জোনাকির অকাল মৃত্যুতে
অথবা অমাবশ্যার আঁধার রাতে,
মানুষ কখনো পথ হারায় না। পথ হারায় মানুষ ভরা জোছনায়;
মানুষ পথ হারায়,
তীব্র আলোয়, মরুভূমির মরিচীকায়

সমাজমনস্ক সুকুমার রায় – বহুমুখী প্রতিভার সমন্বয় ৫ সারা জীবন সাহিত্যের প্রতিটি শাখায় অবাধ বিচরণ করেছেন সুকুমার। গল্প লিখেছেন ৬৭ টি, ৮ টি নাটক, ১২৬ টি প্রবন্ধ, ছড়া ও কবিতা মিলে প্রায় ১২০ এবং এঁকেছেন অজস্র ছবি। মাত্র দশ বছরের সাহিত্য জীবনে এ সংখ্যা বড়

পাথর এক একজনের অনুভূতির প্রকাশ এক এক রকম
কেও হাসতে হাসতে কাঁদে
কেও কাঁদতে কাঁদতে হাসে
কারো কারো হাসিমুখ দেখলে বোঝার উপায় নেই মনকষ্ট
কারো শুধুই কান্নার অভিনয়ে স্বার্থ তীরের খেলা
কখনো সফলতায় বিদ্ধ কখনো লক্ষ্যভ্রষ্ট কেও ভালোবাসায় কাঁদে কেও হাসে
কেও প্রেমজালে ফাঁসে
কেও ধীর-স্থির কেও অস্থির
কেও বাচাল কেও বধির
কেও চপলতায় ঝর্ণা

// শ্রাবণের শঙ্খপ্রদীপ //
———আলমগীর সরকার লিটন // =============================
আকাশের রৌদ্রজল ছোঁয়া বেদনার একহাত আকুতি
আর পূথিবী মাতল করে জলকাঁদা একাকার ম্পর্শ-
শ্রাবণী মেঘ এমনী হয় কদমের গোলক পুস্পন্তিতে
হেসে হেসে হেঁটে যায় এক পশলা বৃষ্টির উচ্ছ্বাস; তবুও লাউয়ের লতায় বেঁচে থাকা,

আমাকে দিয়েছো তুমি অদম্য অন্তর,
ধানের শীষের মতো সোনালী ঠোঁটের নেশা,
যে নদী ক্ষয়ে ক্ষয়ে ছুঁয়ে গেছে খেয়ালী মেঘের ঘর
জলপাখি চোখ দু’টি করেছো যে তার দুখ ঘেষা। সন্ধ্যার মেঘ হয়ে কত ঘাম শুষেছো যে চোখের পাতার,
ভোরের রোদের গায়ে গেঁথেছো আপন আকাশ,
একঝাঁক ঝিনুকের শ্লোক করে রেখেছো

যা রোদ পড়েছে ! গামছা ভিজিয়ে মতিনুল মাথার ওপর চাপ দেয়। আসলে সে জাফলং দেখতে এসেছিল। যা শুনে এসেছিল সেসবের কিছুই এখন অবশিষ্ট নেই। ঘোলা পানি আর আধাডুব পাথর ছাড়া। আর দশ জনের মতো প্রথম দিনই সে ফিরে যেতে পারতো। নিজের বলে তার তো

যত দূরে যাই; গ্রিক দর্শন ছাড়ে না আমার পিছু
সুনীল আকাশ হয় আরও তেজদ্বীপ্ত, সুনিবিড়
কোথায় হারাবো আমি! হয়ে অন্তলীন, কাক ডাকা ভোর
বৃষ্টির ফোটা ফোটায় ভূতল আজ ক্ষত-বিক্ষত। সুদর্শন উড়েছে সন্ধ্যার আকাশে, হয়নি অন্তহীন
মেঘ বালিকা রচিছে গান, পারেনি দিতে নতুন দিনের বারতা
আবার আসে ঘুরে ফিরে দাবদাহের সে

পীত সাগরের তীরে আবীর রাঙা আকাশটা
যেমন রংধনুর নিশ্চয়তা দেয় না, তেমনি
পৃথিবীর সব কলি শেষ পর্যন্ত ফুল হয় না। প্রতিটা নতুন সম্ভাবনাই আমাদের
নতুন করে বেঁচে থাকার আশা যোগায়,
তাপমাত্রা যদিও বদলায় ইচ্ছা-অনিচ্ছায়।
সংজ্ঞাহীন অলীক ভাবনায়
যুধিষ্ঠিরও আপন পথ হারায়। ব্যার্থতা আছে বলেই
মানুষ সামনে এগোয়,
মিথ্যা আছে বলেই
সুখ তব

অন্ধকারগুলো নিঃশব্দে ঘিরে ধরেছে,
কোথাও কোন সুড়ঙ্গ নেই, নেই কোন আলোর খোঁজ! আলোগুলো কোথায় যেন লুকিয়েছে;
অভিমানী মুখখানা তার, নিজেই নিজেকে খুঁজে মরে! অন্ধকার আজ তার নিজের পথেই চলে,
সমস্ত আলোকে পদদলিত করে! বোবা কান্নারা শব্দ খুঁজে মরে;
স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হবে বলে! আশার স্বপ্নগুলো দু:স্বপ্ন হয়ে ,
হাতছানি দেয়, বিরহী হবার

পুরো সাদা হ্যাট কোট বুট পরে ঠিক একটার সময় এক্সাইডের ফাইভ স্টার রেস্টুরেণ্টে ঢোকে স্বপন(পদবী মনে নেই)। দারোয়ান সেলাম ঠুকে আগে থেকে বুক করা সিট দেখিয়ে দেয়।
ঠিক বিকেল তিনটে নাগাদ ময়লা ছেঁড়া কটূ গন্ধ জামা প্যাণ্ট পরে ধর্মতলায় ভিক্ষে করে সত্তু।
আমি চিনি। বলল –

ছিলাটান্ শ্বাস-হাপর-তোড়-ফোড়
ক্ষত ও আরোগ্যের শেষাংশে
তুরীয় যোগমুদ্রা গ্রাসেই
ত্রাসে নাচে শায়িতের ক্ষণ ততক্ষণে বিস্ফারিত তীক্ষ্ণ চেতনার
হাট্খোলা বালিহাসি তিরতিরে ডানায়
নম্রতুলি রক্ত ঢালে অস্তকার রোদ, ততক্ষনে সুষুম্নার দীর্ঘায়ত নাব্য নির্জনে
দূরতম অচিহ্নিত গহীন কন্দরে
মায়াছায়া খেলে যায় খেলাভাঙা খেলা আর এযাবৎ কষে রাখা ষট্চক্রি জটিল বুননে
নির্বাধ সুক্ষতায় কেটে – উড়ে – ভেসে –

ট্রেন কু-উ-উ-উ-ঝিক-ঝিক-ঝিক—কু-উ-উ-ঝিক-ঝিক—–
চলে যাচ্ছি—-চলে যাচ্ছি—–চলে যাচ্ছি———–
ছুটে চলেছে বিশাল ড্রাগন মুখে আগুনের ধোঁয়া।
আস্তে আস্তে মিলিয়ে যাচ্ছে স্টেশন—-চেনা শহরের শেষ চিহ্ন।
দু’পাশের ধানক্ষেত –ক্ষেতে কাজ করা চাষী—মাঠে চরা গরুর পাল–বাঁশী-বাজানো রাখাল-বালক—
-খাল-বিল—–নদী-
মাছের জাল আটকে রাখা বাঁশের মাচান—দূরগ্রাম—হাটুরে মানুষ;
কত দ্রুত পিছনে চলে যাচ্ছে সব—আড়াল হয়ে যাচ্ছে।
জানালা-খোলা কামরার ভেতরে

গণসংগীত, রবীন্দ্রসংগীত আর অরিজিৎসিংগীত তেরো
রবীন্দ্রনাথ আমার কাছে যতটা প্রিয় শব্দ, রাবীন্দ্রিক ততটাই অপছন্দের। রবীন্দ্রনাথ শিল্পের নাম হলে রাবীন্দ্রিক তার মাথায় পা রেখে দাঁড়ানো সংস্কৃতি। প্রাইমারি টেক্সটকে একা থাকতে দেওয়া খুব জরুরি, যেন একটা পুরনো দুর্গ, চারপাশে গোল করে কাটা পরিখা। তার বাইরে যে এক চিলতে

কৃপণ লোকদের ঢাকার লোকাল ভাষায় বলে কঞ্জুস অথবা কিরপিন। মারুফ ভাই একজন মাশহুর কঞ্জুস। আমাদের গ্রুপে এমন একটা কথা প্রচলিত আছে- যে লোক পিঁপড়ার পেট চিপে চিনি বের করে সেও কিছুটা দয়ালু, মারুফ ভাই তো চিনি বের করে প্রোটিন হিসেবে পিঁপড়াকে ভুনা করে

নীল ডোরার বাঘ বাঘের চিতাচরিত্র নিয়ে আমার কোনো সন্দেহ ছিল না। যা ভাবতাম তা
হলো, একটি নীল ডোরার বাঘ আমার সাথে খেলছে ভলিবল, হকি কিংবা
হা ডু ডু, আমার একে অপরকে হারাচ্ছি বার বার আর কিছুটা সূর্যস্মৃতি
আহরণ করে মাটিতে আঁকছি নখের দাগ। নরকের প্রতিচিহ্ন। অথবা অন্য
ভাবেও বলা