পাবলো নেরুদার কবিতা : যদি তুমি আমাকে ভুলে যাও আমি তোমাকে
একটি কথা জানাতে চাই তুমি জানো তা কেমন করে:
যদি তাকিয়ে থাকি স্ফটিক চাঁদের দিকে
আমার জানালায় ধীর শরতের লালিম শাখায়,
যদি স্পর্শ করি
আগুনের পাশে
স্পর্শাতীত ছাই
অথবা জরাজীর্ণ কাঠের গুঁড়ি,
সব কিছু আমাকে তোমার কাছে নিয়ে যায়,
যেন

অভিযোগ সতত যেন তোমার অভিযোগ
আছি আমি বড় একা;
বছর গড়ায় রাখি না সংযোগ
কি সেই প্রহেলিকা ? মা বলেন কেমন আছিস তুই
কি বা খাস্ কি পরিস্ ?
মা, এরই নাম বিদেশ বিভূঁই
গিলি কৈ আদর আশিস। কিন্তু কৈ আমি তো একা নই
মন চোখে সবি দেখি;
তুমি আর মা আর আছে বই
সাথে ঐ

**মা** তোমার মনে মায়া কত
নেইতো কারো জানা,
তাইতো তুমি সবচাইতে আপন
আমার প্রাণের মা।। গর্ভেতে ছিলাম যখন
কতই কষ্ট দিতাম তখন
তবুও তুমি আমার তরে
করোনি কভু মানা,
তাইতো তুমি ভালোবাসার প্রতীক
আমার জানের মা।। দশমাস দশদিন পরে
এলাম যখন পৃথিবী তরে
তুমিতো ছিলে নাজেহাল তখন
তবুও তখন দিয়া বুকের দুগ্ধ
থামালে আমার কান্না,
তাইতো

ভ্যালেনটাইনস ডে-২ টালির ছাউনি দেওয়া যে বাড়িটি ওঠানামা করছিল
আসলেই ওটা একটা মস্ত বড় অজগর
সুর্পনখা প্রেম টা ঠিক জানতই না
নাক কান পুরুষরা শুতে যাওয়ার আগে কাটে না
পরে কাটে
কিছু বলা ই উচিত নয়
চুপচাপ কাছে বসো
গা ঘেঁষে কানে কানে কোন কথা নয়
দেখে যাও

ওমের ওষুধি তুমি আগুন হয়ে এলেই, আমি বৃষ্টি হতে ভুলে যাই
তুমি পাহাড় হয়ে দাঁড়িয়ে থাকলে –
আমি অচেনা বৃক্ষের শাখা হতে হতে
ভেঙে পড়ি আষাঢ়ের ঝড়ে একদা যে মাটিদাস ছিলাম, একদা এই নদীবৈভবে
কেটেছি সাঁতার, ভুলে যাই সে কথাও-
নিভৃতে একটি পাখির গমনদৃশ্য
শুধুই ঢেউয়ে আছড়ে পড়ে। তোমাকে সাথে নিয়েই যদি বনবাসী

সিক্ত নদী রিক্ত নিবাস গানের গুঁতো খসছে সুতো
উল্কাতারা।
সন্ধি পুরো মহিষ বুড়ো
বল্গাছাড়া।। আসছে গাড়ি যাচ্ছে গাড়ি
জোর চালিয়ে।
কামারশালা ধোঁয়ার জ্বালা
গলগলিয়ে।। বর্ষা গীতে নদীর রীতে
অকালিক বান।
জলের শিসে হারায় দিশে
লাবডুবগান।। বড়কা ভুতো ছোট্ট জুতো
ফোস্কা পায়ে।
ঝালর রঙিন মিঠাসি দিন
আদুল গায়ে।। হাপর তালে আগুন জ্বালে
বাদাম শাখা।
জ্বলছে নদী চলছে নদী
আঁকাবাঁকা।।

বিয়েরগানে জীবিকা সন্ধান (১)
বিয়ের গানে জীবিকা (২) জাতি – ধর্ম নির্বিশেষে বাংলাভাষী মানুষজনের অনেকেই এখনো মেয়েদের গৃহকর্মকে জীবিকা বলে মনে করেন। তো,সেকারনেই অল্প বয়েসে মেয়ের বিয়ে দিয়ে মা-বাপ নিজেদের ঘাড়- মাথা হাল্কা করে নেন। অবশ্য এর পেছনে

ইচ্ছেরা সব কথা ছিল রাত জাগব খোলা আকাশের নীচে
আধখানা ফানুস তুমি ওড়াবে
বাকীটা নিয়ে যাবে ঘন্টিঘরের পাহারাদার— ইচ্ছে ছিল কবি হবো
জানি ঘুমোওনি আর শেষরাত্রির পর
তার বদলে কবিতার অত্যাচারী জনক মোহর কেনে
সোনার মোহরে তোমার ঘুম লেগে আছে,হুঁশিয়ার! ভেবেছিলাম নীলাম্বর বালুচরীর কারুকাজ হবো
মহার্ঘ্য কিছু দুঃখ ওতে চুবিয়ে সিক্ততা দেখব
তোমার

আকাশের এক প্রান্তকে চিরে দিয়ে অন্যপ্রান্ত পর্যন্ত বিদ্যুতের চমক। এর পর পরই বজ্রপাতের প্রচন্ড শব্দ। কানে তালা লেগে যায়। এই অবসরে ওর রুমে ঢুকে পড়ে এক যুবতী। দরোজার হুক ভেতর থেকে আটকে দেবার শব্দটাও চাপা পড়ে যায় বজ্রপাতের শব্দে। মুষলধারে বারিধারা ঝরে

সময়ের খেলা সময়ের এপাট ওপাট বড়ই নিঠুর-
তবে জলতরঙ্গের মতো ভাঙ্গে না
বিবর্তন করে শুধু প্রত্যাবর্তন;
এতো সময় -এতো সময়-
কত পথঘাট ঘাসফড়িং
রঙিন প্রজাপতির ছিল মন-
মাঝ পথে হারিয়ে যাওয়া সময়
আজ শুধু হলো প্রণয়ে আপন। ________
২৬-০৬-১৮

নীবর থাকার চেয়ে ভালো উত্তর আর হয় না
ঝাঁপিয়ে পড়া উচ্চ স্বরে দখিনা বাতাস বয় না
ফুল ফোটা গন্ধ বকুল কারো প্রত্যাশা করে না
জ্বলন্ত ধূপের সুভাসিত আশা কখনো ঝরে না। যে কোনো প্রশ্নের দিকে জিজ্ঞাসা মুখ বাড়িয়ে
যা কিছু বুঝিয়ে দেওয়া যায় ভঙ্গিমাতে জড়িয়ে
ভাবনা যেমনই হোক কথা সবই