একটি দায় এবং সাঁয়ের কবিতা
কোনো ভাবনাযুক্ত না করেই বলে দেওয়া যেতো
আমার ভেজাহাতে এক নিমিষেই হতে পারতে
একটি দায় এবং সাঁয়ের কবিতা
অতঃপর এখন আর কোনো সম্ভাব্যতা নেই!
যে মেঘ পথিকে ছায়া দেয়
পথিক কি জানে না, সে মেঘে বজ্র লুকায়িত থাকে?
যে ব্যাঙ কুঁয়োয় বসে সাগরকে ডাকে
নির্মম মহাকাল তারও
কাটাতারের ব্যারিকেড ভেঙ্গে
সুবোধ,তুই নিয়ে যেতে পারলি না রক্তিম সূর্যটাকে!
হায়নার হিংস্র থাবা আজ তাই,
গেথে গেছে বাংলার এই মানচিত্রে।
আজ সবুজ ঝাচ্ছে ঝরে-
বির্বণ বাংলার বুকে রক্ত হচ্ছে ফ্যাকাশে,
ঘোটালে ভবিষৎ নিয়ে দেশ উড়ছে মহাকাশে।
ফিরলে এবার দেখিস তুই,
সুবোধহীন এই বাংলা পড়ে আছে ইতিহাসের ডাস্টবিনে।
কাটাতারের ব্যারিকেড ভেঙ্গে
সুবোধ,তুই নিয়ে যেতে পারলি
ছোঁয়া
কোন এক সময়
প্রায়শই জ্যোৎস্না রাতে
তুই আর আমি, থাকতাম একসাথে;
কোন এক চাঁদনি রাতে
তুই আর আমি, পাশাপাশি
চাঁদ ছিল আকাশে
সামনে ছিল নদী,
তুই আর আমি, বহুদূর বহুদূর হাতে হাতে হাত রেখে
পায়ে পায়ে পথচলা নদী-পাড়ে একসাথে
মাঝে মাঝে একটু বিরতি
দুজন গায়ে গায়ে জড়াজড়ি
হাতে হাতে, বুকে বুকে, ঠোঁটে ঠোঁটে
বিশ্রামের ফাঁকে ফাঁকে
ফিসফিস
প্রথা পরম্পরা
সমুদ্রের কাছে গেলেই নিজেকে খুব ছোট মনে হয়।
সব মানুষ কে ‘মানুষ’, কিংবা সব পশুকে ‘পশু’ বলতে
ভুলে যাই। যে প্রথার পর্দা আগলে রেখেছিল আমার জানালা,
দেখি,তার গায়ে বাসা বেধেছে সদ্য লেজহারা টিকটিকি,
হাওয়ারা ফিরে যাচ্ছে অন্য প্রদেশে, চাঁদও ফিরিয়ে নিয়েছে মুখ।
বিজলীর জন্মদৃশ্য দেখলে আমি ঝড়ের
নিউ মার্কেট আর গাউসিয়াতে চলছে কেনা কাটা
দেশটি জুরে কোথাও আর নেই যে কোন ফাকা।
এখান থেকে ওখানেতে চলছে ছোটাছুটি
কোন বাজারে পাবে পোশাক হবে মোটামুটি।
দামে কম লাগবে ভাল দেখতে হবে খাসা
পড়শিরা সব বলবে ভাল এইতো এখন আশা।
চমকে দেব
কবিতা|
৬ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৪৯৮ বার দেখা
| ১৫৬ শব্দ ১টি ছবি
আমার ভুলে থাকা মন
ভালোবাসা ঠিক কি তা বোঝা হল না আমার। আবার ভালোবাসার অভিনয়ও রপ্ত করতে পারলাম না। বন্ধুরা আমাকে অবশ্য বলতো “তোর যা অহংকার! শেষে কারো ভালবাসা পেলে হয়।” আমি তো হেসেই উড়িয়ে দিতাম তাদের কথা। প্রিয় বান্ধবী অবশ্য আমাকে প্রায়ই বলতো আর
জীবন|
৬ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৭৩৪ বার দেখা
| ৩৫৫ শব্দ
একটা গল্প শুনবেন? আপনাদের কাছে গল্প মনে হলেও, এ একজন অতৃপ্ত নারীর গল্প। ‘অতৃপ্ত’ শব্দটি শুনে আবার ভুল বুঝলেন? না, ভুল বুঝবার অবকাশ নেই। শরীরের অতৃপ্তির সাথে সাথে আমার মনোদৈহিক অতৃপ্তি ও জড়ানো রয়েছে এখানে।
আমি কে?
টার্গেট কিলিং
বাবা, সালাম নিও।
কাল থেকে তোমাদের অবর্ণনীয় কষ্টের দিন শুরু হবে। সবাই তোমাদের দিকে আঙ্গুল তুলবে। ঘৃণার চোখে তাকাবে। বিশ্বাস করো বাবা, আমি কোনো ভুল করিনি।
আমার পথ যদি ভুল হয়, তবে সাড়ে তিনশ আসনে বসে থাকা দাঁতাল শুয়োরগুলোর পথ মহাভুল। বাঘ ঘাড় মটকে একবারে
গণসংগীত, রবীন্দ্রসংগীত আর অরিজিৎসিংগীত
সাত
আমার মনে হয়, গড় বাঙালি পঁয়ত্রিশ-চল্লিশ বছর পরমায়ু থেকে স্বেচ্ছায় রবীন্দ্রসংগীতের দিকে ঝোঁকে। তার আগে শ্রোতাজন্মের গু-মুত কেটে, খাইয়েপরিয়ে তাকে উপযুক্ত ক’রে তোলে যে মা-বাবাসকল তারা হিন্দি সিনেমার গান, বাংলা আধুনিক, পাশ্চাত্যের কিছু পপুলার মিউজিকও। তো, “ছোট” ঘর থেকে এসেছে বলে
এইরকম একটা পরিস্থিতে মেয়েটির হাসির কারণ ছেলেটি কোন ভাবেই বুঝতে পারছে না। কিছুক্ষণ আগে যা ঘটেছে তাতে অপলার কান্নাকাটি করার কথা। মেয়েটি হাসির শব্দে ছেলেটি পুরাটায় কনফিউজ হয়ে গেছে, ছেলেটি বুঝতে পারছে না মেয়েটি অতি শোকে পাথর হয়ে গেছে নাকি অন্য কোন কারণে
গল্প|
৫ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৫৮৯ বার দেখা
| ৩৮৫৪ শব্দ