-বিশুর পড়ার রুমের পেছনের আম গাছটা
কেটে ফেলতে ইচ্ছে করছে যে, অরুণ।
-কেন, নতুন কুড়াল কিনেছিস নাকি,
না ঐ গাছটার আম টক?
– সে সব কিছু না
– তাহলে?
– আম গাছটার জন্যে জানালা দিয়ে
বিপাশাকে ঠিক মতো দেখা যায় না!
– গাছটা তো তাহলে তোর জন্য
আশীর্বাদ রে, নিরঞ্জন।
– তোর
সোনাই মুড়া গল্প
চুড়াকোঁটায়
আজ ত্রিশটি বছর পেড়িয়ে গেলো-
অনেক সোনালী রূপালী
ফুল ফল পাতা ঝরে গেলো;
সাম্পানের ঢেউয়ে-
আরও কিছু গল্প জমাট বেঁধে আছে।
মেঘপাল্লার জলের উপর
অদূরে শুধু শলুকপুড়া কাশবন-
ঝিলিক মারা সন্ধ্যার জলতরঙ্গ
মাঝে মাঝে ভীষণ বজ্রপাতে
জলগরা প্লাবন হয়!
হাতছানি সরিষা হলুদ মাঠে-
ডাক দিয়ে যায়
ছায়া
ছোট্ট একটা ইঁটের টুকরো পায়ে লেগে ছিটকে পাশের দেওয়ালে লাগলো। ঠিক ছোটবেলায় লাথি মেরে ফুটবলের দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মত। একটা ছায়া স্যাঁত করে সরে গেল। মনে মনে হাসলো সুজন। অন্যরা হলে এতক্ষণে ভয়ে হাত পা পেটের মধ্যে সেঁদিয়ে ফেলতো। মনের ভেতরে থাকা হাসিটা
পাঠগামী পাঁজরের প্রমাদ
ক
জলপাঁজরে প্রচ্ছন্ন মুদ্রণ প্রমাদ। চোখেমুখে লেগে আছে নেশা। শব্দের,
সঙ্গমের, সহবাসের। সমুদ্রের কাছ থেকে সাবধানতা শিখে বহু
দূর পর্যন্ত বাড়িয়েছি বিস্তার। নিস্তার নেই জানি, তবু প্রথম পাপড়ি
কিংবা পাতা ছেঁড়া ভোর সংগ্রহ করে হেঁটেছি গ্রহণ গন্তব্যের কাছে
সব গন্তব্যই একদিন শেষ হয়ে যায়। সব কথাও মিলায়
পরাজিত
একটা তুই ছিলি
একটা আমি
একটা সময়ে দুই জোড়া চোখ
একটা কামরায় বন্ধ দরজা
এক কাপ চায়ে দু ঠোঁট কাপে
একটা বিকেলে চোখাচোখি
একটা সন্ধ্যায় ভালো লাগা
একটা চাঁদে কাছে আসা
চায়ের কাপ থেকে ঠোঁটে ঠোঁট
একদিন বৃষ্টি দুজনে ভেজা
একটা সম্পর্ক, ভালোবাসা;
একটা ভালোবাসা হলো
একটা সম্পর্ক হলো;
তারপর সময়ের চাকায়
সময় গড়ালো
সূর্য উঠলো সূর্য ডুবলো
চাঁদ উঠলো
গরম-চরম
যদি এমনই হয় গরম
কীসের লজ্জা শরম
গায়ে লাগাও আলো বাতাস
শান্তি আসবে পরম !
যদি কেই বলে তা চরম
আমি বলবো স্বরে নরম
তুমি পারবে আমি পারবোনা
এ কেমন তর ধরম ?
এস আই বদরুল তিন মাস আগে ঢাকার এক থানায় ট্রান্সফার হয়ে এসেছেন। ভালো জায়গায় ট্রান্সফার তো এমনি এমনি হয়না, সিস্টেম করতে হয়। এই সিস্টেমে সাত লাখ টাকা খরচ, কিন্তু বদরুল পাঁচ লাখ টাকার মধ্যেই কাজ সেরে ফেলেছেন। বদরুলের চাচা রুলিং পার্টির স্থানীয় নেতা,
দুধমাখা ভাত কাকে খায়!
আজ দুধকলা ভাত খাচ্ছি। কত বছর পর দুধকলা ভাত খাচ্ছি তা স্মরণে আসছেনা। যে ছবি মনের পর্দায় ভাসছে তা আমার কৈশোরের। ঐ সময়টাতেই আমরা সবচেয়ে কঠিন সময় পার করেছি।
সদ্য স্বাধীনতার পরবর্তী বছরগুলোর কথা বলছি। আমরা সকালে খেতাম
জীবন|
১০ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৪৭০ বার দেখা
| ৮০২ শব্দ ১টি ছবি
– মিহি দানার প্রক্ষালন
না দেখা পাতা উল্টালেই
কবিতা বুনে যায়, যেন যাপিত নগরের গহন লাগা তন্দ্রা
পুড়ে যায় বিভ্রম দহনে।
এখন তীব্র মৃত্যু শোক কোলাহল
দিকে দিকে চারিদক; লুট হয়ে যায় সম্ভ্রম প্রকাশ্য দিবালোকে
বিদগ্ধ মনন আজ প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়!
কে বা কার? কার দায় সভ্য নগর?
ফিরে আসে না আর;
একদিন হঠাত করে শিহাবকে খুজে পাওয়া যায় না। মা এবং বউকে ঘিরে চলছিলো দ্বন্দ। মাঝখানে শিহাব। হারিয়ে যাচ্ছিলো জীবনের ছন্দ।
সবাই থমকে গেলো। মা এবং বউ একই বাড়িতে থেকেও মুখ দেখাদেখি নাই। আলাদা পাক। আলাদা বলতে শিহাবের বউ বাইরে থেকে খাবার কিনে এনে খায়। মা