়া সূর্যের দিকে রকেটের ছুটে চলা
আমি বিস্মিত হয়ে দেখতাম,
সূর্যকে ভেদ করার অদম্য ইচ্ছার পরিসমাপ্তি কি
মনে প্রশ্ন