নীলাঞ্জ নীলাঞ্জ তোমার ত্বকের কোষ গহবরে
নয়নাভিরাম সাপ নড়েচড়ে—
অন্তহীন রূপে কেঁপে উঠছে দালানকোঠা
তুমি যেও না দূরের ঐ গুহায়
পাহাড়ি মেয়েদের সমবেত পা’য়ের নৃত্যে
কি অবাধে তুলে দিচ্ছ নূপুরের বোল কিংবা
চুলের ফুলে হয়ে যাচ্ছ ভ্রমর গুঞ্জরণ। যেও না নীলাঞ্জ, বলো না কথা ওদের সাথে
সুরঞ্জনা’কে যেভাবে থামতে বলা হয়েছিল
চাইছি না থামাতে
শুধু

নির্জলা প্রসাদ আরণ্যক সময় এখন
হিসেবের পাঠ চুকিয়ে অবেলায়
আবার প্রেমে পড়বো আমরা দুঃখমোচন দিনে
হাত ফসকে পড়ে যাচ্ছে প্রেম
ইতি টানবো চিরচেনা গানের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে তোমার নাম
এই নির্জলা প্রসাদ
রাক্ষসী! তোমার তরে কতো কথাই বলা হয় মুদ্রাদোষে
নস্টালজিক সময় এখন
বাড়ছে প্রেমক্ষুধা ধরে নাও ক্ষুধার রং লাল
লাল মানে বিপদ
লাল মানেই প্রেম তৃষ্ণারা শুধু হাততালি দিতে জানে
নিজেকে

সুখের উম্মোচন খুকী তোর পেঁচা মুখের উম্মোচন হয়েছে সুখ
মাছির মতো লজ্জাহীন করেছে দৃষ্টি পলক-
লাল রাঙা ঠোঁটে ধরেছে আঁকাবাঁকা ধুসর রঙ
খুকী তোর শূন্য থালায় হায়নার মতো চিৎকারে ডং! এ-কাল সে-কাল সবকালেই মুখ হয়েছে উম্মোচন
একটুও বোঝ না খোকাবাবু দেখে -দেখে নাচন। পাঁকা ধানে মই দিতে লাগে কতশত মামনকামলা
তবে কি

ভানুমতীর খেলা কথায় কথায় গতর জ্বালা
কাল খেয়ে যায় উলি তে
নাচতে গিয়ে ঘোমটা টানি
বিরাগভাজন পাবলিকে মরার ঘরে মরানদী
বান ডেকে যায় পাশের ঘর
যখন এলো ভানুমতী
রূপ দেখে তার সাজলি বর করবি কিরে, চাইছো বা কি
ভাবিস কিছু বুঝি না
সুশীল নামে ভোদই সেজে
করিৎ কর্ম করে খা? সবুর সবুর সবুজ

স্মরণার্থী এক
কাল রাত্তিরে বাড়ির বাথরুমে ঢুকছি, ফটাস করে হাওয়াই চপ্পলের ফিতে গেল ছিঁড়ে। আর প্রতিবর্ত ক্রিয়ায় এক মাইক্রো সেকেন্ডের মধ্যে আমার মাথা প্রশ্ন করল, সেফটিপিন? চৌকাঠে ঝিম হয়ে দাঁড়িয়ে গেলাম দু’তিন মিনিট। মাটির ১২০ ফুট নিচে থেকে ভেসে উঠেছে “নিরাপত্তাকাঁটা” শব্দটা, আর মন কাঁকরবালি খুঁড়তে খুঁড়তে

আহা সেইসব দিন দূরত্ব এতোটাই বেড়ে গেছে যে
আমাদের মাঝে শোভাবর্ধন করছে মৃত্যুফাঁদ
অথচ পোস্টমর্টেম রিপোর্ট বলছে অন্য কথা
ধূলোমাখা সেইসব অতীতের দিন, নিরেট মৃত্যু ঘ্রাণ
সাঁতরে গেছি কৈশোর বয়োঃসন্ধিকাল
আহ যৌবনের নগ্নতা! প্রহসনের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিল আমায়।
এমন কতো বিরুদ্ধ স্রোত চলে গেছে
জন্মের ফাঁদে আটকে গেছে যাযাবর জীবন
ফিনফিনে দুঃখ

রোড় টু ময়মনসিংহ লক্করঝক্কর বাসে বসে আমি যখন একটি কবিতার কথা
ভাবি
তখন সদ্য ফুটন্ত গোলাপের মতো দেখতে সৈয়দ নজরুল ইসলাম
মেডিকেল কলেজের সামনে আসতে না আসতেই শুরু হয়
ভানুমতির খেল
লারা সামনেলারা সামনে
আমি তখন ব্রায়ান লারার ক্যারিশমেটিক ব্যাটিংয়ের দর্শক
কিছুতেই বুঝতে পারছিলাম না লারার উপাচার
রোগীদের আনাগোনা দেখে একটু পরেই রচিত

শনিগ্রস্তের মত বেঁচে আছি
সাথে চলেছে একরাশ ভুল
কালনাগিনী পাকে পাকে পেঁচিয়ে রেখেছে
আলটপকা ভুল করে ফেলেছিলাম
তারই খেসারত দিয়ে যাই রুমাল এগিয়ে আসে
তবে কিছু মোছায় না সব গিলে নেয়
সারা শরীরে অবাস্তব খিদে
হাতড়ে হাতড়ে আলো জ্বেলে দেখি
ম্যাপের নক্সাটাই হারিয়ে ফেলেছি যেখানে গন্তব্যস্থল বলে আজন্মকাল
হেঁটে যেতে চেয়েছিলাম
নিজ কৃতকর্মের দোষে সেখানে

চলে ঊনিশ আর বিশ আমার গাঁয়ে অসংখ্যা কলঙ্ক কয়টা করবো মুক্ত-
কলঙ্ক মুক্তহীন মরতে সানাই বাজে-ধানায় পানায়-
তবুও হবে কি কলঙ্ক মুক্ত কানায় কানায় ! গোলা ভরে আছে তাই,গুটিকয়েক কীটপতঙ্গের বীজ-
অশ্লালিন মিছিলে মিছিলে করে যাবে ঊনিশ আর বিশ !
বিশের ছায়ায় মঙ্গলের কায়ায় দিনের হবে শেষ-
তবুও কার আছে ভাই,সুধীসাধ্য

মা মা’কে নিয়ে অত বাহুল্য নেই আমার
মা তো মা’ই
সাদা শাড়ী আর অল্প ঘোমটা টানা
সাদা সাদা হাতে হলুদের দাগ
শরীরটা মসলাগন্ধ
সদ্য জন্মানো মেয়ের গায়ে মায়ের বাস
মা আর এমন কি?
মা তো মা’ই। মা’কে মনে পড়ে
মা’কে ভীষন মনে পড়ে যায়
বাজার থেকে খোলসে মাছ এলে
কিংবা ঈদের সকালে
লাজুক হাসিতে নতুন কাপড়ে
আটপৌরে মা

শাবক (পৃথিবীর সকল মায়ের মহান চরণে নিবেদিত)
————————————————— শতবর্ষী বট গাছটির শীতল ছায়ার নিচে বসে
এখনও আমি নিজেকে বাঁচাই রোদ, বৃষ্টি, ঝড় থেকে
এখনও অহর্নিশি ছাতার মতো আগলে আছেন
আমাকে, অংকুর থেকে চারা, চারা থেকে কুঁড়ি
অতঃপর ফুল, ফসল । সদ্য পোয়াতি পাখি যেমন মেলে রাখে ডানা
অসহায় ছানাগুলো যেখানে খুঁজে পায় ঠিকানা
দিনে

লেনিন জুয়াখেলা শেষে বাইরে বেরিয়েই দেখি, দাঁড়িয়ে আছেন
মহামতি লেনিন। ঠিক আমাদের সামনেই পনেরো ফুট
উচ্চতা নিয়ে আলোকিত করছেন রেডস্কোয়ার ক্যাসিনো
আটলান্টিক সিটি জুড়ে বুলিয়ে যাচ্ছেন নতুন পুঁজির পরশ। মনে হলো, সারারাত জুয়া খেলে খুবই ক্লান্ত তিনি। তার
ডান পাশে জ্বলছে গ্লাসনস্ত নামের একটা জলেভেজা সিগ্রেট,
আর বাম পাশে পড়ে আছে