নোঙর
এক সমুদ্র অন্ধজলে ডুবতে ডুবতেও
সজনে গাছের শাখাটা এখনো মাথা উঁচু করে আছে,
কেউ দেখেনি
বরকত, সালাম, রফিক, জব্বার, শফিউর দেখেছে!
আমি উপসর্গের কথা ভাবি
আমি অনুসর্গের কথা ভাবি
শহীদ মিনারের পাদদেশস্থ পরিত্যাক্ত ফুলেদের কথা ভাবি।
ছেঁড়াদ্বীপ থেকে কিছু কিম্ভুতকিমাকার দীর্ঘশ্বাস ভেসে আসে
আমি তাদের কথা ভাবি!
অথচ কতো নৌকোর
ইন দ্য ইয়ার অফ টু থাওযেন্ড ফৌর, আমাগো জাহিদ দিপার প্রেমে হাবুডুবু খাইতাছে। সপ্তায় দুই দিন ঢাকার থেকা একশো কিলোমিটার দূরে দিপাগো শহরে যায়। রিকশায় ঘুরে। কথা কয়। রেস্টুরেন্টে খায়। প্রত্যেক রাইতে ৩টা ৪টা পর্যন্ত কুটুর-কুটুর কথা তো আছেই।
টু থাওযেন্ড ফাইভের সেপ্টেম্বর থেকা
শীতপর্ব (৫)
এমনও শীতে দৃশ্যের ভেতর তৈরি হতে থাকে গৃহবন্দি ওম
জন্মরহস্য জানতে চেয়ো না আর
অনেকদিন ধরে দেখা নেই যে
দেখো বৃক্ষরা কেমন পর্ণতারকার মতন ঝরঝর করে খুলছে পোশাক
আমার শীতবাতাস প্রিয় ভাই
যতো শৈলি আর ছন্দময় রীতি এই শীতেই অর্জন করে মানুষ।
গভীর শীতের ভেতর ডুব দিলে আমরা যে
চলে যাওয়া
যখন পাশে কেউ থাকবে না তখন তোমায় খুঁজে নেব
এই যে তুমি একাগ্র আজীবন অপেক্ষায় থাকো
একদিন না দেখলে দু চোখে জল ভরে আসে।
একদিন রামধনু আঁকা আকাশের নীচে
তোমায় রূপকথার গল্প শোনাবো,
একদিন জোছনা আলোকিত রাতে তোমার
চোখের ভাষার সব সৌন্দর্য্য জেনে নেব,
আকাশের হলুদ
কবিতা|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১২৯৪ বার দেখা
| ৬৭ শব্দ ১টি ছবি
চন্দ্রবিন্দুর ছাপ
তুলো উড়িয়ে যাচ্ছ। উড়িয়ে যাচ্ছ ধুলো।
জানতে ইচ্ছে করে, তোমাদের পাড়ায় কি এখনও
কেউ গোণে রাখে শিমুলের বীজ। এখনও কি কেউ
এঁকে রাখে বসন্তমাখা সন্ধ্যার ছায়া।
এখনও কি তোমাদের গ্রামের পথ মাড়িয়ে
সুর শুনিয়ে যায় অচেনা বাঁশি বিক্রেতা।
এখনও কি,
বেদেনীরা দল বেধে বিক্রি করতে আসে লালচুড়ি।
আমি এসব ভাবতে ভাবতে
আলাপন-১
এক ভদ্রলোক রাতে শুয়ে আছে। ঘুম আসছে না। সে সাধারণত একা একা রাতে ঘুমায় না। একা থাকলে রাতে ঘুম আসতে চায় না। অশরীরী কিছু একটা এসে কথা বলে। আজ একা থাকতে হচ্ছে কারণ তার পরিবার বাপের বাড়ি গিয়েছে। ভুত-পেত্নী সে
গত বছর ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসের ২৪ তারিখে গিয়েছিলাম নারায়ণগঞ্জ সফরে। সদস্য আমরা এক পরিবারের চারজন। উদ্দেশ্য ছিল নারায়ণগঞ্জের কিছু প্রাচীন ও দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখা। সেই উদ্দেশ্যে আমরা সকাল সকাল বেরিয়ে যাই বাড়ি থেকে। বাড্ডা থেকে আসমানই পরিবহনের বাসে ১ ঘণ্টায় চলে আসি
পাবলো নেরুদার কবিতা : আমাকে রেখে দাও একটি গুপ্তস্থানে
আমাকে রেখে দাও ভূগর্ভস্থ একটি স্থানে, একটি গোলকধাঁধায়,
যেখানে আমি যেতে পারি,
যখন ফিরতে চাই
দৃষ্টিহীন, স্পর্শহীন,
পরিত্যক্ত, নির্বাক পাথরে, অথবা ছায়ার অঙ্গুলিতে।
আমি জানি তুমি তা পারবেনা, কেউ না, কিছুই পরিত্যাগ করতে পারেনা
সেই স্থান
অথবা সেই পথ,
কিন্তু
অনুবাদ|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৬৬৬ বার দেখা
| ১৭০ শব্দ ১টি ছবি
গল্পটা চাওয়া-পাওয়ার
এক জীবনে কতোকিছুই তো পেয়েছি কতোকিছু
আকাশ, বাতাস, মাটি, জল
রাবণের চিতার মতো চিরবিরহের অনল!
আজ আর আমার কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই
নেই কোনো আক্ষেপ, বিক্ষেপ, ভ্রুক্ষেপ
শামুকের মতো বেছে বেছে আর দিই না পদক্ষেপ
পা কাটে কাটুক
হাত কাটে কাটুক
যতো খুশি বাড়তে পারে, বাড়ুক এ হৃদয়ের ক্ষত
আমি জানি,
চাওয়া-পাওয়ার হিসাব-নিকাশ
এক মেয়ে আর এক ছেলের সাথে কঠিন সম্পর্ক ছিলো। ১৪ বছর আগে তাদের কিভাবে যেন বিচ্ছেদ হয়ে যায়। একটা যুক্তিযুক্ত কারণ ছিলো। পারিবারিক, সামাজিক আজ তার স্মরণের কিছু প্রয়োজন নাই।
১৪ বছর পরে মেয়েটার ক্লাসমেটদের মধ্যে একজনের সাথে এই ছেলেটা ওই মেয়েটার কিছু মিল পেয়ে
গাছ
বৃক্ষনিধন নিয়ে হইচইয়ের মধ্যে স্কুলের একটা দেওয়াল পত্রিকার কথা মনে পড়লো। ওই সংখ্যার বিশেষ বিষয়ই ছিল : ‘গাছ’। পঁচিশটা ছোট ছোট লেখা ছিল। তার থেকে দু- তিনটে পরিবেশন করছি।
(১)
সুমনা ভট্টাচার্য, দশম শ্রেণী, ‘ক’ বিভাগ।
।। এমন বন্ধু আর কে আছে।।
আমার ঠাম্মারমতই,