মে ২০১৮ বিভাগের সব লেখা

পঠন বিষয়ক পত্রাবলী
পঠন বিষয়ক পত্রাবলী প্রকৃত পঠন আমার উদ্দেশ্য ছিলো না। তবুও আমাকে পড়তে হয়েছে। এক
জীবনে সবকিছুই পড়া হয় না। দেখে গেলেও তুষ্ট হয় না মন। তবু তাকিয়ে
থেকে আকাশ পড়েছি, পাহাড় পড়েছি, পড়েছি ঝরণার অসমান্তরাল
ঢেউসূত্র। কোথা থেকে ঝড় এসে উড়িয়ে নিয়ে গেছে খড়ের স্তুপ। নিজেকে খড়ের
চেয়েও তুচ্ছ পড়ুন
কবিতা | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৪০ বার দেখা | ১৩১ শব্দ
ক্ষতচিহ্ন
ক্ষতচিহ্ন কত ক্ষত লুকিয়েছ
শারদীয় কাপড়ের ভাঁজে?
যেখানে ঝোলানো থাকে
মিথ্যে গোলাপী হাসি
সেই ঠোঁটে ক্ষত ছাপ
ফেলেনা কখনো। বহু ক্ষত চাপা পড়ে
লিউকোপ্লাস্টে,
বহু খোলা হাওয়াতেই
প্রান্তদর্শণ। যেখানে রক্ত ঝরে
চুঁইয়ে নাছোড়-
যেখানে ঝড় শেষ হলে
মৃতবিষাদ থাবা গেড়ে বসে-
সেখানেই নিশ্চিন্ত আশ্রয়ে
একে একে ক্ষত মাথা তোলে
বিষ পার্থেনিয়াম বেশে,
সেখানেই জন্ম নেয়
অকথ্য নীল রূপকথা। পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৫৯৩ বার দেখা | ৩৯ শব্দ
বিশ্ব পরিবেশ দিবসে
বিশ্ব পরিবেশ দিবসে শত কোটি জনতার স্বপ্ন অপার
পরিবেশ দূষণে কি দুর্গতি সবার
জলাশয় নেই, বন বনানীও উজাড়; মধু স্বপ্ন পাহাড়ে গোটা এ বিশ্ব
তলিয়ে যাচ্ছে সবই, হচ্ছি নিঃস্ব
বায়ুমণ্ডল দিন দিনই হচ্ছে যে উষ্ণ। ব্যাঙ ছাতার মত দালান কোঠা
নেই ফাঁক নেই বাতাস আলো ছটা
নদী ঝর্ণা ভরা, নেই জোয়ার ভাটা; এথা হেথা পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২১০ বার দেখা | ৮৩ শব্দ
রক্তের বুদ্বুদ
রক্তের বুদ্বুদ
রক্তের বুদ্বুদ মন্দ কি, যদি খরা উত্তপ্ত দাহে
বরফের মত বিগলিত হয় দেহের শাখা প্রশাখা
খা খা রোদ, নিস্তব্ধ দুপুরের বুক ভেদ করে
গলিয়ে দেয় প্রস্থর হৃদয়; নির্বাণ অহমিকা। আকাশের জ্বল জ্বলে চোখ রাঙানিতে
জাগে যদি রক্তের বুদ্বুদ, অস্থির টগবগ
মন্দ কি; দাহের দাবানলে পোড়ে পতিত হয়
মজ্জার পড়ুন
কবিতা | | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৯৪৯ বার দেখা | ১০১ শব্দ ১টি ছবি
মধ্যরাত্রির কিছু ছেঁড়া অংশ
মধ্যরাত্রির কিছু ছেঁড়া অংশ রাতের কিছু ছেঁড়া অংশ জোড়াতালি দিয়ে একটি
আহত কবিতার বীজ বুনতে চেয়েছিলাম
কিছুক্ষণ আগে তিনি বললেন, অল ডিলিটেড! এখন হাত-পা ভেংঙে আমি আচানক দাঁড়িয়ে আছি
আমার চারপাশে মাথাব্যথা
খুচরা যন্ত্রাংশের মতো দু’একটি ভালোবাসার কথা! আমি কিছু বলিনি অর্ধেক ছল
একবার কসমসের কথা বলেছিলাম
দুর্বাসা মুনির কোপানল! এতো টিনি সাগরজল তবুও পড়ুন
কবিতা | ৮ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৮৩৫ বার দেখা | ৫২ শব্দ
দৃশ্যতঃ
দৃশ্যতঃ আজ তোমাকে সাগর দেখাতে নিয়ে যাব
বাড়ীর পাশে যেমন দেখছ তেমন নয় মোটেও
সিগারেটে আচমকা হাত লেগে যাওয়া অনুভুতির মত
তোমার চোখেও ভয় জাগবে
এ জন্যেই গুরুজনেরা বলেন, সাগর দেখে খুশি হবার কিছু নেই
ও তো এক লহমায় উড়িয়ে নেবেই সব
কেবল ডুববে তুমি— না হয় চলো তোমাকে পাখির পালকে লুকানো পড়ুন
কবিতা | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩০৭ বার দেখা | ১১৪ শব্দ
বেহিসাবি
বেহিসাবি এক তুই ছিলি আর এক তুই তুই রাত
এক বুক ভালোবাসা ছিল আর বেহিসাবি চাঁদ
একদিন হিসেব কষে মেঘ করলো
মেঘটা বড্ড কালো ছিল আর কালো কালো রাত; যেদিন জিজ্ঞাসা করেছিলি কতটুকু ভালোবাসি তোকে
সেদিন থেকে ভালোবাসা কেমন ঘুমিয়ে গেছে
হিসেব কষে স্বার্থান্বেষী
আমি শুধুই ভালোবেসেছি; তুই বড্ড বেশী হিসেবি
ভালোবাসা বেহিসাবি। পড়ুন
কবিতা | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৫৭ বার দেখা | ৪৩ শব্দ
অনুভূতির অঙ্কুর ফুটবে
অনুভূতির অঙ্কুর ফুটবে আজও ঐখানে অনুভূতিরা বড় ভিখারি
যদিও কোন রাস্তার মোড়ে, মোড়ে নয়-
ভিক্ষা চাইলোও এক বিন্দু শিশির ভিজা
কচুরপাতাও পাওয়া যায় না ! কারণ সাধন ভজন যে ব্যার্থের সন্ন্যাসী রূপ!
তবে আনন্দ উচ্ছ্বাসের সীমানা প্রস্তর-
চাইলেই সাত মাথা কিংবা বিজয়স্মরণীর মোড়ে
থালা পাতা যায় -তাই না ! দক্ষিণা জানালার পাশে কত পড়ুন
কবিতা | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৬১ বার দেখা | ৬৪ শব্দ
গণসংগীত, রবীন্দ্রসংগীত আর অরিজিৎসিংগীত
গণসংগীত, রবীন্দ্রসংগীত আর অরিজিৎসিংগীত চার
গান কিন্তু শুরুতে এমন ছিল না যা সে এখন হয়েছে। গৈ ধাতুর অর্থ বলা, মানে সুর ক’রে পাঠ। গৈ থেকে আসছে গায়ত্রী — একটা ছন্দ, গান নয়। আসছে গীতা, কৃষ্ণার্জুন সংলাপ। ঋকবেদের সূক্তগুলো সুরে আবৃত্তি হবে, ওইটুকুই পারমিশান ছিল। ক্ষিতিমোহন সেন লিখেছেন, পড়ুন
ইতিহাস-ঐতিহ্য | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৬৩৭ বার দেখা | ৭৩০ শব্দ
তিনি শুদ্র অচ্ছুৎ ... অণুগল্প ৪২৩
এক শুদ্র কিছু কিছু লিখতে শিখেছিল। অবিরাম লিখেই যেত সে। তবে জাতে সব থেকে নিচু হওয়াতে উঁচুতলার মানুষেরা তার লেখা পড়ত ও না, কোথাও ছাপত ও না। একদিন চলার পথে এক ব্রাহ্মণ লেখককে ভুলবশত ছুঁয়ে দেয় শুদ্র। তাকে চিনতে পেরে ছিটকে সরে গিয়ে ব্রাহ্মণ পড়ুন
অণুগল্প | ৬ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৯২ বার দেখা | ৪১১ শব্দ
বৃষ্টি ও উষ্ণতা
একটি বৃষ্টিস্নাত রাত্রিরে
মুখোমুখি আমরা। বৃষ্টির শব্দে
মিলিত ভায়োলিন,
শীতল কার্পেটে মোড়া
বারান্দার ফুল। ইটের দেয়াল-
মখমলের বিছানায়
হেলান দিয়ে দাঁড়ানো
চতুর কামনা। মৃদুপায়ে
হেটে আসা
শিরশিরে বাতাসে
ধোঁয়াটে কফির বিকল্পে পাওয়া একটি নিখাদ চুম্বন। পড়ুন
কবিতা | | ৮ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৮৯৩ বার দেখা | ২৯ শব্দ
ইস্তার
ইস্তার ইস্তার খাইলাম পেট ভইরা
লরতাম পারি না
চানা পিঁয়াজা জাও খেজুর
কুন্তা ছাড়ি না খাইতে খাইতে পেট অইছে
ভেটকি মাছর লাখান
এর পরেও বউরে কই
আখনি থুরা আন আখনি খাইলাম গোস্ত দিয়া
আখনি আছিল মজার
চাওলর গুরির ফিন্নি দেখি
আমার মোকা চার ফিন্নি খাইলাম এক বাটি
খাইলাম থুরা আম
খাওয়ার চোটে গাত ঝরে
দরদরাইয়া ঘাম কুরসা কাঠল বর্তন ভরা
কেমনে সামলাই পড়ুন
ছড়া ও পদ্য | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪২১ বার দেখা | ৭০ শব্দ
ব্লগবুক অণুলিখন ৭২
ব্লগবুক অণুলিখন ৭২
‘বিনা সাজে সাজি দেখা দিয়েছিলে কবে আভরণে আজি আবরণ কেন তবে
ভালোবাসা যদি মেশে আধা-আধি মোহে
আলোতে আঁধারে দোঁহারে হারাব দোঁহে।’ বিনা সাজে সাজি দেখা দিয়েছিলে কবে,
আভরণে আজি আবরণ কেন তবে।।
ভালোবাসা যদি মেশে পড়ুন
জীবন | | ১০ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৮৬৬ বার দেখা | ১৫২ শব্দ ৩টি ছবি
মধুসূদনের বাপ
তিন পেগ হুইস্কি গিলে সোমনাথবাবু মোবাইলে ফোন করলেন-
: হ্যালো, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলছেন?
: না, রং নাম্বার।
: আপনি কি শিওর রং নম্বর?
: শিওর, আমি কামাল চৌধুরী। সোমনাথবাবু আরও দু’পেগ পেটে চালান দিলেন। একটা সিগারেট ধরালেন, লম্বা টান দিয়ে কল করলেন-
: হ্যালো, এটা কি শান্তি নিকেতন?
: না।
: পড়ুন
জীবন | | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৩৮ বার দেখা | ২১৭ শব্দ
আকাশবাড়ির ঠিকানা
আকাশের পকেটে কোন ডাকবাক্স আছে? চিঠি উড়ে যাচ্ছে একটা প্রগাঢ় নীল অভিযাত্রার দিকে
শূন্যের সাথে শূন্যের দ্বন্দ্বজ কোলাহলে কে বেশী বেগবান
নির্ধারিত হোক।
হিপনিক জার্কসে ঘুম ভেঙ্গে গেলে
বুকের মাঝখান থেকে এক জোড়া সারস উড়ে যায়
অন্তহীন মেঘের বাড়ির পথে……
একটি প্রবল ঘুম দ্রুত পতনোন্মুখ
অভ্রংলিহ পাহাড়ের চূড়া থেকে নিতল গহ্বরে।
আহা স্বপ্ন! পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৫৪১ বার দেখা | ৭৪ শব্দ