কথা শেষ তবে চলে যাই
নিভিয়ে দিয়েছ?
তবে আর এত কথা কেন?
যদি বল, তবে চলে যাই।
সামনে বিস্তৃত বালিয়ারী
ছোট বড় টিলা
ভেসে থাকা বাউল স্বরলিপি
ঝুম ঝুম নেচে যাওয়া
র্যাটল স্নেকের গাঢ় চুমু
ডেকেই চলেছে।
যদি বল এ প্রদীপ
আমার জন্য নয়,
তবে যাই।
মালিক দেছে টাকা ভায়া
মিছিল-র্যালি যাই
সারাদিন ঘুরিফিরি
কাউয়া-বিরানি খাই।
মজদুর সব এক হও
কত কথা যে বলি
নেতা হামার গুঁতা মারে
ঠিক হয়ে তাই চলি।
নেতা হামার চাচা হয়
মালিক হয় বাপ
মে দিবস সুখে থাক
করিস ভায়া মাফ।
জলকবুতরের গল্প
জলকবুতরের গল্প বলি তবে
জলের রেখায় আঁকা অদ্ভুত জীবন ছবি
মানুষের ভাগ্য বদল হয় কখন?
প্রশ্নটা তুলেছিল জনৈক যুবক যে কি না
ভাগ্যান্বেষণে ডুব দিয়েছিল জলে
জল – জীবন – জেলে
নদী – নারী – শাড়ি
বড় অদ্ভুত জীবনের সমীকরণ
পিপাসা কাতর মানুষ জানে
প্রিয়জনের হাতের পানি মগ = নতুন জীবন
চাঁদের
ছায়া এক অবিচ্ছেদ্য স্বত্তা
জীবনের সাথে সাথে ছায়ারা বেড়ে চলে
জীবন ঘুমালে ছায়ারাও ঘুমায়, আসলে
ছায়ারা বেঁচে থাকে আলো নির্ভরতায়;
তা না হলে ভীত ঢর ফোকের মত
অন্ধকারে নিজেকে গায়েব করে রাখত না।
জলে ও ছায়া পড়ে
যত স্বচ্ছ জল তত স্বচ্ছ ছায়া
অথচ, টলমল
ফিরে দাও-মে
(মে দিবসে প্রজ্বলিত হোক নিভে যাওয়া ক্রোধ)
এখন আমার দিকে তাকাও লেনিন
তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে দেখ আমার অঙ্গপ্রত্যঙ্গ মানসলোক,
ঝাপসা হয়োনা এ রাতে
সুষ্পট ছন্দে দেখো আমাকে।
তুমি কখনো কয়লাখনি দেখেছ লেনিন?
দেখেছ কয়লাধূলোর বিস্ফোরণ
আটকায় স্টোনডাস্ট বেরিয়ারে?
মুহূর্তে গর্ভবতী ক্ষেতের ফসল
আতংকের হু হু গহ্বর!
আমি যদি নেতা
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৪০৫ বার দেখা
| ৯৩ শব্দ ১টি ছবি
মে দিবসে
ঐ দ্যাখো ঐ সুরম্য অট্টালিকা
আজিকার সভ্যতার প্রতীক
বিত্তের কত আনন্দ হিরিক
ছিটকে পড়ছে সে অহমিকা।
যাদের শ্রম, এ সৃষ্টির পেছনে
লেগে আছে ঘাম প্রতিটি ইটে
ভাঁজে ভাঁজে, তাদের রক্ত ফেটে
জমেছে শিশির চোখের কোণে।
কি করুণ, তাদের ভাগ্য শেষে
পৃথিবীর চাকা ঘুরায় যারা
এ সভ্যতার প্রকৌশলী তারা
কাটে দিন অবহেলায় ভেসে।
যাদের শ্রমে পেয়েছি
কৃষক
ঘামগন্ধ নিয়ে যিনি এইমাত্র সিজদায় গেলেন
তিনি জন্ম কারিগর – ধ্যানী কৃষক
মৃত্তিকার সাথে যার নিত্য বসবাস
তিনি সবার মুখে অন্ন তুলে দেন
আমাদের সবার প্রিয় হবার যোগ্যতা রাখলেও
বছরের পর বছর শুধু শস্যদানাই উৎপাদন করছেন
অথচ এইসব সন্তান নিয়ে তার বিন্দুমাত্র অহঙ্কার নেই।
শহর তুমি কার
সমুদ্রের জলে কান্নার কোনও যতি নেই
ইচ্ছে নীলের গভীরে মৃত্যুহীন জেলিফিশের বাস
সমুদ্র তার নিগূঢ় বিষাদ প্রহরের
দুঃখ গুছিয়ে রাখতে জানেনা
আবদার রাখে কলম্বাসের দূরবীনে
দূর পাহাড়ের পাদদেশে চুম্বন গচ্ছিত রাখে,
শুধু নিষ্পাপ শিশুরা যখন তার
জলের শরীর ছোঁয়, তার মা হতে ইচ্ছে হয়
স্নান শেষে
কবিতা|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৫৬৮ বার দেখা
| ৭২ শব্দ ১টি ছবি