তাঁতের তাৎপর্য
তোমাকে সাজাবো সখী কয়েকটি ফুলের আলোয়
যে তরুর ডাল ছুঁয়ে স্থির থাকে সবগুলো পাখি
আর এই নদীসম মাতৃকা’রা নাম ধরে করে ডাকাডাকি
যে জলে আলোর খেলা, সারারাত মন জেগে রয়।
বিনয়ে বিন্যস্ত চাঁদ এখানেও কতকাল আগে
রেখে গেছে পদছাপ, মানুষের, নিত্য ঋতুতে
কে বলে বিশ্বস্থ নয়, গ্রহতারা- মানব হৃদিতে
অনুগত
অনেক দিনের লালিত স্বপ্ন ছিল কিছু লেখা লেখি করব কিংবা গঠন মূলক কিছু করব। বিশেষ করে যখন একটা বৃটিশ কোম্পানির জাহাজে ডেক ক্যাডেট হিসেবে জয়েন করে হুট করে একেবারে বাংলাদেশের বাইরে এক দেশের বন্দর ছেড়ে আর এক দেশে যেতাম, আসা যাওয়ায় পথে সমুদ্রের নানা
সময়, সুযোগ আর অর্থ, এই তিনটি জিনিসের সমন্বয় করা খুব কঠিন। একটার ব্যবস্থা করলে অন্যটি পিছলে যায় হাতের মুঠো থেকে। কিন্তু যখন তিনটির সমন্বয় করা যায় তখনই একটা ভ্রমণে বেরিয়ে পরা যায়। সমন্বয় করতে পারা সেই সব ভ্রমণে ছবিগুলি থেকে ১০টি ছবি থাকবে এই
এক ঝাঁক হাইকু ০৪
এক
দুঃখার্ত হলে
এমনই তো হয়
রোদ্দুর গেলে।
দুই
কি দাবদাহ
অস্থির গরীবেরা
এ তো প্রত্যহ।
তিন
শীতেই বৃষ্টি
মরু অঞ্চলে শুনি
ঋতুর ফষ্টি।
চার
এই জীবন
কচু পাতার পানি
দণ্ডে মরণ।
পাঁচ
মেঘ আকাশে
যদি হয় তুফান
কি লাভ হেসে ?
ছয়
এলো বসন্ত
ভ্রমরের গুন গুন
খুশী অনন্ত।
________________
(জাপানে প্রচলিত ‘হাইকু’ জাপানি কবিতা)
এক সময়কার অনেক প্রিয় ব্লগ শব্দনীড়ে আবারো এলাম। পরিচিত অনেককেই দেখতে পাচ্ছি। আশা করি সবার সাথে আবারো কথায়-গল্পে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হবে। সবার জন্যে একটা ছবি পোস্ট দিয়ে শুরু করলাম। পাহাড়ের ভাঁজে
আড্ডা|
৪ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৫৯৪ বার দেখা
| ৫২ শব্দ ১টি ছবি
জীবন সম্পর্কে
আমার বেশ অদ্ভুত কিছু ধারণা তৈরি হয়েছে।
তাইতো, আমার হৃদয়ের ধমনিতে
তোমার পায়ের শব্দ শুনতে পাই।
গভীর রাতে ঘুমের মধ্যে শুনি তোমার ডাক।
কখনও কখনও নুপূরের ধ্বনিতে
শুনতে পাই তোমার ফিরে আসার প্রতিবিম্বিত রূপ।
আহ্ সেকী সৌন্দর্যের বিভা
বাতাসের উষ্ণ ছোঁয়ায় আমার দেহের বিবর্তন হয়
মনের বোধিসত্ত্বা পরিবর্ধনের
একটি দূর্বাঘাসের কবিতা
যেদিন হৃদয় থেকে একটি জ্যান্ত চাঁদ খসেছিলো
সেদিন-ই তো আমি কিছু বলিনি
আর আজ যে দাবি করছে
সে করেছে আমার সাথে বানিয়াতির চাষ,
হলফ করে বলতে পারি, সে ছিলো বড়জোর
শেকড় বিহীন একটা দূর্বাঘাস!
তবুও আমি
তাকে করেছিলাম নক্ষত্রসম দামি
চোরা সময়ের খাঁজ কেটে হাট বসিয়েছিলাম
রসায়ন,
আর এখন যখন খেলা ভেংগে
আমরা কখোনোই অরণ্যচারী ছিলাম না,
ঋতু পরিবর্তনের শেষ রাতের
জ্বরের মতোই বন্ধুত্ব ছিল আমাদের।
গ্রামের সাপ্তাহিক হাঁট
হেমন্ত শেষে মেলা,
সন্ধ্যায় নীড়ে ফেরা পাখি,
অগ্রহায়ণের সকাল বেলার
ঘাসের ডগায় জলের ঝিকমিক,
এসব ঐসব সেসব দেখেই
কেটে যেতো দিন গুলি।
কোন এক শীতে
শিউলী ঝরা ভোরে,
অসময়ে ঝরে যাওয়া
ফুল পাতা দেখতে দেখতে
নিরঞ্জনকে বললাম-
“বিপাশা আর তোর
সম্পর্কটা কি বন্ধুত্বের,
না
মুক্তির যথাযথ প্রস্তাবনা
একক সানিধ্যে
মুক্তির যথাযথ প্রস্তাবনা, এ যে হাওয়ার মিশেল
কি রঙ্গ কলায় আসে যায় নিত্য?
তুচ্ছতায় খুঁজে না কেউ;
সময় মাপনে দূরে সরে রয়, ঐ যে বিষম খেলা খেলে যায়
বুঝতে নারে জানতে নারে
অবেলায় বায়ু বয়; সবুজ পাতায় উল্কি আঁকে
মিহি দানায় বিছিয়ে আঁচর সদল বলে
হারিয়ে যায় তো,
ভালবাসতে দোসরের সাহায্য লাগেনা।
ভালবাসার রাজত্বে দরাজ বুক থাকলে, একাই একশো। কারোর বাড়িয়ে দেওয়া হাত ধরার প্রয়োজনই পড়ে না। যাকে ভালবাসতে চাই, সে জানুক বা না জানুক, কাছে থাকুক বা দূরে, ইহজগতে বা পরলোকে, ম্যাটার করেনা আদৌ। হ্যাঁ, তবে ভালবাসার নামে যদি কেউ ভবিষ্যৎ গোছাতে
জীবন|
৪ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৬৬ বার দেখা
| ৬৪২ শব্দ
জমে যাচ্ছি পাথরের মত
জমে যাচ্ছি পাথরের মত
জমে যাচ্ছে সুখ, দুঃখ, দীর্ঘশ্বাস ব্যতীত আরো ক্ষত সমস্ত
নরম কোমল হৃদয় হতে ক্ষয়িত রক্ত
লাল মেঘের মত পরতে পরতে ঠাঁই নিচ্ছে অনন্ত বুকে
জমে যাচ্ছে বরফ স্বচ্ছ এক একটি শোকার্ত অশ্রু;
স্মৃতির মলাটে জমে আছে যাপিত জীবন
রঙ