মে ২০১৮ বিভাগের সব লেখা

এই অন্ধকারে
এই অন্ধকারে এক্ষুনি তোমাকে আদর করার ইচ্ছে হচ্ছে
জানি তোমার পায়ে ক্র্যাম্প
মাইগ্রেনের ছটপটে যন্ত্রণা
তোমাকে বাধ্য করেছে বাথরুমের দিকে ছুটে যেতে
একরাশ তরল আর চটকানো
অপাচ্য হলুদ ছিটকে বেরিয়েছে
দুর্গন্ধ আর ভুলভাল সংসার জীবনের
সব ক্লেদটুকু নিয়ে :
তোমার গত পর্বের ঝাঁ চকচকে
সর্ষের সবুজাভ হলুদ
শেষ বিকেলের আলো গায়ে
লাল কালো মেঝের পুরনো পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪৪২ বার দেখা | ১১৬ শব্দ
প্রতিধ্বনি মুখর প্রকৃতি
// প্রতিধ্বনি মুখর প্রকৃতি // =======================
ঐ বর্ণচূড়া পাখিদের কিচিমিচি ডাক যেনো
আমার মায়ের গল্প বলা আরতি শুনতে পাই-
সবুজ সোনালী মাঠের দৃশ্যবিরল আনন্দগুলো
মায়ের চঞ্চল মুখের উজ্জ্বল হাসি দেখতে পাই-
আর পূর্ণিমা রাতের ঝঝালো চাঁদ তারা যেনো
মায়ের কাছে বায়নার কসম স্বপ্নের পুম্প ঝরাই রাতদুপুরে ঘাসফড়িং জোনাকিদের কল্লোল শুনে
বুঝিয়ে দেয় মায়ের পড়ুন
কবিতা | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪৪৭ বার দেখা | ৭২ শব্দ
মেয়ে
মেয়ে তুমি সাবধান হয়ে যাও, যে পুরুষ তোমায় রাজপথে বেহায়াপনা করতে সমর্থন করছে, তুমি ভাবছো সেই একমাত্র উত্তম পুরুষ; তবেই তুমি ঠকেছো। খুঁজে দ্যাখো অন্ধগলির কামঝরানোর কামড়া কিংবা নামিদামী তুলতুলে বিছনার ঘর, দেখবো; গতকাল সে তোমাকে রাজপথে বেহায়াপনা করতে সমর্থন করেছে, তার নখের আচড়ে পড়ুন
কবিতা | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৬৫৯ বার দেখা | ৮৪ শব্দ
তার বেদনা ভুলিতে
-তার বেদনা ভুলিতে তার বেদনা ভুলিতে
অন্তর গহন, ধুলোর গরাগরিতে নিত্য ডুবে। যায় বেলা।
গহন দহনে মরীচিকা সম আচম্বিতে বেহাল দশার ক্ষণ। চেতনার কাঁপনে কাঁপনে
শুধা রসের এ কি বিরহ? যাতনা সহে প্রাণ।
প্রেম রসে স্বপ্ন গহন সমুদ্র জলের ফেনায় বিন্দু বিন্দু
কজাগরী চাওয়া; আমলকি বনে রাতের সিঁথানে
চুপি চুপি জোনাকি পড়ুন
কবিতা | | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১০২৪ বার দেখা | ৫৩ শব্দ
আমার রবীন্দ্রনাথ
আমার রবীন্দ্রনাথ
আমার রবীন্দ্রনাথ আমাদের পরিবারটি ছিল যৌথ পরিবার। বাড়িতে দাদুকে দেখেছি ভীষণ সাদামাটা জীবন যাপন করতে। কোনো এক অদ্ভুত উপায়ে সমস্ত বৈষয়িকতাকে উপেক্ষা করার ক্ষমতা অর্জন করেছিলেন তিনি। দাদুর কাছ থেকেই আমার প্রথম রবীন্দ্রনাথকে চেনা। তিনি পড়ুন
জীবন | ৫ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৫৪২ বার দেখা | ৪৪৭ শব্দ ১টি ছবি
একদিন
একদিন
একদিন আর কতো বড়ো আয়না হলে নিজেকে দেখতে পাবে তুমি?
ক্যামেরায় তোলা মানুষের ছবিগুলো সাদা কালো, সাদা কালো।
শুধু কৃষ্ণচূড়ারা লাল হয়ে আছে।
কিছু বোকা মানুষ যারা খরগোশকে কোনওদিন ভালোবাসেনি, তারা কৃষ্ণচূড়ার লালকে আলাদা করতে চাইছে।
মে ‘মাসের একটা সারাদিন ধরে রাজপথে
ঝরছে লাল টুপটাপ টুপটাপ।
খরগোশটা পড়ুন
কবিতা | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪৩৯ বার দেখা | ১০৬ শব্দ ১টি ছবি
দুটি কবিতা: কবিগুরুর পদচিহ্নে এবং ঋতু ও রবীন্দ্রনাথ
দুটি কবিতা
কবিগুরুর পদচিহ্নে
_________________
এই জমি খুব পরিচিত আমার। এই নদীর সকল উজানী
ঢেউ- একদিন আমার বুকে রুয়েছিল যে বীজ, আমি যতনে
বৃষ্টি ছড়িয়েছিলাম সেই মনবৃক্ষে। জোড়াসাঁকোর ভোরে
খুব একাকী পড়েছিলাম গন্তব্যের গীতবিতান।
এই গান খুব স্বজন আমার। যে প্রেমিকা আমাকে হাত ধরে
নিয়ে গিয়েছিল প্রান্তিক চত্বরে- সেদিন সেখানেও উপস্থিত
ছিলেন একজন পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৪৫ বার দেখা | ১৫৮ শব্দ
দিগম্বর পৃথিবী!
আমি দিগম্বরী হবো
রঙ মেখে ঢঙ সেজে তোমাদের দ্যাখাবো
নিজেকে নিজের মতো ক’রে রিরংসাকে সঁপে দিবো
আমি মুক্তমনা-স্বাধীন; আমারও আছে অধিকার
অতঃপর, আমি কখনো বোন, কখনো মা, কখনো-বা স্ত্রী তোমার বাহ্‌, বেশ বলেছোতবে,
তুমি দিগম্বরী হও, আমিও হই দিগম্বর
খোলা আসমানে গতরে গতর মিলাই, পড়তে দাও মেঘের জল
কে-বা দোষী, কে-বা সাধু পড়ুন
কবিতা | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪৬৯ বার দেখা | ৯৪ শব্দ
উড়াল পাখির গল্প
উড়াল পাখির গল্প আজকাল নিজেকে ছুঁয়ে দিতে না পারার কষ্টে ভুগি
কোনটা ভোগ আর কোনটা সম্ভোগ ঠাহর পাই না
সেঞ্চুরির পর ডাবল, ট্রিপল না পাওয়ার আক্ষেপ নেই
তবুও কাজি অফিসে দস্তখতের কথা ভাবি! পাথরে আদর ঘষে যখন বুঁদবুঁদ উঠে
আকাশের ঠোঁটে যখন আগুনের ফুলকি ফুটে
সেদিন কি বৃষ্টিতে পোড়া সান্ধ্যজল ঘুমায়?
সেদিন পড়ুন
কবিতা | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪৫১ বার দেখা | ১০৪ শব্দ
বয়স আঠারো পেরিয়ে গেলে
বয়স আঠারো পেরিয়ে গেলে সমস্ত শৈশব ধুলায় উড়িয়ে আগামীর সম্ভাবনা খুঁজি সম্পর্কের গভীরে। যৈবনবতী মন যার ধারালো আকুতি তার জন্য। পাতাদের হাহাকার -ক্রন্দন ফেলে যায় দীর্ঘছায়া। এইমাত্র প্রত্যাশার বৈশাখ জানান দিয়ে গেল – এ মাসে বৃষ্টি হবে না আর। তৃষ্ণার্ত প্রেমিক – প্রেমিকারা জমা করে পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৩১ বার দেখা | ১৭৯ শব্দ
তোমার বসে থাকা
তোমার বসে থাকা শুকনো পাতার মধ্যে তোমার বসে থাকা
টুপটাপ শব্দে খসে পড়ে এক একটা পাতা
তোমার চুলে লেগে থাকে উদাসীন মায়া
সৃষ্টি ভেসে যায় দিগন্ত ছাড়িয়ে সুদূর নীলিমায়।
গানের সুরে ভেসে যায় সারা চরাচর বিশ্বনিখিল
সেই সুরের আবছা আবেশে ভরে থাকে মন
একদিন তুমি পাখা মেলে উড়ে যাবে বহুদূর
শুধু রঙগুলো পড়ুন
কবিতা | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৪৯ বার দেখা | ৪৯ শব্দ
হিংসের শহর থেকে
হিংসের শহর থেকে এ শহর আমার নয়। আমার জন্ম নিবন্ধন সনদ
সংরক্ষিত নয় এখানের আর্কাইভে, তবু কিছু হংস
হিংসের ডানা দেখিয়ে ডুব দিতে চাইলো আমার পুকুরে,
কিছু ঈগল- তাদের ভাষাচক্ষু দেখিয়ে ছিঁড়তে চাইলো
আমার শব্দকেতন। এসব নষ্টমহড়া দেখেছি আগেও। দূর দিয়ে উড়ে যাওয়া মেঘ
আমাকে বলেছে- আমরাও আছি কবি,
তুমিও থাকো।
ক্রমশ পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৩২ বার দেখা | ৫০ শব্দ
জলে জ্বলে তারাফুল ১
জলে জ্বলে তারাফুল ধীরে ধীরে শংকা জাগে
বিভ্রম যতটুকু যায় তার চেয়ে কম নয়
লাল আভা তীর ছুঁয়ে
নারীর কৌণিক চাহনি
আরো আরো সুক্ষ্ণ, তীর যেন
নদীর তীর ছুঁয়ে, তীর গেঁথে যায়
ধীরে ধীরে শংকা জাগে। একটা একটা পাতা ঝরে
ছোট ছোট দুএকটা ঢেউ
এমনি করেই বেলা চলে যায়
আমার পবিত্রতায় যেমন তোমার
নেই অধিকার পড়ুন
কবিতা | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৩৫ বার দেখা | ১০৭ শব্দ
গণসংগীত, রবীন্দ্রসংগীত আর অরিজিৎসিংগীত
গণসংগীত, রবীন্দ্রসংগীত আর অরিজিৎসিংগীত
তিন গণসংগীত যে বিশেষ উদ্দেশ্যে ডাক পাঠায় মানুষকে, তাতে ধুন কখনও পড়তির দিকে যাবে না। গান মানে মিউচুয়াল ফান্ডের টাকা; জমা দিয়ে বসে থাকলাম, গেলাম ভুলে, ইউনিটের দাম আজ বাড়ে তো কাল কমে করতে করতে অন্তিমে লাভই লাভ — এই সুরার্থনীতিতে তার পড়ুন
শিল্পসংস্কৃতি | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৭৮৮ বার দেখা | ৫০৬ শব্দ
নীলপদ্ম
(অণুগল্প)
গাড়ি বাদ দিয়ে বাসে করে যাচ্ছে দিদিত। নিজের গ্রামে। তাও মা মারা যাওয়ার বছর দশেক পর। হাইরোডের ধারে আর আগের মত ধানক্ষেত, নযনজুলি, পুকুর প্রায় বিলুপ্ত। চোখ জুড়ানো তালের সারি গাছের পাহারা আর নেই। শুধু ইট কাঠ পাথরের চিৎকার।
জানলায় চোখ রাখে। মনটা উদাস পড়ুন
গল্প | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪০৭ বার দেখা | ২০৪ শব্দ