-চলে যেতে যেতে
চলে যেতে যেতে
পথে থমকে দাঁড়ালে তুমি
পিছন ফিরে তাকালে কতক বার?
সময় ধেয়ে বাতাস কানে কানে
কাগজ পোড়া গন্ধ যেন;
অতীত ভাঁজের পরতে পরতে
মাঝে মাঝে উঁইপোকার কুরে কুরে খাওয়ার
মৃত্তিকা ঘ্রাণে জানান দেয় তোমাকে;
সে দিন নিঃস্ব হয়ে কেঁদে ছিল
উঠানে পাতা ঝরা সজনে গাছটা
পুঁইমাচা, ডালিম গাছে টোনাটুনি
কুয়াতলায়
===================
এমন ভাবনা কেউ ভাবি না-
দাদা দাদী- নানা নানীর কর্ম ভজন
কেউ দেখি না- কেউ বুঝি না;
কেমন করে বাড়ছে বয়স-
যাচ্ছে সময় ধর- পাঁকছে চুল দাড়ি
নুনে পরছে দেহ ঘর।
এমন সত্যকথা কেউ ভাবি না-
দিনকাল চলছে আপন ভেবে পর;
হাতের কাছে মৃত্যুর ডগর-
বুকের সাথে দোলবে টগর
কার গায়ে কখন
পিতা নাবিক ছিলেন, তাই ♦
“দরিয়া”, “কিনার”- শব্দগুলো খুব প্রিয় ছিল তাঁর। তিনি
ঢেউকে পোষ মানাতে জানতেন। সমুদ্র দিওয়ানা হবে
এমন আগাম বার্তা পৌঁছে যেতো তাঁর কাছে। আর
আকাশের দিকে তাকিয়ে তিনি প্রতিরাতেই জানতে
চাইতেন মেঘের কুশল। সেই মেঘ ছিলেন আমার মা।
দরিয়া নিয়ে নিয়েছিল পিতার পাঁজরের দখল। তাই
দরিয়ার প্রতি
মানুষ মহীয়ান
কতো সময় গেছে তীর্থভূমি দিকে চেয়ে
শিশুর মতন টেনে নিয়েছ অসাধু জীবন
বোহেমিয়ান সন্ধ্যায় কিছু পাপ এসে দাঁড়িয়েছে দরজায়
আত্মাটাকে ধরে রাখ নয়তো
অতীতের পড়শী খুবলে খাবে সব
মানুষের কাটছে এখন মধ্যবিত্ত জীবন
পাপ মাফ চাই প্রভু
কদর্যতা ছাড়া কিছুই নাই সঞ্চয়
মদ মাংসে কেটেছে অষ্টপ্রহর
জান্নাত জাহান্নাম কিছুই বুঝি না
খুঁজতেও যাইনি
লেখালেখির জগতে যা কিছু লিখি না কেন, সেটি লেখা ও প্রকাশনা শিল্পের প্রেক্ষিত বিচারে নতুন সৃজন। কথাটি সৃজনশীলতার নিরিখে সত্য। ব্যতয়গুলোর উল্লেখ করছি না। ক্রমে সেই সৃজনগুলো লেখক ও পাঠকের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। একজন কবি যখন কবিতা সৃজন করে চলেন আর সৃষ্টির আনন্দ
বৈতরণী হক, হ্যাম্পশায়ার, ইংল্যান্ড।
২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসের কথা। আমার মেয়ে হয়নি তখনো। আমি আর আমার হাজবেন্ড ওয়াসি খুব বেড়াতাম তখন। ওয়াসির লম্বা ছুটি থাকায় আট-দশদিনের জন্য চলে গেলাম সুইজারল্যান্ডে। পর্যটন খ্যাত এলাকা ইন্টারলাকেনে কয়েক দিন
জীবন|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৫১৯ বার দেখা
| ৫২৩ শব্দ ৩টি ছবি
গহন কুসুম কুঞ্জ মাঝে
কখনো দেখেছ রাতের তারাদের বদলে যাওয়া? কখনো বদলে যেতে দেখেছো আকাশের চাঁদ কে? কিংবা চলতে ফিরতে কখনো খেয়াল করেছো চারপাশের দৃশ্যপটগুলো কিভাবে বদলে যায়? সন্ধ্যায় আগে পাশের বাড়ির আমগাছটায় রোজ কত পাখি এসে বসতো। কত পাখি বাসা
জীবন|
৬ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৫৬০ বার দেখা
| ২৪৫ শব্দ ১টি ছবি
জীবন পরাক্রমশালী নয়। জীবন অনেকটা ছোট্ট; এই সম্মানসূচক জীবনের চেয়েও একটি বিষয়হীন জীবন দীর্ঘকাল বাঁচে। অতএব এই বেঁচে থাকাকালীন জীবনের জন্য যেই মর্যাদা তাঁকে গ্রহণ করো সম্মান করো। বেঁচে থাকো,মর্যাদা দিয়ে মর্যাদা নিয়ে বেঁচে থাকো ভালোবাসা দিয়ে ভালোবাসা নিয়ে। অন্যকে সম্মান দেয়ার মাধ্যমে নিজেকে
পাপিষ্ঠা কুসুম
তোমার জন্য কুসুম ফোটা দিনে
শরীর থেকে স্বপ্ন কুসুম জরায়ুর সেই পাকে
কুসুম বলে ডাকতো আমায় স্বজন
এখন তারা ভিন্ন নামে ডাকে।
তোমার জন্য ভাবনা কুসুম রোজ
ভাবে বসে ভালোবাসার কুসুম
ধীরে ধীরে অঙ্গ বারে, ভার
হবে কি আর কুসুম দেখা তার ?
পাড়ার মোরে
কবিতা|
৪ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৪১০ বার দেখা
| ১১০ শব্দ ১টি ছবি
সম্পর্ক
সম্পর্ক সব সময় সরল রেখা নয়
জটিল ধাঁ ধাঁ’র মতোও হয়ে থাকে
সব সম্পর্কেই টাইম বোমার কিছু সংখ্যা থাকে
গুপ্ত রিমোটের হুমকিও থাকে
মধুতে, তিক্ততায় মিশে একটা সাপ শুয়ে থাকে
ধুয়ে মুছে তাজা করলেও তিরতির ফেটে যায় কাঁচের গেলাস।
কোথাও কোথাও মাহুত ছুটিয়ে নেয় হাতি
কোথাও হাতির শুঁড়ে উঠে আসে আস্ত
আজ আর বেদনা লুকোবো না
সবাইকে বলেছি আজ আর কোনো বেদনা লুকোবো না
রাত্রি আর আমি ডানপিটে শীতের পেটে যমজ চামচিকা হবো
পুনর্বার পুনর্বাসনে পাঠিয়ে দেবো আধুলি দিনের শেষভাগ
আবার সবকিছু নতুন করে শুরু করবো চৈত্র অথবা বৈশাখ!
অতঃপর পৌষ পার্বণের নামে বেদনা গিলে খাওয়ার উৎসব নামে
ঘিয়ে ভাজা শন