নদীটি নারী হয়ে উঠেনি
কতকাল ভেবেছিলাম আমার নদীটা নারী হয়ে উঠবে
হয়ে উঠতে উঠতেও আর হয়ে উঠেনি
একেবারে কানের লতির পাশ ঘেঁষে যেমন বন্দুকের গুলিটা চলে যায়
তেমনি সেও কিছু বনষ্পতির অন্তরালে মিলিয়ে গেলো!
আমি তখন মেঠো পথে হাঁটতে হাঁটতে আকাশ দিয়ে উড়ছিলাম
আমি তখন কোন অভাগা ব্যাকরণ লিখেছিলো, তার
মেঘ থেকে পড়ে গিয়ে হঠাৎ সেদিন আমার মৃত্যু হলো!
ঝরাফুল এলো, নদির কূল এলো
চোখ ভরে শিশির নিয়ে ভোর এসে বললো,
“আহা, বড় ভালো লোক ছিলো”!
রাতজাগা ঝর্ণাটা খুব অবাক হলো;
“এভাবে পড়ে গিয়ে মরে যাওয়া মোটেই ভালো কথা নয়!
এই মৃত্যু সারাতে অষ্টধাতুর তাবিজে যতো পাহাড় লাগবে
তার জন্য টারশিয়ারির
বিস্মিত বাঙাল: চুমো কি খায়!
চারপাশের হাবভাব দেখে মনে হচ্ছে চুমু যে একটা খাবার জিনিস- এটা জাতি প্রথম জানলো।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, কলাভবন, কার্জন হল, এনেক্স বিল্ডিং, লেকচার থিয়েটার- এর চিপাচাপায় এবং লম্বা করিডোরে নির্জন সময়ে চুমু খাওয়া আর আক্ষরিক অর্থেই ‘লদকালদকি’র
সমকালীন|
৪ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১১৮৩ বার দেখা
| ৩৮৬ শব্দ ১টি ছবি
মিউজিয়ামের একটি রাত
সকল দর্শনার্থী বিদায় হলে একে একে ছবিগুলো ঢেকে যায় কাগজের আবরনে। সারাদিনের জনসমাগম ক্লান্তি কাটিয়ে রাতের বিশ্রাম পরশটুকু টাকার মতো স্বস্তিদায়ক। ঘুমের প্রয়োজনে অথবা আঙ্গুলগুলোর সুর ঝালাতে, পিয়ানো দিয়ে গিটারে সুর তোলা সে তো সোজা কথা নয়! রাতের অবসরে মিউজিয়ামের পুরনো
এই যে বনবিথী
আমার কাছে চমকে দেবার কোনো চেরাগ নেই। নেই পুড়িয়ে দেবার জন্য
আগুনের কোনো হলকা। এই যে বনবিথী আমাকে শাসন করে, তাকে
ঢেকে দেবার জন্য আমার হাতে নেই কোনো রঙিন পোশাক। বেআব্রু
নদীর পাশেই শিথান পেতে, যে আমি ঘুমিয়েছিলাম অনন্তকাল- তার হাতে
দেবার মতো নেই একটি গোলাপ।
আমি
আদর
তোর হাতে বড্ড আদর;
যখন হাত বুলাস হাতে
যখন হাত বুলাস মাথায়
যখন হাত বুলাস গায়ে
আদর অনুভব মনের ভেতরে
আদর তোর স্পর্শে স্পর্শে;
কাছে আসলেই বুঝি আদর দিতে হয়?
ওরে ও আদুরে মেয়ে!
একদিন আদর মেখে দিয়ে যাস আদুর গায়ে,
আদরে আদরে।
তোর মনে বড্ড আদর;
যখন মন রাখিস মনে
যখন নাক ঘষিস বুকে
যখন হৃদয়
বন্ধু মানে মেঘলা দুপুর শিশির ভেজা ভোর
বন্ধু মানে মনের মাঝে অনেকখানি জোর
বন্ধু মানে ভীষন কষ্ট একটু অভিমান
মনের মাঝে কোথায় যেন অনেকখানি টান
এক অকারণ অনুভূতির নাম বন্ধুত্ব? হাতে হাত রেখে পাশাপাশি চলাটাই বন্ধুত্ব ?
তমালের কথা শুনেননি এমন লোক খুঁজে পাওয়া যেমন দুষ্কর তেমনি, তমাল গাছ বা ফুল দেখেছেন এমন লোকের সংখ্যাও খুব বেশী নেই।
বাংলা সাহিত্যে তমালের উপস্থিতি উজ্জ্বল। হিজল-তমালের কথা যেমন আছে তেমনি আছে তাল-তমালের কথাও।
তবুও রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন-
‘কোন তমালের কাননতলে মধ্যদিনের
তুমি যদি সেবাই করতে চাও তাহলে মানুষের কাতারে পৌঁছে যাও; মানুষের দ্বারে না পৌঁছে তুমি যদি সেবা করার কথা বলো সেটাতো শুধু বাহানা মাত্র।
মানুষের সেবা বড়বড় বক্তৃতায় হয়না চেয়ারে বসে সেবার ধর্ম পালন করা যায়না। দেশের সেবা করতে আগে জনগণের সেবা করতে হবে।
চোখ
❑
ও চোখে চোখ পরতেই ভুলে যাই যন্ত্রণাময় যান্ত্রিক জীবনের ইতিহাস
ভুলে যাই দগ্ধ হওয়া হৃদয়ের ক্রন্দন, ভুলে যাই পৃথিবীর পর পৃথিবীর কথা
ও চোখে চোখ পরতেই থমকে দাঁড়ায় প্রতারক, ভুলে যায় ঘোর রাত্রির অহংকার
ও চোখে চোখ
কবিতা|
৬ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৪১৮ বার দেখা
| ৮৬ শব্দ ১টি ছবি