(প্রিয় মানুষের জন্মদিনে) পঞ্চাশেরও বেশী আগে আমার আসা,
পঞ্চাশের বেশী আমার বেঁচে থাকা,
আমার আমি হয়ে উঠেছিলাম,
তোমাদের মতো করে,
তোমাদের সব ভাবনাগুলো নিয়ে। আমার মেয়েবেলা, আমার ছোটবেলা,
আমার বেড়ে উঠায় ঘটে যাওয়া হেলাফেলা, দিনে রাতে মানুষের
আদিমতার শিকারে লন্ডভন্ড হওয়া,
সবকিছু তুলে দিয়ে লিখেছিলাম
লজ্জা আর আমার মেয়েবেলা। লিখেছি প্রতিদিনের পথচলা,
নষ্ট হাতের

রাত-বিরেতে নিজন পথে
চলতে গিয়ে একা-
কেউ পেয়েছো ভূত বাবাজীর দেখা? ঝড়ের রাতে পোড়োবাড়ির

কোথায় যেন থমকে গেছি
পুরানো স্মৃতির ধূলো সরিয়ে যা পাই তা আর এখন আমার নয়,
উই পোকায় কেটে রাখা কবিতার বইয়ের মত অচল জঞ্জাল বেদনাময় রূপকথা।
কোন দিন চোখ তুলে দেখতে পারিনি কতটা ক্ষত ভেসে গেলো আবিরের রঙে,
কোন মায়াবী হরিণী চোখ মহুয়ার বনে, কাঁকনে সোহাগে

আগাছা ঘাসের শরীর নরম সুরে বাজে পিয়ানোর তালে
আগাছার মূলের গর্বে অক্সিজেন সোনায় চমকে
খনি থেকে ধাতু পাই
সঁপি দেহ মন কোলে শুয়ে আছে গাছ
অল আউট জ্বালিয়ে নিরব প্রকৃতি সুন্দর হোক “নির্মল” স্বচ্ছ জীবন–? গাছ কাটা র বিরুদ্ধে সামান্য প্রচেষ্টা

মৃত্যুর বিদ্রূপ অন্ধকার গলিয়ে তেড়ে আসে রক্তের স্রোত
লাশের গলিত দেহ,
তেড়ে আসে নির্মমতার হিংস্র ক্ষোভ
সমস্ত দিন জ্বল জ্বলে রোদ
অদূরে দাঁড়িয়ে আছে ৭১ এর শহীদদের স্মৃতিসৌধ;
অতল গহ্বরে পৌছায়না আলো
কয়েকটি প্রাণ তখনো ঝুলে আছে মৃত্যুর প্রতীক্ষায়
কেউ নেই কোথাও
বুকের উপর সমস্ত ধ্বংসাবশেষ!
এই মুহূর্তের সবচেয়ে ক্ষুদ্র পৃথিবী এটি
ক্লান্তির বিমূর্ত চোখে

তাপসিনী রাঁধিকা শরৎ সন্ধ্যা, উদাস নীল আকাশ

অনেকদিন ভোরের আকাশ দেখি না।
একটা নতুন ভোরের অপেক্ষা জীবনকে
করেছিলাম তুচ্ছ। স্বপ্নগুলোকে জমা রেখে,
ভয় আর বাধাকে উপেক্ষা করে, পথে নেমেছিলাম এক নতুন ভোর আনবো, এই ছিলো লক্ষ্য, এই ছিলো জীবনের অভীষ্টতা। ভোরের প্রতি ছিলো এক অকল্পনীয় টান,
একটা ভোরের জন্য কতো রাত বিনিন্দ্র
কেটে গেছে দিনের পর

আকাশ কুসুম #১
তারা দিদি কপালে তারা এঁকে দেয়ালা করেন
চিরকালের হাতা খুন্তিকে কান মুলে মাইক্রোওয়েভে ফেলে দেন
আগুন ধরে যায় মেটাল আর ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক
তাঁর নাদা পেট এখানে গাদা না খেলে কবিতার অর্গ্যাজম হয় না
সেই কবে থেকে ভুনা খিচুড়ি বানান, সেটা উগরে আবার খান #২
ওদিকে কোজাগরী রাতে কান মুলে রাত

অস্থির সেদিনও একটা দিন ছিল
বৃষ্টি-ভেজা
আজকের মতই
সেদিন আমাদের প্রথম দেখা
অচেনা ছিলাম আমরা সেদিন
চেনা রাস্তার দুধারে দুজন
রাস্তা পার হয়ে তোর কাছে পৌঁছতেই
আনত তোর চোখ
আমার দৃষ্টিতে অবাক অনুভব
আকাশ পরী পৃথিবীতে কেন? তারপর কত সময় পার হয়ে গেছে!
পারি দিয়ে ফেলেছি কত কত অনুভূতি
সুখের
দুঃখের
মিলনের
বিচ্ছেদের
আজকাল আর অনুভূতি দাগ ফেলে না মনে;
কালকেও একটা

হুমায়ুন আহমেদ দুই বাংলার জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। বাংলা কথা সাহিত্যে তিনি এক উজ্জ্বল নক্ষত্র তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। আজ তাঁর কিছু উক্তি/বাণী এখানে তুলে ধরছি যদিও অধিকাংশ পাঠক এগুলো জানেন তবুও মুলত আমার সংগ্রহে রাখার জন্যই শেয়ার করছি। আশা করি অনেকেরই ভালো

বন্ধুর রঙ দু’চোখের মধ্যলোমে ঘোর পুড়ছে-
দুল দিয়েছে বন্ধুর রঙ!
ভাবনার ফুলদানিতে
গোলাপ কৃষ্ণচূড়ার বিরল হাসি-
আঁকাবাঁকা রাস্তার মোড় বয়ছে
বাতাসে রঙধনুর ছবি। রঙ বিরল হয়ে যাই বোকা,
তবুও ঘোর উল্লাসে তখন
তীরধনুক চোকা চোকা-বুক পকেটের
হাতে শূন্য কায়া-
কখন যে উড়ে এসে জুড়ে বসে
কাঁঠাল পাতার টাকা ! টাকা হয়েছে -ভাতা হয়েছে
কিসের তবে কষ্ট বাঁকা?
বন্ধু দিবসের

এইখানে বন ছিল
ক্ষণ ছিল ছায়াময়-
পাখিদের গান ছিল
প্রাণ

ছড়া হাতে গড়া বেহালার ছড় বেতালার ছড়া
আনা তড়খড় ডাক-হরকরা ট্রেন-সিঙ্গার মৌলানা কাজি
আদাজিঞ্জার জাহাজের মাঝি ঝিঁ ঝিঁ ডাকা রোদ ছাতা-খোলা শীত
আকাশগারদে ফাঁসিসংগীত গলি-রাজপথ “বাবু, কই গেলি?”
মুমফলি খেয়ে শোকে মোম ফেলি সবুজের খোপে জল চারকোনা
এটুকু জগত, বাকি হাতে বোনা চোখে চিতকার গায়ে বাঘনখ
মুখভরা পেস্ট গলায় পদক অপমান, আয়ু,