শিবরামপুরের বিকেল বিকেল নেমে গেছে প্রান্তরজুড়ে, তবু সোনালী
আভা মেখে রেখে গায়ে সবুজ বনানী, রুপালী
মেয়ে দেহ মেলে দিয়ে পড়ে আছে অলস!
দুলিতেছে বাতাসে কার হলুদ ওড়না, আড়ালে
রাখে সে কার মৃদুবুক, কে ধরে তারে হাত বাড়ালে
অনতিদূরে বসে এক একলা সারস! সাদা ফুল ফুটে

ভরা থাক্ স্মৃতিসুধায় বিদায়ের পাত্রখানি সব স্ট্যাটাস, গল্পে একজন তুমি থাকে। সেই তুমি কে ? স্পষ্ট করিনি কারো কাছেই কখনো করাও যাবে না, যায় না। তোমার স্বামী ভাবেন আমি তোমার কথা বলছি! তোমার বোন ভাবেন সেই তুমি তার বড় বোন

মেমসাহেবা ৫৩ হঠাৎ মনে হলো
বলতে কি প্রায় হঠাৎই
মনে হলো তুমি রাগ করেছ।
আসলে হোয়াংহো যে এক
সত্যিকারের হলুদ নদী
সেটা আজই জানলাম যখন
একশো দুই জ্বরের তাপে
পৃথিবী হলুদ হয়ে যায়। আসলে তোমার সঙ্গে কথার মাধ্যম
একমাত্র ডাক পায়রা বিবর্ণ হলুদ
হলেই, মনে হয় এই শেষ বিকেলে
তুমি বোধহয়

পশ্চিম আকাশ লাল। আবির ছড়ানো আয়তাকার কোমল ‘দৃষ্টিসুখপ্রদ’ ডিসপ্লে’ (Display)। নির্ণিমেশ সূর্যের দিকে তাকিয়ে থাকা যায়, এরকম এক সময়ে বিশাল ‘সেন্ট্রাল ফিল্ডের’ এক টুকরা সবুজে বসে আছে সে। একা। কথা বলছে। একার সাথে একা। প্রকৃতির এই সময়ের ‘কালার কম্বিনেশন’টা কেমন ‘হ্যালুসিনেটেড’!

হাস্নাহেনার গন্ধ একদিন সাদা শাড়ি পরেছিলি
স্বচ্ছ সাদা
আমরা আকাশ ভ্রমণে গিয়েছিলাম
স্বপ্ন ভেলায়; মেঘের গাড়িটা আমাদের নিয়ে গিয়েছিল ঐ দূরে
মেঘের ওপারে,
সারাদিন সূর্য ভ্রমণ শেষে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসতেই
এত্ত বড় একটা চাঁদ আলো করে ছিল আমাদের
আর ঝুম জ্যোৎস্না বৃষ্টি ভিজিয়ে দিল তোকে
ভেজা শাড়িতে তুই বড্ড লজ্জা

চলে যাবো শহর ছেড়ে গ্রাম গ্রামান্তরে মন চায় চলে যেতে
শহর ছেড়ে গ্রামান্তরে,
শুনবো পাখির গান
বেড়াবো মাঠ-ঘাট প্রান্তরে।
সেখানে যেতে চাচ্ছে মন
যেতে তবু পারছি না,
ইট-পাটকেলের শহরে
শান্তি তো আর মিলছেনা। মন চায় না থাকতে বন্দি
ঢালাই করা শহরে,
ময়লার গন্ধ সইতে হচ্ছে
সকাল সন্ধ্যা দুপুরে।
ময়লা আবর্জনায় ভরা শহর
দুর্গন্ধ

দেবনগর ♦ মানুষের পা ভিজিয়ে দেয় যে কুয়াশা, তার কোনো
পরিচয় নেই। পৌষ কিংবা মাঘ তার জন্মমাসও নয়।
ভালোবাসার ভোর থেকে ঝরে বিন্দু, কিছুটা হিম
আর কিছুটা অসীম আনন্দ নিয়ে, মানুষ খালি পায়ে হাঁটে। এখানে দেবীরা আগুন হাতে অপেক্ষা করতো উষ্ণতার;
এখানে শীত হাতে রাইকিশোরী, একাই গাইতো-
প্রাণের কৃষ্ণগীতি। আর

ইলেকট্রিক বিল বাঁচাবেন যেভাবে নিজের অভ্যাসের পরিবর্তন করলে দেখা যাবে অনেক কিছুই ঠিক হয়ে যাচ্ছে। আমরা অনেক সময় দেখি অচেতনেই সব কিছু জলে যাচ্ছে। ইলেকট্রিক বিলটাও ঠিক একই রকম। দেখে কিভবে বিল বাঁচানো যায়- ১ বাল্ব বা টিউব মাঝে মধ্যেই পরিষ্কার করুন।

যার গিয়েছে স্বপ্ন ভেঙে, তাঁর মনে কি কষ্ট,
কত রাত্রি নির্ঘুম কাটে, কারো কাছে তা স্পষ্ট?
এই পৃথিবীর কোনায় কোনায়, সে খুঁজে যায় বিশ্বাস,
মরার মতই বেঁচে থাকে, আছে বলে নিঃশ্বাস। অন্ধের মতই দিন রাত্রি, সবই সমান মনে হয়,
ভাঙ্গা স্বপ্ন

একজন মা তার সন্তানের শিক্ষককে সাধারণত বলেন – আপনি শুধু আমাকে হাড্ডিগুলা ফেরত পাঠাইয়েন। তাইলেই চলবে। এই যে শিক্ষক কর্তৃক ছাত্র /ছাত্রীদের মারার সংস্কৃতি সে বহু পুরনো। একসময় অভিভাবক ও ভাবতেন শিক্ষকের অধিকার আছে তার শিক্ষার্থীকে শাস্তি দেবার। এবং এই মারপিট করলেই সে পড়াশোনা

অন্তহীন আধারে চোরা গলি বলে কিছু নেই
অস্পষ্ট আর নির্জনতা বিষন্নতাকে দূরে ঠেলে দেয়,
বাঁচার ইচ্ছে যখন ভেতরে ভর করে
তখন সামান্য ফরিংয়ের আহত ওড়ার স্বপ্নকেও
মনে হতে পারে ডাইনোসরের বৃহৎ থাবার শব্দের মত
জীবন তীব্রতর গতির প্রতিশব্দ,
আধার আর আলো সেই প্রতিশব্দের শুদ্ধ উচ্চারণ,
যারা চোরাবালি আর

হানুকা ও আটদিনের উৎসব ডিসেম্বর মাসে যেমন বড়দিন বা Jesus christ এর জন্মদিন পালন করা হয় ঠিক তেমনই এই ডিসেম্বরে আরও এক‌টি উৎসব পালিত হয়, তার নাম হানুকা। এটি ইহুদিদের উৎসব। হানুকা শব্দটি হিব্রু শব্দ, যার অর্থ নিজেকে

ঈশ্বরের কাছে আমি কি চেয়েছিলাম সেদিন সান্ধ্য প্রার্থনায়- মনে আছে। জাদুঘরের কাঁচ ঘেরা সুপ্রাচীন পুথি কখনও বড্ড ইচ্ছে হতো হাতে নিয়ে উল্টেপাল্টে দেখি, পড়ি; একাকী বিষণ্ণ কোনও বিকেলে পারতাম যদি হাওয়ায় ভেসে উড়ে যেতে দূরের কোনও দেশে; আহা, সভেৎলানা খরকিনার মতো দীর্ঘকায় সুন্দরী সহপাঠী