ঘটনাটা হঠাৎ করেই ঘটে গেল-
ঈশ্বরকে চমকিয়ে দিয়ে কোটি গুণ বেশি বেগে বরফ গলতে শুরু করলো;
ফলে সমুদ্রতীর থেকে শহরে এবং
দেশ থেকে দেশে বানের মতোন মানুষের ঢল নামলো।
আবহাওয়ার জোরালো ফোরকাস্ট মিথ্যে করে দিয়ে
শীতপ্রধান দেশে শীত শতগুণ হলো
এবং জলশূন্য সব গ্রহ নক্ষত্র জলে ডুবে গেলো।
মহাকাশ স্টেশণ ছেড়ে
দেহের আলিঙ্গন মানে আত্মার আলিঙ্গন নহে
কবি গুরু শুধাইলেন শত বর্ষ আগে –
বাঙালি বিয়ে করে বটে; পায় না স্ত্রীকে
এক আনার প্রাপ্তি ঘটে যাহাতে সংসার চলে
পনেরো আনাই পড়িয়া থাকিল মিছে।
স্ত্রী কভু বুঝিতে পারে নাই; স্বামী পায় নাই তাহাকে
স্বামীর বোধগম্যতাও পড়িয়া থাকিল অনেক পশ্চাতে।
স্বামী পুরুষ অবলীলায়
জয়বাংলা শ্লোগান, গলায় নৌকার ব্যাজ লাগিয়ে কেন্দ্র দখল করে ধানের শীষে সিল মারা, আমার দেশ পত্রিকার বির্তকিত ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের উপর আদালত চত্বরে হামলা, রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের উপর একই মালিকের তিনটি গাড়ির বেপরোয়া প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থী হত্যা, কোমলমতি আন্দোলনরত
প্রজন্মের রক্তের প্রতি
গর্তে যারা লুকিয়ে থাকে, তাদের অন্য কোনও
পরিচয় আছে। কিংবা যারা ভালোবাসে রক্ত –
আমি তাদের পিশাচ বলতেই পারি। পারি, ওদের
চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে, এখানে
স্বাধীনতার জন্য এর আগেও এই ভূমি-সমতলে
ঝরেছিল রক্ত। সড়কে দাঁড়িয়ে কেঁদেছিলেন হাত হারা মা।
যারা জনস্রোতের বিপরীতে বেছে নেয় উল্টোপথ,
আমি তাদের
ভালবাসতে দোসরের বাড়ানো হাত না পেলেও দিব্য চলে যায়। সে রকম মানসিক গঠন থাকলে, বেঁচে থাকার পরিসরে সারাটা জীবন দেবদাস বনে হাহুতাশ করে কাটিয়ে দেবার কোন প্রয়োজন পড়েনা। সে আবার কেমন প্রেম যা জীবনকে আলোয় আলোয় উদ্ভাসিত করার বদলে কালোয় কালোয় ঢেকে দেয়! আমি
জীবন|
৪ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৮২ বার দেখা
| ৫৫১ শব্দ
ভার্চুয়াল প্রেম উপাখ্যান
ভার্চুয়ালে পরিচয়
ভার্চুয়ালে দেখা
ভার্চুয়ালে ভালো লাগা
ভার্চুয়ালে প্রণয়,
হাজার হাজার মাইল দূরে দুজন
তবুও প্রেমানুভূতিতে খুব কাছে
সময়ের ব্যবধান? তাও তো আছে,
তবুও কি এক অদৃশ্য টানে
অপেক্ষায় থাকে দুজনে;
একটা সময় ছিল চিঠি-যুগ
প্রণয় হতো তখনো
কাছাকাছি! প্রায় অসম্ভব
হলেও বছরে দুবছরে এক অধবার
তারপর ডাকবাক্স ও অপেক্ষা
দুজন দুজনার;
সে সময় মাঝে মাঝে দূর
নিরব হত্যা
ঘরছাড়া পাখি ছিলো যত, সারাদিন উড়ে বেড়াতো ঘুরে বেড়াতো সবুজে সবুজে ইচ্ছেমতো।
গাছ ছিলো যতো, অরণ্যে, পাখির নরম বুক ছুঁয়ে যেত তাদের ডাল, আবডাল, যা এখন দুরুহ। মানুষ এখন দমকল ডেকে তাদের বাসা ভেঙে ফেলে।
আধুনিক যাঁতাকলে পিষে যায় গাছ, ঘর ছাড়া হয় পাখিরা। আচ্ছা
ফ্ল্যাশব্যাক
মৃত্যুর কাছে হাত পেতে হয়েছি নিঃশেষ
নিয়ম করে খাওয়া, ঘুম, বাজারে যাওয়া
এইসব অর্থহীন কাজে বাড়ছে যোগাযোগের দেনা
এমন পৌনঃপুনিক জীবন – অঘোষিত অন্ধকার
সমস্ত ক্লান্তি গিলে খাচ্ছে নির্লজ্জ রাত
ঠোকাঠুকি চলছে প্রতিশোধ – প্রতিরোধ
গগনবিদারী চিৎকার
ভীষণ ছোঁয়াচে রোগে গলছে দক্ষিনের বরফ
কেউ দেখেনি আগে এমন থই থই রূপ ঝরানোর দৃশ্য
রাহাখরচ
“বৃষ্টির” আর এক নাম ভালোবাসা
তুমি যে “বৃষ্টি” আমাকে উপহার দিয়েছিলে
তাঁর প্রতিটি কণাতে “বরফ” জমেছে
গরম “ভাত” “বিরিয়ানি” র ভাপ পাত্তা পাচ্ছে না
খোলা রাস্তার ট্রাম বাস লরি গুলো তাঁর উপর দিয়ে কালো ধোঁয়া আজীবন ছেড়ে যাচ্ছে
সিমেন্টের গন্ধে থমথমে শহর
নিরব হাওয়া কাঁদছে অজান্তে
আমি আর “কৃত্রিম বৃষ্টি” চাই