গুনগুন সুরে মন ক্ষণে ক্ষণে অণুক্ষণ
বিষণ্ণ করে তুলে হয়ে ওঠে আনমনা যেনো-
বাবা! তুমি কাঁদছ কেনো?
এখন খুব ভয়ংকর সময়
মুক্ত স্বদেশে এ কোন দুঃসময়?
বীভৎস দগদগে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায়
ছিন্নভিন্ন বাবাদের ছবি হয়ে যাওয়া এ কেমন সময়?
মন চলে যায় সুদূর
বিদায় বেলায়- যে কথা গুলি বলেছিলে তুমি দু’চোখের ভাষায়
আজও তা যায়নি মুছে – আছে অমলিন আমার হৃদয়ের পাতায়।
তারপরে আরও ভালবেসে আরও কাছে এসে- নাই’বা পড়ালে মালা
হাত ধরে পাশাপাশি- সুখে আর দুখে নাই’বা হলো দুজনার পথচলা
তবুও আমার যত আবেগ যত ভালবাসা সব কেবল তোমাকেই ঘিরে
ভেসে
এই পথ দিয়ে কেউ চলে যায় নিয়ম করে
ট্রেনের হুইসেলে আটকে থাকে বধির আবেগ,
স্থিরতর রেললাইনের মতন,স্থির হয়ে আসে দৃষ্টি
শুরু থেকে শেষ ট্রেনের আসা যাওয়া দেখতে দেখতে
অবশেষে বুঝতে পারি
সময়ের প্রবঞ্চনায়,দিগন্তের ধমর্ঘট ভেঙে
মুক্ত বলাকার মতন ডানা মেলেছো তুমি !
আজ তুমি চলে যাবার পর
বাতাসে বাতাসে উড়ে
একরাতে বড্ড টেন্সড ছিলাম। শেষ রাতের দিকে ঘুমালাম। তখনো ব্রেইণে অফিস-বাসা-শ্যুটিং-স্ক্রিপ্ট ঘুরছিলো। আর পাক খাচ্ছিলেন তিনি।
দেবী!
আমার
হ্যা! ঠিক-ই ধরেছেন। আমার ‘তিনি’কে দেবী-ই ডাকি আমি। একটু মনোমালিন্য চলছিলো দু’জনের। কয়েকদিন ধরে। দাম্পত্য জীবনে এমন টুকটাক হয়না, আপনাদের ভিতরেও? দু’দিন ধরে আলাদা শয্যা
অণুগল্প|
৬ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৬০১ বার দেখা
| ২৫৫ শব্দ ১টি ছবি
মধুর অনুযোগের সনেট /ফেদেরিকো গার্সিয়া লোরকা
অনুবাদ- নাজনীন খলিল
আমাকে কখনো হারাতে দিওনা এই বিস্ময়
তোমার স্ট্যাচুর মতো চোখের, অথবা এই স্বরসঙ্ঘাত
তোমার নিঃশ্বাসের স্বতন্ত্র গোলাপ
যা রাত্রে স্থাপিত হয় আমার কপোলে।
আমি তটস্থ থাকি, এই সৈকতে
এই শাখাহীন গুঁড়ি, যা আমার তীব্র অনুতাপ
পুষ্পহীনতা, শাঁস অথবা মৃত্তিকা
আমার উদ্যমহীনতার জীবাণুর জন্য।
তুমি
১। মরিচের চাটনি, কাচা বা শুকনাঃ
১০/১২ টা মরিচ বাটা পেস্ট বা গুড়া, এক টাবিল চামচ চিনি, প্রয়োজন মত লবন, তিন চা চামচ রসুন, দুই টেবিল চামচ ভিনিগার বা লেবুর রস, অল্প কিছু তেল।
কড়াইতে তেল গড়ম হলে ভিনিগার বাদে সব কিছু
প্রসঙ্গ – আমিন, ভুল জায়গায় ভুল বাক্য ব্যবহার করে যেভাবে নিজেদের বিপদ বাড়াচ্ছি।
‘আমিন’ এটি একটি বহুল ব্যবহৃত শব্দ।
আমরা প্রতিদিনই শব্দ টি উচ্চারণ করছি, বলছি বা লিখছি। তবু আজ ‘আমিন’ প্রসঙ্গে লিখতে হচ্ছে কারণ বেশ কিছু দিন থেকে প্রসঙ্গটা আমাকে ভাবাচ্ছে।
জীবন|
৪ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩২৪৫ বার দেখা
| ৪৪৮ শব্দ ১টি ছবি
শীত
শীত এলো বুঝি!
তোমার নাইটগাউনের ভেতর ঢুকে পড়ি
শীতলপাটির মতন সুখ!
হাত কী ঠান্ডা – জলের মতন
কাজ করার বড্ড সময় আছে বাকি
নাইটগাউন একটা রক্তিম উত্তাপের নাম
খুব সহজ ইকোয়েশন!
আঙুল থেকে চুঁইয়ে পড়ে আরণ্যক প্রেম
বিয়ারিং জীবন! গড়িয়ে গড়িয়ে ঠিকই
দুপুরের দিকে যাত্রা করা যাবে।
নেই কাজ ত’ খৈ ভাজ
যখন কোনো কাজ থাকে না টিকটিকি হয়ে যায়
উদোর পিণ্ডি ভুদো গিলে নেয়
“এ এন”রা যদি হয় “মেঘ”, ঘাড় ধরে তাদের “তারা” করে দেয়
আসলে কাজের অভাব, বদনামী স্বভাব
যে নেই সে আছে, যে আছে সে নেই।
রক্ষণশীল নীল একলা মাঠে ফায়ারওয়ার্কস এর আশায়
অভিধান নামায়,
তোমার চোখদু’টি সতত
তোমার চোখদু’টি সতত
বলে মনের কথা;
পাহাড় দেখে যা চাও সেতো
তার সে বিশালতা।
দেখি যত জল্পনা ঐ চোখে
যেন হৃদয় জুড়ে;
স্বপ্নও তখনি শেষ এঁকে
যাবে পাহাড় চূড়ে।
দেখেছি এক জোছনা রাতে
পশ্চিম বারান্দাতে;
গালেতে হাত তন্ময় চিত্তে
মগ্ন ঐ চন্দ্রিমাতে।
আজ তবে চোখ ছল ছল
তাও বুঝি কি পেতে;
হতে চাও চাঁদ পরিমল
আকাশটাও ছুঁতে।
বিন্দু