শোয়া
ব্রক্ষ্মপুত্র এক রহস্যময় নদ। কখন যে কি তার খেয়াল! এই শান্ত তো এই উন্মাদ। থম ধরে আছে তো পরক্ষণেই স্রোতের মাতামাতি। আজ ব্রক্ষ্মপুত্র বেশ রেগে আছে, বড় ঢেউ কেটে কেটে ট্রলার চলেছে তিস্তার দিকে।
ট্রলারের ফটফটফটফট শব্দে কথা বলা দায়। মোর্শেদ তাই চুপ করে দুই
কষ্ট যদি পেয়েই যাস
পড়ে শেষ চিঠি
উনুন মাঝে ফেলে দিস
আমার সকল স্মৃতি,
ভালোবাসলেই যদি দুঃখের পাহাড়
শ্বাস চেপে ধরে
আরও দুঃখ তুই ফেরি করে নিস
ভালোবেসে ঘরে,
চোখের জল বাঁধ ভেঙে তোর
এসেই যদি পড়ে
ঝরতে দিস শ্রাবণের ঢল
শেষ ইচ্ছের তরে।
আমি ফিরবো তোর সুপ্ত মননঘরে
ভালোবাসিস দুঃখ, সুখের আঘাত আপন করে
সুখের ঘরে থাকে
লা রোশফুকো
François VI, Duc de La Rochefoucauld (১৫ ই সেপ্টেম্বর ১৬১৩ – ১৭ ই মার্চ ১৬৮০) ছিলেন একজন বিখ্যাত ফরাসী লেখক। তাঁর খ্যাতি মুলত দুটি বইয়ের জন্য Maxim and Memoirs মানব চরিত্রের রহস্য সন্ধানে তিনি ডুব দিয়েছেন মানুষের হৃদয়
চাঁদভাঙা রাতে
উনুনে উদার আকাশ। ছিল সবই, আঙিনার হলুদ বকুল
শিমুলের উজ্জ্বলতা, চিত্রা নদীর বাঁক ফেরা ভ্রমণ। তার
পরও অবসন্ন বিকেলকে সাথী করে ছুটেছি চাঁদভাঙা রাতে,
তোমাকে পাবো বলে অতিক্রম করেছি রক্ষণের সপ্তদশ
সীমান্ত। দেয়াল খুলে দিলে যে কেউ হতে পারে যে কোনো
দেশের বাসিন্দা। আমি কেবল সীমান্ত পেরিয়েছি। কেউ
আমাকে
হারামখোরের পেট
১
এত রাতে সে লোক আসার আর কোনো সম্ভাবনা নেই। রহমান তারপরও স্টেশনে কুণ্ডলী পাকিয়ে বসে আছে। প্রচণ্ড শীত। হু হু করে বইছে হিমেল বাতাস। রাতের শেষ ট্রেন প্লাটফরম কাঁপিয়ে চলে যায়। সে অলীক কোনো স্বপ্নের মতো তার পেছনে
গল্প|
৫ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৭৩১ বার দেখা
| ৫৯২৩ শব্দ ১টি ছবি
যখন তুমি বুড়ো
অনুবাদ কবিতা : When You Are Old :
হলে যেই পুরাতন ধূসর
নিদ্রায় কাটে সকল অবসর;
স্বপ্ন যত তখন তুলতুলে
বইপাতার মত হেলে দুলে।
নেতিয়ে তনু মন ঝিমায়
পথ অগ্নি লেলিহান শিখায়;
স্বপ্নপথে ধারালো পাথর
স্লথ গতি অন্তে যেন সাগর।
কত ঐ সুখ মধু মুহূর্তে
প্রেমে সিক্ত চোখের ছায়াতে;
কেউ আবার মিছিমিছি
বড়
“ব্লগ” সম্বন্ধীয় কিছু কথা ব্লগ কি !!
আমরা প্রত্যেকেই জন্ম থেকেই “সাহিত্যিক”? ছোটবেলা থেকেই কান্নার সুর, আধোআধো কথা সুর গান ছবি প্রভৃতির প্রতি সহজেই আকৃষ্ট হয়ে পড়ি তাই আমি মনে করি আমাদের প্রত্যেকের মধ্যেই সাহিত্যের বীজ লুকিয়ে আছে!
সাহিত্য|
৭ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১১০২ বার দেখা
| ২২৬ শব্দ ১টি ছবি
গত বছর ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসের ২৪ তারিখে গিয়ে ছিলাম নারায়ণগঞ্জ সফরে। সদস্য আমরা এক পরিবারের চারজন। উদ্দেশ্য ছিল নারায়ণগঞ্জের কিছু প্রাচীন ও দর্শনিয় স্থান ঘুরে দেখা। সেই উদ্দেশ্যে আমরা সকাল সকাল বেরিয়ে যাই বাড়ি থেকে। বাড্ডা থেকে আসমানী পরিবহনের বাসে
শীতপর্ব (২)
তারপর কেটে গেছে দীর্ঘদিন। যে গল্পটার শুরু হয়েছিল বিশাল ইমারতের ছায়ায় বসে সেখানে এখন ঢুকে পড়েছে শীতের ঘোড়া। সূর্যের অন্তর্বাস খুলে গেলে যে পাখিরা নেমে আসে পৃথিবীতে তাদের হৃদয়জুড়ে ওঠে নব প্রেমের জাগরণ। শীত শহরে ডুবে যেতে কার না ভালো লাগে? এমন রমণ
সিদ্ধহস্ত
এত সব ঘটনা দুর্ঘটনার পর ও
আমি পারিনি তোমাকে পেছনে ফেলে আসতে, তুমিও
যেন অক্ষম এগিয়ে যেতে যদিও আমাকে ফেলে গেছ
সেই কবেকার আস্তাকুঁড়ে! নিত্য দিনের নির্মম পরিহাসে
চেতনার মর্মে বিক্ষুব্ধ আঘাত, কটাক্ষের অহোদিন সস্তা মদে
দম বন্ধ হতে হতে ফের বেঁচে উঠার যুদ্ধ!
তুমি বরাবরই
প্রতিদিনের মতো অফিস ফেরত একজন বাবার ভূমিকায় শিহাব। ফ্রেশ হয়ে রান্নাঘর থেকে ঘুরে এসে নিজের বেডরুমে। কণা কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছে। ঘুমিয়ে গেছে। স্বাভাবিক নি:শ্বাস পতনের শব্দ এবং কিছু অঙ্গের উত্থানপতনে বুঝা যায় সে গভীর