দিন দিন নীল থেকে নীলতর
হয়ে যাচ্ছিলো সেই সময় আকাশটা।
শিমুল তুলোর মতো শুভ্র মেঘগুলো
নীলের ক্যানভাসে দেখে মনে পড়ে গেল,
সেই দিনের মতোই এখন শরৎকাল। পূজোর ছুটি চলছিলো তখন
কুমোরপাড়া ঘুমায়না রাত-দিন।
ঘন্টার পর ঘন্টা ঠায় দাঁড়িয়ে দেখতাম,
খড়ের কঙ্কাল, মাটি-জল
মিলে মিশে একাকার।
সময় গড়ায়, দিন যায়
হাত-পা-মুখ-চোখ
একে একে সব হয়। এমনই এক ছুটির

গ্রাম্য বৌ প্রেমহীন কাজের সংসার
প্রেম বিয়ের পর শুকিয়ে যায় ধান গাছের পাশ দিয়ে যাওয়া ঘোমটা বৌ
শরীরে আঁচড়
যৌন পিপাসা বকের নির্জনতা
মাছরাঙা স্বপ্নগুলো মাতৃত্বের আলপনাতে লেবুজল শুষছে
সরবত তাঁর জীবনে
আসে নি
ঘোর অমাবস্যায় মোমবাতি জ্বেলে প্রতীক্ষারত
তেত্রিশী পেত্নী আত্মা
একঝলক পরমাত্মার মিশ্রণে সম্পৃক্ত
চঞ্চল ঝলসানো কুঠার—

এক টুকরো আহবান অশুদ্ধতার ভরা স্রোতে প্লাবন
ছড়িয়ে তুমি চলে যাও
তোমরা বিগত হতে থাকো,
এই তুমি আমি মার্কা মিথ্যে প্রহসন একদিন থামবে জানি। তবু একদিন
খুব বেশি ঝড় হতে ইচ্ছে করে আবার
প্রলয়ঙ্করী প্রেতাত্মার মতো মটকে দিতে ইচ্ছে করে কুকুরের হাড় গোড়।
ওরাও কি মানুষ

জোছনার রংধনু থেকে চন্দন এনেছি তোমায় সাজাব বলে,
আকাশের তারা এনেছি মালা গেঁথে তোমায় পড়াব গলে।
সাগর তলে রূপ নগরে বেঁধেছি তোমার জন্যে ছোট্ট বাসা,
বাঁকা চাদের কানের দুল পড়াব তোমায় সেই তো ছিল আশা। নীল

প্রথমে একটা মৃত এবং তারপর জীবিত ধূমকেতু অতিক্রম করলে
সাতটা সমুদ্র পাবে;
সাথে আরো তেরোটা নদি পেরোলেই দেখবে হৃৎপিণ্ড রঙের একটা বাড়ি!
ওটার আশেপাশে যতো ব্ল্যাকহোল ছিল; পুড়িয়ে দিয়েছি।
বাড়ি নাম্বার সপ্তর্ষিমণ্ডল
রোড নাম্বার একটা নীলরঙ প্রজাপতি। পথে এখানে সেখানে কিছু মৃত নক্ষত্র দেখবে
এবং ছড়িয়ে ছিটিয়ে এক কোটি হিমালয় !
তবুও

কাঁঠাল তক বর্ণ ধূসর স্বর্ণ খেরে ভাবনাগুলো রসাক্ত
পথের বাঁকে কাঁঠালগুলো ছিন্ন ভিন্ন
শুধু দৃষ্টিপাত জনসমুদ্রে বাহারি তকতকে-
তারার গায়ে অবাক চোখে সহনিদ্রাহীন
তারপর অন্তঃপরবাসে নিশিদিন;
মেঘের ভেলায় ভেলায় বাবই পায়ের খেলা
যেনো ঐ যমুনার জলতরঙ্গে চলা-
প্রজন্মের কাঁঠালগুলোর কেটে যায় বেলা
তবুও ভাবনাগুলোর রসালো তক-
তেমনী রবে গাঙচিল ঠোঁট বলে রব রব
মৃত্তিকা জুড়ে

টাকা টাকা জপ টাকায় সুখ
টাকায় অসুখ
আমরা সুখ কিনতে যাই টাকার বিনিময়ে
কোথায় সুখ?
বস্তা বস্তা টাকায় কিনে আনি পাহাড় পাহাড় অসুখ; সুখী কে?
যার টাকা আছে?
উঁহু!
তাহলে ঐ যে দুবেলা দুমুঠো অন্ন জোটে না যে পরিবারের
তারা কি করে নিশ্চিন্তে ঘুমায় রাতে!
স্বপ্ন দেখে
হাসে, খেলে,
বাবা-মা, ভাই-বোন ভাগ করে সীমিত খাবার খায়
ভাঙা জানালায়

নিজকিয়া ২৯ সময় শেষ হলে দু পাশের ঝাঁকড়া গাছ ঝুঁকে পড়ে প্ল্যানচেটে বসে,
রাস্তার বুক পিঠ মধ্যনাভি থেকে দ্রুত পালায় নিঃস্ব বিকেলের আলো
বিষন্ন প্রেতপুরুষ কানের পাশে ফিসফিস বলে যায়
এ এক স্বতন্ত্র অলৌকিক পরিবারের গল্প।

আধুনিক গান :: আমি মোমের আলো’কে চন্দ্র জেনে আমি মোমের আলো’কে চন্দ্র জেনে তারার বাসর সাজাই
সকল দু’খের সাক্ষী থেকে এই, গানগুলো লিখে যাই।। ১। বিন্দু মেঘের মোহনা থেকে
পথ খুঁজে আনি আমি-
তবুও তোমাকে হয় না তো বুঝা
আড়ালেই থাকো তুমি
মেঘ সরে যায়, সূর্য জাগে না ঢেউয়ের বীণা বাজাই।। ২।

তোমার অনিচ্ছাতেও পেলে পেতে পারি যত ইন্দ্রিয় সুখ
কাব্যদেবীর বর বিহনে কিন্তু ফোটেনা কবিতার মুখ;
সাহা মল্লিকের দোকানী যতো রঙ মেখে দেই তোমার কপোলে
শ্রী হয়ে ফোটেনা; দুর্গন্ধ ছড়ায় চারি দিকে। কথার ইন্দ্র জালে খৈ ফোঁটাও তুমি; বাণী আসে অবিরত
শ্রোতা পায়না খুঁজে; যা শুনতে চেয়েছিল
শব্দের মাঝে

এই যে সোনার দেশে এখন
যোগ্য ব্যক্তি মূল্যহীন!
দেশ জুড়ে অযোগ্যরা এখন
ক্ষমতায় হয় আসিন।
/
যোগ্য ব্যক্তি দুমড়ে কাঁদে
হয় ক্ষমতাচ্যুত!
অযোগ্য উচ্চাসনে বসে এখন
খেলে কুতকুত!
/
ক্ষমতা লোভি ক্ষমতা দেখায়
শিক্ষার দেয়না দাম!
শক্তি দিয়ে তারা যুক্তি ঢাকে
ছড়ায় শিক্ষার বদনাম!
/
চুরি চাদাবাজি, খুন ধর্ষণের
এরাই করে সেন্ছুরি!
দেশ ও জাতির সম্মানহানি করে
করে ছলচাতুরি!

বহুদিন কোনো কথা নেই। আমার তো অজানা নয়,
‘প্রেম’ ছাড়া বাঁচোনা তুমি তিলেকও।
শুধুই শব্দ বাঁচন- ভূমি,
বেঁচে থাকো গানে- কবিতায় প্রাণবন্ত। চেয়ে দ্যাখো, কলকল করে কথা বলে
যায় নদী যতো, যতো ঝরনা। সর্বদা
কথার ধুলো উড়িয়ে যায় গাছ- পাতা,
অরন্যে। শ্বেত- মর্মর কথায় উচ্ছলে। শুধু সে কথায় বাঁচা, শব্দে

দুপুরের রোদে কপোতীরা উড়ে যায়
শরতের শেষে দূরের ওই নীলিমায়।
বসে বসে দেখি তাই একা বাতায়নে
কোন বাঁধা মানে না দুই নয়নে। দেখি সুন্দর কত এই নীল আকাশ
পাখা মেলেছে যেন মৃদুমন্দ বাতাস।
ফুটে আছে কাশফুল লাগে শিহরণ
ছোট ছোট মৌ মাছি

কোমারাভস্কিয়ে মাবরোস্কি, ১৯৬১
— মারিনা স্ভেতায়েভা
অনুবাদ : রিয়া চক্রবর্তী আমি সবকিছু থেকেই
নিজেকে সরিয়ে রেখেছি
পৃথিবীর সমস্ত ভাণ্ডার থেকে,
এই জায়গার আত্মা ও অভিভাবক
জলের ভেতরে একটি গাছের গুঁড়ি। পৃথিবীতে আমরা ক্ষনিকের অতিথি,
এই রকমই ঘটেছে,
জীবন তো আমাদের অভ্যাসের জামা,
বাতাস আমার কানে কানে বলেছে,
বন্ধুত্বের দুটি স্বর,
একে একে বলে যায় কথা। বলেছি কি দুজন