রাষ্ট্রবিজ্ঞান শিখেছে যে ঈগল পথ দেখাবার জন্য মাঝে মাঝে অন্য পথিকের সাহায্য নিতে হয়।
আকাশের বিজলী দেখার জন্য মাঝে মাঝে মেনে নিতে হয় মাঠের
আধিপত্য। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ভাষা শিখে যে ঈগল বসে থাকে চুপচাপ,
তার সাথেও মাঝে মধ্যে সেরে নিতে হয় চোখাচোখি খেলা। আর
হাকালুকি হাওরের ঝিনুকচিত্রে কদাচিৎ রাখতে হয়

আমি জানি খাঁচার পাখি কেন গায় ওই চেয়ে দ্যাখো আকাশে উড়ে যাওয়া
পাখিটি কেমন সূর্যের কমলা রঙে
গা ভিজিয়ে আকাশকে আপন করে নেয় ! কিন্তু খাঁচার মাঝে আবদ্ধ যে পাখিটির
ডানা আর পা বেঁধে রাখা হয়েছে,
সে শুধু তার দৃষ্টির সীমাবদ্ধতায়
আপন মনে গান গেয়ে যায়। তার গান দূরে

তোমাকে চাই গাড়ি বাস ট্রাম বাঁধাধরা টাকার খেলা ছাড়িয়ে আমি তোমাকে চাই
শুকনো রুটির তাজা গন্ধে আমি তোমাকে চাই
প্রেম হারানো রুটিন ভেদাভেদের সংস্কার মুছে ফেলে আমি

চোখের ভেতর অন্ধকার পাখির ভোর, খুঁজছি তোকে;
সৌম্য সকাল, খুঁজছি তোকে;
রৌদ্র দুপুর, নেই তুই নেই
ক্লান্ত বিকেল, কোথায় রে তুই? সন্ধ্যে হয়ে এলো এলো
ঝপ করে এবার নামবে আঁধার
কোথায় তুই?
ফিরে আয়; আঁধার নামলে পৃথিবীর রাত
লক্ষ তারা, আমি একা
একলা রাত আমার একার
তুই না থাকলেই তো আমি রাত
সকাল দুপুর সন্ধ্যে বেলায়
চোখের

আকাশ নীল হয়েছে ঠিকই, হারায়নি তার উজ্জ্বলতা
দুহাত বাড়িয়ে ঢেকেছে উত্তরিতলে শত ব্যাথা।
রবি করে বিকিরণ, পুড়ে অঙ্গার হয় অনুরাজি
শত শতাব্দীর বহুকাল ধরে দেশে দেশে অস্তিত্ব আছে তারই। রিক্ততা তোমায় করিবে সিক্ততা হও যদি অশ্রুসজল
মুছে যাবে বেদনার নীল রঙ। এবার হয়ে যাও সচল।
প্রসারিত করো দুহাত, তাকাও সন্মুখ

তন্ত্র-মন্ত্র তবুও ভাবি ট্যারাচোখ তুলে কিছু আলো আসবে
নিদানকালে সমস্ত আকাশ-পাতাল দু’হাতে তুলে
আমায় ভালোবাসবে!
ছিন্নশেকড় যে তৃণলতা ছন্নছাড়া বাতাসে ভাসে
যে পাগল সারাদিন একলা একলা মুচকি হাসে
তারেও তো
কেউ না কেউ কোনো না কোনোদিন ভালোবাসে! আমি কিছু অপ্রকাশিত মূক পঙক্তির কথা বলছি
কবি হওয়ার মতো
এমনি কিছু অজাতশত্রু দুঃস্বপ্নের কথা বলছি! তবুও
রাত গভীরে

সবকিছুই আগের মত আছে, ফুল যেমন আছে; মৌমাছিও তেমন আছে। শুধু মাঝখান থেকে লুন্ঠিত হয়ে যায় ফুলের মধুটুকু, পবিত্রতাটুকু; কখনো ফুলের ইচ্ছায়, কখনো অনিচ্ছায়, কখনোবা “তোমায় ভালোবাসি” এটা প্রমানের জন্যে। মুঠো মুঠো শারিরিক ভালোবাসা আছে, ক’মিনিটের প্যাকেটজাত ভালোবাসা আছে,

আমাকে আর টানে না কোন ডাক,
কোন ইশারা বা কোন সবুজ আলো।
তোমার অন্তরজালের সবুজবাতি
সারাদিন, সারারাত জ্বলে থাকে।
তুমি ব্যস্ত থাকো তোমার প্রিয়জনের কথায়,
আমি সারাটা সময় চেয়ে থাকি। চেয়ে থাকি সকাল থেকে রাত,
রাত থেকে ভোর, সময় চলে যায় এভাবেই।
মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছে হয়
তোমার

অযথাই ক্লান্ত দুপুরগুলোতে তোমাকে মনে পড়ে
পাশে না থাকলেও তোমাকে মনে পড়ে বলে
শূণ্য আকাশের দিকে তাকিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি পেন্সিল বক্স হাতে কোন কিশোরীরক দৌড়ে স্কুল যেতে দেখলে
তোমার কথা খুব মনে পড়ে
কেবল কলম শক্ত করে ধরতে পারা মেয়েটি কিভাবে
সাজিয়ে গুছিয়ে মনের কথাগুলো লিখতে চাইতো

তিনি চায়ের কাপটা হাতে নিয়েছেন মাত্র; মন্ত্রী মহোদয় কক্ষে প্রবেশ করলেন। আগুন্তক খুব সংক্ষেপে তার পরিচয় দিলেন। -একটা এ্যাপিল নিয়ে এসেছি ইয়োর এক্সেলেন্সি, আমপাতি যাবো
-কেন জনাব?
-এক মহিয়সী থাকেন; তাঁকে সালাম জানাতে। একাত্তুরের শরণার্থীদেরকে যখন কেউ আশ্রয় দিতে সাহস পাচ্ছিলোনা; স্বয়ং ঈশ্বর যেন তার কন্যাকে দনু নদির

ক্ষীয়মাণ মনিবন্ধ মধ্যমার সর্বংসহা ঊর্মি !
যার জয়ন্তী শুরু হায় উপদা-
স্বৈরাচারী যে পাণি। কতবার করতল দৃষ্টিহীন করেছো
চতুরঙ্গ এদিকে স্বাদিত হই
ওদিকে পররাত যায়; বলো আর কতকাল রব অগ্নিসহ
এটা কারণ হয় তো জানি
ক্ষণজন্মা তাই না? তবে কেনো শুনতে পায় না শুভ
গুঞ্জন কিংবা

অটোপাইলট জাহাজের (আকাশ বা জলপথের) জাহাজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের একটি অবিচ্ছেদ্য উপাদান। আধুনিক অটোপাইলটগুলি জাহাজের নিয়ন্ত্রণে কম্পিউটার সফটওয়্যার ব্যবহার করে। সফ্টওয়্যারটি

অভিমান,
বিকেলের রৌদ্দুর তোমার খোলা জানালায়
গোধূলি এঁকে গেলে, জানালার গ্রীল ধরে তুমি আর থেকো না দাঁড়িয়ে
এমন উদাস চোখে! চুলের ভাঁজ খুলে দিয়ে সন্ধ্যাকে আমন্ত্রণ করিও

স্বাধীনতা কয়লা চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েছে
চোদ্দ বছরের রাজু।
চলন্ত ট্রেনে পকেট কাটতে গিয়ে ধরা পড়েছে
ন ‘বছরের ল্যাংড়া হাবু।
আরশাদের পা দুটো রিকশা চালিয়ে
ফুলে কলাগাছ হয়ে আছে।
যন্ত্রনায় তার সতেরো বছরের জোয়ান মরদের শরীর কুঁকড়ে যাচ্ছে। নতুন ফ্ল্যাট হচ্ছে, কাজ পেয়েছে
এগারো বছরের হারান।
মাথায় আট, দশটা ইঁট নিয়ে
উঠে যেতে