ধরো পৃথিবীর মধ্যভাগে রাখা হলো তোমাকেই
সাগর কিংবা মহাশূন্য পাড়ি দিতে হবে না। পার হয়ে এসেছ হোমো স্যাপিয়েন্স-দের যুগ
আহ্নিক গতি – বার্ষিক গতি কি জানা নেই
উত্তর মেরু – দক্ষিণ মেরু সম্পর্কেও তুমি অজ্ঞ প্রত্নতত্ত্ব, ভাষাতত্ত্ব, জিনতত্ত্বের মতো জটিল বিষয়
নিয়ে চিৎকার করছে ফারাও খুফুর পিরামিড
কান বন্ধ – দৃষ্টি

নেই মানে আচ্ছা, তুমি যখন ছিলেনা আমার প্রাণে,
ছিলেনা আমার জলবায়ু ও ইতিহাসের কোন কোণে,
আমার কি রাত ভেঙ্গে সকাল জাগতোনা?
নাকি, নিত্যিকার শিস্ দিয়ে ডেকে তোলা বুলবুলি তোমাদের বাগানেরই বাঁধাজন ছিল? নয়তো? তা যদি হয়, মূহুর্তের অদর্শন, যোগাযোগহীনতা,
কিভাবে এমন পেড়ে ফেলবার
ক্ষমতাধর দৈত্যের স্বীকৃতি পেয়ে
গেল বলো? কোন

উড়ু ছাই আজকাল উড়ু ছাইয়ের মতো কথারাও উড়ে
এসব দেখে কবি উড়ুক্কু পাখির নাম ভুলে যায়
যে ছবিতে ছিলো মোনালিসার মতো ভাষা
কবি ভাবে, আমি এখন সে ছবি কোথায় পাই? যেদিন গুলো পঁচাবাসি হয়েছে হালের বলদের
মতো,
এমনি করে শব্দেরাও কবিতায় পঁচে শতে শতো
তবুও কবির চোখে ফাগুনের যেনো কমতি নেই,
কবি ভাবে

যে রোদ্দুর লুকিয়ে পড়লো তোমার শাড়ির আঁচলে,
সে কে জানো!
সে আমার ভবঘুরে জীবনের ছায়ামানবটাকে খেয়ে ফেলা এক ক্ষুধার্ত রাক্ষসী
তাই বুঝি,এই মালাবদল! শুভদৃষ্টি! বাসররাত্রি যাপনের আড়ম্বর প্রিয়!
নাকি তুমিও! তুমিও সেই সূর্যের মতো আমার থেকে আদায় করবে খাজনা!
এতোদিন ভালোবাসা দিয়ে,একে একে নিয়ে নিবে আমার অবাধ্য জীবন! আমার

এই দেশ কোনো রক্ষীবাহিনীর না একাত্তরের পুনরাবৃত্তি ঘটবে বাঙালি সেটা দেখে আঙ্গুল চুষবে সেটা আর হতে পারেনা! এদেশের কোটি কোটি জনগন সাক্ষী একরামুল কমিশনার নির্দোষ অপরাধীরা তাঁর বেঁচে থাকার অধিকার কেড়ে নিয়েছে একজন মানুষের মৃত্যুর পরওয়ানা হুকুমদাতা কেউ দিতে পারেনা; জনগনের চেয়ে বড় বিচারক

ভেজা স্বরলিপি মন ভাঙার শব্দ পিনপতন নীরবতার থেকেও মুখর
ভাঙা কলসী জোড়া লাগিয়ে মেঘেদের শালীন হেঁটে যাওয়া। যেমন ভাবে একদিন শকুন্তলা হারিয়ে যায় হরিণ পথ ধরে
মায়াবী রঙের জলছবি এখনো দেবদারুর পাতায় পাতায়। শিউরে ওঠা ভালো লাগা, এ ভাবেই ভেসে যায় বৃষ্টিছায়া
ভেজা ভেজা খাতার স্বরলিপি

শুধু অঙ্গার রাতের ছায়া স্বপ্ন ঘিরে ফুটেছে একটা ফুল
গন্ধ মধুর শুধু ভর করেছে দেহের উপর-
কিছু কায়ার মায়া এনা সকাল বিকাল করে বিধুর
ঐখানে প্রণয়ে ভরপুর কিছু কীটপতঙ্গ বাসর; ভাঙ্গা দর্পণে সবগুলো প্রজাপতি উড়াউড়ি-
ঐ দেখে না কোচা ভরা সারা বেলা অহংকার
তবুও কত ফুল ঝরে যায় মায়াবী

শ্রতি,
গল্পটা আমার জীবনের,সেখানে একটা চরিত্র সে তুমিই
যদিও তুমি হলে,অন্য সব প্রেমিকের মনে বেড়ে ওঠা হাজার তুমি থেকে আলাদা
কেননা,আমার গল্পে আমি তোমার প্রেমিক নই বা তুমি আমার প্রেমিকা নও
তাহলে গল্পের এই তুমিটা আসলে কে!
তুমি আসলে আমার ভালোলাগা একটা মুখ, বাকিটুকু কল্পনা কথায় আছে তো, মানুষ

কল্পছায়া আজকাল পাখীদের ঠোঁটে ঠোঁটে
তাম্বুরা অনুরাগ
কিমাম আর জর্দা মিশেলের বানারসী পান।
এক পাখি চঞ্চু ভেঙে আধখানা দিয়ে দেয়
সঙ্গী পাখী লেজঝোলা;
গুলকন্দের মিঠা
প্রথমে একজন গেয়ে উঠেছে সোনালী সুর
দিনশেষে অন্যজন দেবে ভাল বাসা।
আকাশের ম্যাপ ধরে কে মাপবে পথ?
গাছের কোটরে এখনো ছোট্ট সংসার
এরপরে কে যে যাবে কোথায়!
পান ফুরাবে, ধান উড়াবে
রয়ে

লুকোচুরি ভালোবাসা প্রতিবার আমাদের দেখা হলেই
তোর একই জিজ্ঞাসা,
– “ভালোবাসো আমায়?” আমি কখনো উত্তর দেই না
তুই আমার চুপ মুখের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ছাড়িস,
আমি মনে মনে জপতে থাকি
ভালোবাসি, ভালোবাসি, ভালোবাসি; মাঝে মাঝে তুই খুব অভিমান করিস
মাঝে মাঝে রাগ
মাঝে মাঝে কথা বন্ধ কিছু দিন
তারপর আবার কোন

সৌমেনদের বাড়ির পেছনের ঝিলটা
বরাবরই নিস্তব্ধ থাকতো,
কেউ খুব একটা যেতোনা ওদিকটায়। কালীপুঁজো শেষে
যেদিন স্কুল খুললো,
সেদিন সব মেয়েরা
ছেলেদের ভাই ফোঁটা দিচ্ছে।
চন্দন বাটিটা সামনে আসতেই
হঠাৎ নিরঞ্জনের ঝড়,
অপ্রস্তুত বিপাশার দু’চোখ
তখন জলে থৈ থৈ! স্কুল শেষে ঝিমমারা বিকেলটায়
শতবর্ষী বটগাছটার নিচে বসে
সেদিন, দেখছি আর ভাবছি
কার ধৈর্য্য বেশি, নিরঞ্জন
না ওই নিঃসঙ্গ মাছরাঙাটার? ঝিলপাড়ের