এত রক্তপাতের পরও
যে কাঁটা গলায় বিঁধার কথা ছিল, তা বিঁধেছে চোখে
কিছুই দেখছি না আর,
কিছুই মনে করতে পারছি না, আদৌ
মানুষ ছিলাম কী না, কোনো জনমে
দাঁড়িয়েছিলাম কী না- কোনো মানুষের পাশে।
উড়ে যাচ্ছে পাথর। উড়ছে রক্ত- বাষ্প হয়ে
তারপরও আমাদের নিষ্ক্রিয় নাসারন্ধ্র, পাচ্ছে না
কোনো গন্ধ, পরখ করতে পারছে
কুকুরের জন্য ভাদ্র আশ্বিন এই দুইমাস এক বিশেষ সময়। এই দুইমাস কুকুরের প্রজনন কাল | এই সময়ে অলিতে গলিতে কুকুরের ঘেউ ঘেউ ডাক মানুষের মনে যতনা বিরক্তি জন্মায়, তার চেয়ে বেশি জন্মায় ভয় | ভয়
বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে আছে এক বাঙালি জাতি
যাদের আছে রবীন্দ্রনাথ জ্বালিয়ে ভাবের বাতি
ধনী গরীব পণ্ডিত মূর্খ সবার প্রাণের রবি
সবার জন্য সাজিয়ে গেছেন ভাবের ডালি সবই।
সুখে দুঃখে হাসি কান্নায় সব সময়ের সাথি
হারিয়ে যাওয়া পায় যে ফিরে কাটিয়ে ভগ্ন রাতি।
আমার কথা আমার মত তোমার কথা তোমার যত
সবই
গিরগিটি মন
কত রঙের গিরগিটি!
কত রঙের মন
আমিও খোলস বদলাই
যখন তখন
নানা রঙের মানুষ
ভিন্ন ভিন্ন সংসার ধরন
মুহূর্তে বিচ্ছেদ
তুচ্ছ কোন কারণ
কতরকম সাপ দেখি
সময়ে খোলস বদল
আমার দাঁতেই যত বিষ
কথার কামড়ে প্রবল
স্বার্থে স্মরণ করা
আর মুহূর্তে ভুলে যাওয়া
আমার চরিত্রই যে এমন
পকেট ভারী করা
কত মনের রঙ দেখি
প্রেমের কত যে ঢং
আমিই গিরগিটি
বদলাই ক্ষণে
স্বার্থের টানে হলাম অন্ধ
বন্ধ দুটি আঁখি,
বলি না কভু সত্য কথা
অসৎ দৃষ্টি রাখি।
টাকা পয়সা সোনা দানা
আছে জায়গা জমি,
তবুও যে ভরে না পেট
আরও চাই আমি।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি
মন্দিরে দেই পূজা,
সদা থাকি উপবাস
লোক
কবিতা|
৮ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩৫৭ বার দেখা
| ১০২ শব্দ ১টি ছবি
আমার বেলা-অবেলার প্রহর গুলো,
আমার সারাদিনের ভালো লাগার ইচ্ছেগুলো
তোমাকে নিয়েই কেটে যায় বহতা নদীর মতো।
কখনো আসে গ্রীষ্মের প্রখরতা, কখনো বা আষাঢ়
শ্রাবনের ঝর ঝর, শরতে মেঘের আনোগোনা
সব তোমাকে ঘিরে,
শুধু তোমাকেই ঘিরে।
দূর পাহাড়ের গায়ে হোচট খাওয়া মেঘেদের ঝরে পরা,
হঠাত বাধায় উপচে পরা খরশ্রোতা নদীর
কালাজ্বরের দাউ দাউ
এইখানে একটা জীবিত নরক আছে-
বুকের ঠিক মাঝখানে
যন্ত্রণার ইপিল গাছটা কো-অপারেট
হতে হতে বংশানুক্রমিক হচ্ছে
আমি বোধের রাঙচিতায় মুখস্থ্য করছি
এইসব ইপিল গাছ-
এভাবেই বহুকাল আমার বুকে
চাষা হচ্ছে বংশ পরম্পরার কালাজ্বরের দাউ দাউ
কালাজ্বরের দাউ দাউ
ভয়ানক কর্পোরেট – জ্বলতেই থাকে।
এইসব দৃশ্যাবলী দেখে কেউ কেউ আমার গলায়
পেট্রোলিনা ছুটি কাটিয়ে কাল এসেছে ! এখানে একটি এজেন্সিকে প্রতিনিধিত্ব করে। আজ দেখা করতে এসে সে কিছু জরুরি কথা বলতে চেয়েছিলো ! শুনতে ইচ্ছে হচ্ছিলোনা ! আমার পেটে তখন ভাজ করা পরোটা আর আলুর দমের গভীর দাবি ! তাই প্রসঙ্গ পাল্টানোর চেষ্টা করলাম।
ভূমিষ্ঠ
【সতর্কতাঃ এটি একটি আঠারো প্লাস লেখা। বাচ্চারা অবশ্যই এড়িয়ে যাবে।】
সুন্দরী প্রতিযোগীতার স্লোগান- “দেখিয়ে দাও অদেখা তোমায়”, আর “কাপড় খুলে ফেলো” এই দুটো কথা আদতে একই। পার্থক্য শুধু এটুকুই যে, প্রথমটিতে ভদ্র ভাষার ঢঙ্গে অভদ্র প্রস্তাব দেয়া হয়েছে, আর দ্বিতীয়টিতে ডিরেক্ট অভদ্র প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
একটি ভোগ এবং দূর্ভোগের কবিতা
অতঃপর দেখি
অগভীর অরণ্যে সিংহের গর্জন শোনার মতো
রাত্রির নীরবতা ভেংগে একটি কবিতা সমুদ্র থেকে উঠে আসে
উঠে আসে আমার কাছে
তার চোখে ছানি পড়েছে
তবুও সে ইতিহাস খুউব খুউব ভালো বুঝে!!
সাপ আর নেউলের গল্পটি একটু আগেই আমার
পড়া শেষ হয়েছে
এখন সিংহ মামা সদল বলে হাঁটে