-আমরা এসে পড়েছি ছড়াদাদু
-আমিও তো তোমাদের অপেক্ষায় বসে আছি। চলো বেরিয়ে পড়া যাক। বাঁওড়ের পাশে গিয়ে বসি। তারপর ছড়াদাদুর একটা পিতৃদত্ত নাম নিশ্চয়ই আছে। কিন্তু তিনি ছড়াদাদু নামে এতই জনপ্রিয় যে আসল নামটাই যেন গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। প্রবীণ এবং প্রতিষ্ঠিত ছড়াকার তিনি। শিশু আকাদেমি, রাষ্ট্রপতি

শরতের তালা এই শরতের প্রথম কথা সবাই জানে হলুদ বেড়ে ওঠো
আলোর ছোট ছোট স্তনের ওপর চায়ের গরম ফোঁটা,
আঙুলের ডগায় রক্ত তুলে নারকোলপাতার শীর্ষাসন। সময় আসার আগে বুঝতে পারছি সময় আসবে
মাইক থেমে গিয়ে গান হচ্ছে কলতলাতে, রেললাইনে, পাখির মাথায়
সকালে উঠিয়া আমি শার্ট পরে তার ওপর গরম লাগছে
শ্বেতপাথরের

ঘর শীতল থাকুক এসি ছাড়াই কাঠফাটা রোদ। শান্তি নেই কোথাও। গরমে নাজেহাল অবস্থা। এসময় বাইরে যেন জ্বলন্ত আগুন। তবে ঘরে কি ঠান্ডা? এসময় সবাই ঘরে একখানা এসির প্রয়োজন অনুভব করছে। কিন্তু প্রাকৃতিক উপায়ে এসি ছাড়াও কিন্তু ঘর ঠান্ডা রাখা যায়। এখনই

শরতের জানালা কখন শরৎ এসেছে জানালার পাশ-
বুঝতে পারিনি-কারণটা হয় তো এখানে
মরুভমি বালুচর হয়েছে- ভাবিনি;
তবুও কাশফুল রাঙিয়ে দিলো-
-ঐ নীল রাস্তার দুই কুল-
ঝড় হাওয়া মানে না-মানে না শরৎ
ভাদ্রের খরা মধ্যদুপুর- ঘাম ঝরা বেদনা-
সেতো শরতেরি কাশফুল-
আর শিউলি হেসেই ঝরে পরছে ঠিকানা;
দক্ষিণা জানালা তেমনী আছে
শরতের

একদিন সব ভূমি ভরে যাবে
ছোট ছোট পায়রার খোপে
ছোট ছোট মানুষের পরমাণু বাসা
ছোট ছোঁয়া, ছোট সুখ,
ছোট ভালোবাসা। একদিন মানুষের হাত থেকে নদী
হারাবেই অনবধানে,
পরিজন পরিষেবা আকাল গ্রস্ত
ছোটবেলা নির্ভার হাসিমুখ, অভিমানে
দুর্লভ, গতির দাপটে। সুখে থেকো, ভালো থেকো আশীষ বেরঙ
ভোগবাদী ঝড়ে
একদিন গৃহকোণ সরাইখানা –
কালো রঙ আলো হবে
আইনী নিগড়ে।

বেগানা পথের ভীরে দিকভ্রান্ত পথিক আমি
সতিনের মতো দু’পায়ে জেঁকে বসেছে ক্লান্তি,
তবু আমি খুঁজে চলেছি এক লোকমা শান্তি ৷ স্মৃতির খাতার পুরোনো হিসেব মেলাতে বসি
শূন্যতা সেও আজ এ হৃদয়ে যেনো বানভাসী,
ওগো প্রেয়সী তবুও তোমাকেই খুঁজে চলেছি ৷ বিষাদ ভর করেছে জীবনের প্রতিটি

খুলছি জাদুর পৃষ্ঠা
আদিম পুরুষের মুখ
আমি জন্ম নেব বারবার
আলাপে কৌশলে মু্গ্ধচোখ গলছে বরফ প্রতিদিন
যন্ত্রমুগ্ধ চোখে দেখে
সার্কাসের মেয়ে রূপালি
বিন্দু বিন্দু দুঃখ তার মেঘদের কোলে নেমে আসা কান্নার জল
রূপালির রঙির পোস্টারে ভরে গেছে দেয়ালে
হারিয়ে গেছে বিচিত্র শৈশব
তবুও জাদুর শাদা পৃষ্ঠায় নিচ্ছি মন্ত্র মুগ্ধপাঠ নীল প্রাসাদে বদ্ধ দুপুর
তবুও যুদ্ধ চলে

নিশপিশ : দোস্তো, পিপড়ার লাইন দেখছিস!
: হ।
: এক টুকরা রোদ আইসা পড়ছে গ্রীলের কোনায়, পিপড়ার লাইন যখন সেই রোদ অতিক্রম করে — দেখছিস?
: হ, কত্তবার দেখছি।
: সেই লাইনের মধ্যে দুই তিনটা দলছুট পিপড়া বেমওকা দৌড়ায়, ছটফটায়া এদিক ওদিকে যায় দেখছিস?
: হ, দেখছি।
: এই পুরো

প্রিয় শফিক,
আশা করি ভাল আছিস। অনেক দিন যাবত তোর কোন চিঠি পাই না। জানি বারবার এত করে বলার পরেও তোদের গ্রামের বাড়ি না গিয়ে চলে এসেছি বলে রাগ করেছিস তাই না? আমি ঠিক বুঝতে পেরেছি। কিন্তু, আমি কেন যাইনি সে কথা এতো দিনেও বলি

পাখি অনেক দিন পাখি দেখি না আকাশে,
মনাকাশে;
পাখি কেমন আছে? ভালো থাক পাখি
আকাশ থাক নীল
সবুজ থাক বনানী
আর তুই স্বপ্নিল; কালো আকাশে কি আর ডানা মেলা যায়?
পাখির যে মেঘ হতে বড্ড মন চায়;
পাখির পালকে মেঘের ঘষা
আমার চোখ বৃষ্টি
ভালোবাসা বড্ড কাঁদায়
ধ্যাত! অনাসৃষ্টি; পাখি ডানা মেলে মেঘের ভেলায়
সময় কোথায়

স্বপ্ন ও বাস্তবতা বিশ্রী একটা স্বপ্ন দেখে ঘুমটা ভেঙ্গে গেল। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি সকাল প্রায় ৬টা। ইচ্ছা করেই টেবিল ঘড়ির সময় ৫ মিনিট এগিয়ে রাখি। সকালে কাজে যেতে সুবিধা হয়। মনটা খারাপ করে আলো ফোটার আগেই হাইওয়ে ধরে

মিস্ বললেন – বল্ তো তৃষা
কিসমিস হয় কীসে?
ইস্ কী সোজা! – বললো তৃষা
ওষ্ঠেতে দাঁত পিষে-
কিস্ টা যখন মিস হয়ে যায়
কাউকে দিতে

আকাশের চেয়ে অনেক দ্রুততম সময়ে
রঙ বদলাও তুমি নিমিষে-
কখনো অযাচিত লাল
আবার অকারণ নীল। বায়বীয় পদার্থের মত মিশে যাও বাতাসে
কখনো জলের মতো ঠিকানা খোঁজ পাতালে
আবেষ্টনী তৈরি কর আমার চার পাশে কদাচিৎ
আমি কিন্তু মোহান্ধ থেকেছি, হয়ে চিরহরিৎ।